আজ সোমবার | ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ |২১শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি | বিকাল ৪:২৫
আবুবকর সিদ্দিক,জয়পুরিহাট প্রতিনিধি :-এবার জয়পুরহাট জেলায় শরিষার আবাদ বেশী হয়েছে। এই রবি মৌসুমে এই এলাকায় শুধু আলুর চাষই বেশী হতো, কিনÍু পরপর লোকসান হওয়ায় ,জেলায় শরিষার চাষ বেশী হওয়ায় বন্ধ তেলের মিল বা ঘানিগুলো প্রান ফিওে পেয়েছে। দীর্ঘদিন যাবৎ অনেক তেলের ঘানি বন্ধ ছিল এবার প্রচুর শরিষার আবাদ হওয়ায় আবার তেলের ঘানিগুলো চালু হলো জানালেন “ভাই ভাই” তেল কলের মালিক সোহরাব হোসেন। তিনি এবার প্রচুর শরিষা ক্রয় করেছেন তেলের ঘানি চালু রাখার জন্য। লোকসানে লোকসানে ঘানিগুলো বিক্রি করার কথা ভাবছিল , কিন্তু এবার শরিষার আবাদ দেখে কলিজাতে জোর হয়েছে বলে তিনি জানালেন।
অপরদিকে রতন তেল কলের মালিক আসাদুজ্জামান রাজু জানালেন যে, তার উৎপাদিত তেল বিএসটিআই কতৃক নিবন্ধিত রয়েছে। তিনি প্যাকেটজাত ও খোলা তেল ও বিক্রি করেন। তিনি বাংলাদেম সায়েন্স লেবরটরি থেকে প্রশিক্ষনও সনদ প্রাপ্ত একজন তেল ব্যাবসায়ী ।, তার ৮৪ টি তেলের ঘানি রয়েছে। জেলার মধ্যে এঁটাাই বৃহত্তম তেলের ঘানি এখানে তেলের ফিল্টার মেশিন আছে ফিল্টাওে তেল পরিশোধন কওে তা প্যাকেট জাত করা হয়।। তিনি জানালেন শরিষার জন্য অনেক সময় তেলের ঘানি বন্ধ রাখতে হয়। এবার ইনশাআল্লাহ কৃষকরা প্রচুর শরিষা আবাদ করেছে এই জন্য আর মিল বন্ধ’ রাখতে হবেনা। বেশী পরিমান শরিষার আবাদ হওয়ায় তেলের মুল্য ৫০ টাক কমে গেছে কেজী প্রতি।
জেলা ৬০ টির ও বেশী তেল কল ছিল শরিষার অভাবে অনেকে তেল কলগুলো বন্ধ কওে দিয়ে অন্য ব্যাবসায় তারা মনোয়োগ দিয়েছে। কৃষকরা এবার বুঝতে পেওে শরষিার আবাদ করেছে ্জেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ রাহেলা পারভীন এবার জেলায় ১৩ হাজারেরও বেশী হেক্টর জমিতে শরিষার চাষ হয়েছে।
শষ্য ভান্ডার খ্যাত জেলা জয়পুরহাটের মাঠে দিগন্তজুড়ে এখন শরিষার আবাদ হয়েছে । ৪হাজার টাকা পর্যন্ত মুল্য ছিল প্রতিমন শরিষার এখন শুকনো জাতের শরিষা ৩০০০/ টাকা থেকে ৩২ ০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর তেলের কেজী ১৭০ টাকা । পাইকারী ১৬৫ থেকে ১৬০ টাকা পর্যন্ত।কৃষি প্রধান এই জেলা রবি মৌসুমে আলু বেশী চাষ হলেও পরপর লোকসান হওয়ায় এবার আলুর পরিবর্তে শরিষার চাষ অনেকটায় বেড়ে গেছে। তাছাড়া সয়াবিন সহ ভোজ্য তেলের মুল্য বৃদ্ধি হওয়ায় , কৃষকরা যেন কোমর বেঁধেই শরিষার চাষ করেছে।।
অন্য ফসলের চেয়ে কীট পতঙ্গের আক্রমন, সেচ এবং রোগবালাই, ও খরচ তুলনামুলক অনেকটায় কম হওয়ায় এ জেলার চাষীদের কাছে দিন দিনই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে এর চাষ। আবহাওয়া অনুকুল থাকলে আর বাজার মুল্য ভাল পেলে শরিষা আরও বেশী উৎপাদন হবে ।প্রায় ২০ হাজারেরও বেশী মেট্রিকটন শরিষা উৎপাদিত হয়েছে।
শরিষা দেশের তেলের চাহিদা পুরুনে রাখবে গুরুত্বপুর্ন ভুমিকা। আর শরিষা হবে ধানের পরেই হবে ২য় স্থান। চাষের এ ধারা আগামী মৌসুমেও অব্যাহত থাকবে বলে আশা করছেন জেলা কৃষি বিভাগ।
আবহাওয়া অনুকুল থাকায় এবারের উৎপাদিত শরিষা কৃষকের মনে হাসি হাসি ফুটিয়েছে । প্রনোদনা বাড়লে এ ফসলের আবাদ আরো বাড়বে বলে ধারণা কৃষকদের। এছাড়া এখানকার উৎপাদিত শরিষা দেশের তেলের চাহিদা পুরুনে রাখবে গুরুত্বপুর্ন ভুমিকা, এমনটি মনে করছেন জেলা কৃষি বিভাগ।
Dhaka, Bangladesh সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪ | |
Salat | Time |
Fajr | 5:17 AM |
Sunrise | 6:37 AM |
Zuhr | 11:58 AM |
Asr | 2:58 PM |
Magrib | 5:18 PM |
Isha | 6:39 PM |