আজ রবিবার | ২৮শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১২ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ |১২ই রজব, ১৪৪৬ হিজরি | সকাল ১১:৩০
বিডি দিনকাল ডেস্ক :- :- খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিতসায় দ্রুত বিদেশে না পাঠালে ‘সরকার পতনের আন্দোলন’ শুরু হবে বলে হুশিয়ারি দিয়েছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শনিবার সকালে এক মানববন্ধন কর্মসূচি থেকে বিএনপি মহাসচিব সরকারের প্রতি এই হুশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
তিনি বলেন, ‘‘ খুব পরিস্কার করে সরকারের কাছে বলতে চাই, আর বিলম্ব করবেন না। অবিলম্বে দেশনেত্রীকে মুক্তি দিন এবং তাকে চিকিতসার জন্য বিদেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করুন।”বেগম খালেদা জিয়া না থাকলে আওয়ামী লীগও থাকবে না ।
‘‘ অন্যথায় এদেশের জনগন আপনাদেরকে ক্ষমা করবে না। আপনাদেরকে হটিয়ে জনগনের সরকার প্রতিষ্ঠা করবে এবং এই আন্দোলনই হবে এই সরকার পতনের শুরু।”
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘‘আমাদের ছাত্ররা অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছে, অনেকে গুম হয়ে গেছে, অনেকে খুন হয়েছে, কারাগারে এখনো আমাদের ছাত্র নেতারা নির্যাতন ভোগ করছেন। এদেশকে মুক্ত করতে হলে, এই যে অন্যায়ের প্র্রতিবাদ করতে হলে আজকে যুবকদেরকে জেগে উঠতে হবে, আজকে তরুনদেরকে জেগে উঠতে হবে, আজকে ছাত্রদলকে জেগে উঠতে হবে। বাংলাদেশে সকল বিজয় অর্জন হয়েছে ছাত্রদের নেতৃত্বে।”
‘‘ আজকে আবার সেই ছাত্র দলকে জেগে উঠতে হবে, নেতৃত্ব দিতে হবে। বাংলাদেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ের জন্য, স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষা করবার জন্য আজকে সেই নেতৃত্ব দিয়ে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে তার বিদেশে চিকিতসায় পাঠানো নিশ্চিত করতে হবে আন্দোলনের মধ্য দিয়ে। আমরা কি সবাই প্রস্তুত আছি, আছি আমরা প্রস্তুত? আন্দোলনে ত্যাগ স্বীকার করতে প্রস্তুত আছি?”
এই সময়ে ছাত্র দলের নেতা-কর্মীরা হাত উঁচু করে ‘হ্যাঁ’ সূচক জবাব দলে তিনি বলেন, ‘‘ ইনশাল্লাহ আমরা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে দেশনেত্রীকে মুক্ত করতে সক্ষম হবো, তাকে বিদেশে পাঠাতে সক্ষম হবো।”
জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী ছাত্র দলের উদ্যোগে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশে সুচিকিতসার জন্য পাঠানোর দাবিতে এই সমাবেশ হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ ঢাকা মহানগর ছাত্র দলের কয়েক হাজার নেতা-কর্মী খালেদা জিয়ার প্রতিকৃতি হাতে নিয়ে এই সমাবেশে অংশ নেয়। এই সমাবেশে ব্যাপক নেতা-কর্মীর উপস্থিতির কারণে এই সড়কে একটা পর্যায়ে যানবাহন চালাচলও বন্ধ হয়ে যায়।
‘খালেদাকে তারা পথে কাটা মনে করে’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘‘ দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী, গণতন্ত্রের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে দেশনেত্রীকে আপনারা বন্দি করে রেখেছেন। কারণটা কী? তাকে যদি বন্দি করে রাখা যায়, তাকে যদি অসুস্থাবস্থায় চিকিতসার জন্য বিদেশে পাঠানো না যায়, তিনি যদি জীবন থেকে চলে যান তাহলে আপনাদের(আওয়ামী লীগ) পথের কাটা দূর হবে।”
‘‘ আমি তাদেরকে বলতে চাই, তা হবে না।শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে হত্যা করে তারা ভেবেছিলেন যে, বোধহয় শেষ হয়ে গেলো বিএনপি, শেষ হয়ে গেলো বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের জায়গা। তা হয়নি।ঠিক একইভাবে বলতে চাই, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া সঠিকভাবেই তিনি তার উত্তরাধিকারী নির্বাচন করেছেন আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সাহেবকে এবং তারই নেতৃত্বে এই দল এগিয়ে যাচ্ছে।”
তিনি বলেন, ‘‘ দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া আমাদের স্বাধীনতার প্রতীক, আমাদের সার্বভৌমত্বে প্রতীক, আমাদের গণতন্ত্রের প্রতীক। তিনি আছেন বলেই এখনো গণতন্ত্রের সংগ্রাম চলছে, তিনি আছেন বলেই এখন আমাদের শত্রুরা আমাদের সীমান্তে তারা ভয় পায়।”
‘‘ এখনো আওয়ামী লীগ যে আছে ওই দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া বেঁচে আছেন বলেই এখনো আছে। তা না হলে আওয়ামী লীগ থাকবে না। এদেশের যদি গণতন্ত্রকে ঠিক রাখতে চাই, এদেশের যদি সত্যিকার অর্থেই সুশাসন চালুক রাখতে চাই, স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব সুরক্ষা করে জনগনের সমস্ত অধিকার যদি ফিরিয়ে আনতে চাই তাহলে অবশ্যই দেশনেত্রীকে এই রাজনীতিতে আবার ফিরিয়ে আনতে হবে,গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার করতে হবে, আমাদের তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনতে হবে।”
ছাত্র দলের সাবেক সভাপতি আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, ‘‘ বাংলাদেশের অবিসংবাদিত নেত্রী তিনি বাংলাদেশের কোনো নির্বাচনে জীবনে কখনো পরাজিত হননি। তার জনপ্রিয়তাকে যারা ভয় পান, এদেশকে যারা করদ রাজ্যে পরিণত করতে চায়, বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব যারা বিকিয়ে দিতে চায় সেই অপশক্তি, সেই তাবেদার শক্তি বেগম জিয়াকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দেয়ার জন্য ষড়যন্ত্র করছে। এই কথা মানুষ বিশ্বাস করতে শুরু করেছে।”
‘‘ আমাদের দলের পক্ষ থেকে আমরা স্পষ্ট করতে বলতে চাই, যদি আপনারা এটা অস্বীকার করে তাহলে প্রমাণ করুন। বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে দিন। প্রমাণ করুন স্বাধীনভাবে তিনি হাসপাতালে চিকিতসা নেবে এবং তিনি সুস্থ হয়ে ফিরে আসবেন। আপনি প্রমাণ করে দিন আপনারা এই ষড়যন্ত্রের সাথে যুক্ত নন। যদি তা না করেন, বাংলাদেশের মানুষ এটা বিশ্বাস করতে বাধ্য হবে।”
নব্বইয়ের ডাকসুর ভিপি আমান উল্লাহ আমান বলেন, ‘‘ যদি অনবিলম্বে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া চিকিতসার জন্য বিদেশে পাঠানো না হয় তাহলে এই অবৈধ ও ভোট ডাকাতির সরকার প্রধানকে সরানো জন্য বৃহত্তর কঠোর আন্দোলন কর্মসূচি গ্রহন করা হবে। এটাই আজকে ছাত্র দলের সমাবেশের আহবান বিএনপির নেতৃবৃন্দের কাছে।”
ছাত্র দলের সভাপতি ফজলুর রহমান খোকনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামলের পরিচালনায় সমাবেশে সাবেক ছাত্র নেতাদের মধ্যে ফজলুল হক মিলন, নাজিম উদ্দিন আলম, শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, এবিএম মোশাররফ হোসেন, সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, আমিরুল ইসলাম আলিম, মোস্তাফিজুর রহমান, আবদুল কাদির ভুঁইয়া জুয়েল, আকরামুল হাসান প্রমূথ বক্তব্য রাখেন।
Dhaka, Bangladesh রবিবার, ১২ জানুয়ারি, ২০২৫ | |
Salat | Time |
Fajr | 5:23 AM |
Sunrise | 6:43 AM |
Zuhr | 12:07 PM |
Asr | 3:10 PM |
Magrib | 5:31 PM |
Isha | 6:50 PM |