মনির হোসেন জীবন- রাজধানীর ভাটারা থানার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় একটি বাসায় তেলাপোকা মারার বিষক্রিয়ায় দুই শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় বালাইনাশক পেস্ট কন্ট্রোল সার্ভিস কোম্পানির এমডি ও চেয়ারম্যানকে আটক করেছে লালবাগ গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। গোয়েন্দা পুলিশ বলছে, আটককৃতরা হলেন, আশরাফ ও ফরহাদ। এঘটনায় গত রোববার (৪ জুন) ভোরে শাহিল মোবারত জায়ান (৯) ও একইদিন রাত ১০টায় শায়েন মোবারত জাহিন (১৫) মারা যায়। এছাড়া নিহত দুই শিশুর মা শারমিন জাহান লিমা ও বাবা মোবারক হোসেন বিষক্রিয়ায় অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
আজ বৃহস্পতিবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে টাঙ্গাইল ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জেলায় পৃথক দুটি অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করে ডিবি পুলিশ। ডিএমপি’র গোয়েন্দা লালবাগ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মশিউর রহমান তাদেরকে আটকের বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, তেলাপোকা মারার বিষক্রিয়ায় দুই শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় লালবাগ গোয়েন্দা বিভাগ ছায়া তদন্ত শুরু করে। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় কোম্পানির এমডি ও চেয়ারম্যানের অবস্থান শনাক্ত করা হয়। পরে আজ টাঙ্গাইল ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পৃথক অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এ বিষয়ে পরবর্তীতে বিস্তারিত জানানো হবে বলেও জানান ডিসি মশিউর রহমান।
ডিএমপি ভাটারা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল বাসার মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান জানান, গত মঙ্গলবার (৬ জুন) সকালে দুই শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় সোমবার (৫ জুন) রাতে বালাইনাশক কোম্পানির কর্মকর্তা টিটু মোল্লাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি ওই বাসায় তেলাপোকা মারার বিষ স্প্রে করেছিলেন। তাকে বিশদ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ইতোমধ্যে সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। ওসি আরও বলেন, এ ঘটনায় নিহত শিশুদের বাবা মোবারক হোসেন তুষার ঘটনার দিন গত সোমবার তিনজনকে আসামি করে ভাটারা থানায় একটি মামলা করেন। সেটির তদন্ত চলছে। গ্রেপ্তার টিটু মোল্লাকে জিজ্ঞাসাবাদের পর সন্দেহভাজন হলে আসামির সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। আরও গ্রেপ্তারে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।
পুলিশ ও নিহতদের পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার (২ জুন) বসুন্ধরার আই ব্লকের একটি নতুন বাসায় পেস্ট কন্ট্রোল সার্ভিসের কর্মীরা তেলাপোকা মারার বিষ স্প্রে করেন। এর দুই দিন পর ভুক্তভোগী পরিবারটি ওই বাসায় ওঠে। বাসায় প্রবেশ করেই অসুস্থ হয়ে পড়েন পরিবারের সদস্যরা। পরে তাদের হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরবর্তীতে গত রোববার (৪ জুন) ভোরে শাহিল মোবারত জায়ান (৯) ও রাত ১০টায় শায়েন মোবারত জাহিন (১৫) মারা যায়। পুলিশ সূত্র বলছে, এছাড়া নিহত দুই শিশুর মা শারমিন জাহান লিমা ও বাবা মোবারক হোসেন বিষক্রিয়ায় অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।