আজ সোমবার | ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ |২১শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি | সকাল ৯:২৭
ফেনী:-ব্ল্যাংক চেক নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে প্রতারণা করে আসছেন সুদিকারবারি রুমা আক্তার। সুদের বিনিময়ে টাকা হাওলাত নিতে গিয়ে রুমার ফাঁদে নিঃস্ব হয়েছেন কয়েক পরিবার। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো বর্তমানে আদালতে বারান্দায় বারান্দায় ঘুরছে। প্রতারক রুমা ফেনী শহর এলাকায় বিভিন্ন ব্যক্তিদের অবৈধ কাজের প্রলোভন দেখিয়ে জিম্মি করে চেক আদায়, স্ট্যাম্প দিয়ে টাকা-পয়সা হাতিয়ে নেয়া, বিভিন্ন মহিলাদের কৌশলে জিম্মি করে শারীরিক কাজে লিপ্তসহ নানা কাজ করে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে পৃথক পৃথক অঙ্কে প্রায় দুই কোটি টাকার চেকের একাধিক মামলা দায়ের করেছে প্রতারক রুমা আক্তার। ইতিপূর্বে একটি মেয়েকে দিয়ে জোরপূর্বক যৌনাচারসহ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় রুমা গ্রেপ্তার হয়ে প্রায় ৭ মাস কারাবন্দি ছিলেন। জামিনে বের হয়ে আবারো একই কাজ করে যাচ্ছে রুমা। রুমা ও তার দ্বিতীয় স্বামীর মাদক ব্যবসাসহ নানা ধরনের প্রতারণার প্রতিকার চেয়ে একাধিক মামলা ও জিডি করেছে ভুক্তভোগীরা।
অভিযুক্ত রুমা আক্তার (৪২) ফেনী শহরের রামপুর এলাকার মিয়াজী বাড়ির মৃত কামাল উদ্দিনের স্ত্রী। স্বামীর মৃত্যুর পর সাহাব উদ্দিন সিহাব নামে এক ব্যক্তিকে দ্বিতীয় বিয়ে করে রামপুরে প্রথম স্বামীর বাড়িতে বসবাস করে স্বামী-স্ত্রী দু’জনেই নিয়মিত প্রতারণা করে বেড়াচ্ছে।
আদালত, থানা ও অভিযুক্ত ব্যক্তিদের সূত্রে জানা যায়, রুমা আক্তার বিগত কয়েক বছরে নাছির উদ্দিন ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে ৫৫ লাখ টাকা, সেলিনা আক্তারের বিরুদ্ধে ৩১ লাখ ৭০ হাজার টাকা, হাজী জসিমের বিরুদ্ধে ২০ লাখ টাকা, ব্যাগ দোকানদার (শাহীন একাডেমি রোড) এর বিরুদ্ধে ২০ লাখ টাকা, রিনা আক্তার (দাগনভূঞা) এর বিরুদ্ধে ১৫ লাখ ৭০ হাজার টাকা, রোজীর বিরুদ্ধে ১৫ লাখ টাকা, আবুল বশরের বিরুদ্ধে ১০ লাখ টাকা, রিনা বেগম (শর্শদি, ফেনী) এর বিরুদ্ধে ৮ লাখ টাকা, হৃদয়ের বিরুদ্ধে ৮ লাখ টাকা, ফল দোকানদার (তাকিয়া রোড) এর বিরুদ্ধে ৬ লাখ টাকাসহ ১ কোটি ৮৯ লাখ ৪০ হাজার টাকার চেকের মামলা দায়ের করেছে।
এদিকে রুমার বিরুদ্ধে জনৈক নুসরাত নামে এক নারী বাদী হয়ে রুমাসহ ১০-১২ জনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ৫(৩) ধারায় ধর্ষণ ও যৌন নির্যাতনের অভিযোগে ফেনী মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় ২০১৮ সালের ২৮শে জুলাই রুমা গ্রেপ্তার হয়ে প্রায় ৭ মাস জেলহাজতে ছিলেন রুমা। এ ছাড়া রুমার বিরুদ্ধে ১২ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ ও পর্নোগ্রাফি আইনে ফেনী মডেল থানায় আরও একটি মামলা দায়ের করেন হাজি জসিম নামে এক ব্যক্তি। ওই মামলায়ও রুমাকে গ্রেপ্তার করেছিলো পুলিশ।
অভিযুক্ত রুমা আক্তার তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আমি নিরীহ মানুষ, আমাকে ফাঁসানো হয়েছে। আমি সুদের বিনিময়ে টাকা দিয়ে মানুষকে সহযোগিতা করেছি। উল্টো সুদের টাকা না দিয়ে সকলে আমার সঙ্গে প্রতারণা করে যাচ্ছেন। আমি এ পর্যন্ত তিনটি মামলা করেছি।
ফেনী পৌরসভার ১৬নং ওয়ার্ডের (রামপুর) কাউন্সিলর আমির হোসেন বাহার জানান, ‘রুমা কাউকে ২০ হাজার টাকা সুদের বিনিময়ে দিয়ে ব্ল্যাংক চেক নিলে সেই চেকে ২০ লাখ টাকা উল্লেখ করে। কাউকে ৫ হাজার টাকা দিলে ব্ল্যাংক চেকে সে ৫ লাখ টাকা উল্লেখ করে।’
ফেনী মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এস আই) রবিউল ইসলাম বলেন, গত ১৩ই নভেম্বর থানায় রুমা ও তার স্বামী সাহাব উদ্দিনের বিরুদ্ধে চেক চুরির একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে রিনা আক্তার। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছে। তদন্তে সত্যতা পেলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Dhaka, Bangladesh সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪ | |
Salat | Time |
Fajr | 5:17 AM |
Sunrise | 6:37 AM |
Zuhr | 11:58 AM |
Asr | 2:58 PM |
Magrib | 5:18 PM |
Isha | 6:39 PM |