আজ বুধবার | ১০ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৫শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ |২৩শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি | দুপুর ১২:৫৩
ঢাকা : ভারতে ব্যাপকভাবে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায় দেশটির সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ। আগামীকাল সোমবার (২৬ এপ্রিল) সকাল ৬টা থেকে ১৪ দিন সীমান্ত বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন। রোববার (২৪ এপ্রিল) টেলিফোনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে এই সময়ে পণ্যবাহী পরিবহন চলাচল অব্যাহত থাকবে। আর যারা দু’দেশে আটকে পড়বেন তারা দূতাবাসের মাধ্যমে ফিরতে পারবেন।
এদিকে ভারতের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা সম্পূর্ণ ভেঙে পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। দেশটির বিভিন্ন প্রান্তে সৃষ্টি হয়েছে অক্সিজেনের চরম সংকট। জ্বালানো হচ্ছে গণচিতা। জায়গা মিলছে না হাসপাতালের মর্গে। এমতবস্থায় দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, ‘ধৈর্যের পরীক্ষা চলছে’।
এমন পরিস্থিতিতে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সীমান্ত আপাতত বন্ধ রাখার পরামর্শ দিয়েছেন করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) মোকাবিলায় গঠিত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ সহিদুল্লা। কেননা ওই দেশটিতে করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিয়েছে।
শনিবার (২৪ এপ্রিল) রাতে তিনি বলেন, ব্যক্তিগতভাবে তিনি মনে করেন বর্তমান পরিস্থিতিতে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সীমান্ত বন্ধ করা উচিত। বন্ধ করতে পারলে ভালো, আর যদি বিভিন্ন কারণে বন্ধ করা না যায়, তাহলে সীমিত আকারে নামিয়ে আনা দরকার। এছাড়াও যারা আসবেন তাদের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করতে হবে।
এরই প্রেক্ষিতে আগামীকাল থেকে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত ১৪ দিন বন্ধ ঘোষণা করেছে সরকার। বিভিন্ন সংগঠন ও সরকারের করোনা বিশেষজ্ঞ জাতীয় কমিটির পরামর্শের প্রেক্ষিতে সরকার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
গতকাল ভারতের সঙ্গে ৩০ দিন সীমান্ত বন্ধের দাবিতে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা গণমাধ্যমে বিবৃতি পাঠিয়েছেন। বিবৃতিতে তারা বলেন, ভারতে করোনাভাইরাসের ব্যাপক বিস্তার ও ভারতের পশ্চিম বাংলায় করোনাভাইরাসের ট্রিপল মিউটেশন ভ্যারিয়েন্ট B.1.168 (বেঙ্গল স্ট্রেইন) আবির্ভাব ঘটার সংবাদে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জনস্বাস্থ্য সংগ্রাম পরিষদ। মারাত্মক সংক্রমক এই বেঙ্গল স্ট্রেইনের বাংলাদেশে প্রবেশ প্রতিরোধ লক্ষ্যে ভারত থেকে আগমন ও প্রস্থান বাতিল করতে আগামী ৩০ দিন সীমান্ত বন্ধ করার জোর দাবি জানিয়েছেন।
শনিবার জনস্বাস্থ্য সংগ্রাম পরিষদ আহবায়ক ডা. ফয়জুল হাকিম, মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা হারুন অর রশিদ,জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা রওশন আরা, জনস্বাস্থ্যসেবা সংগঠক অনুপ কুণ্ডু ও সামিউল আলম এক যুক্ত বিবৃতিতে এ দাবি জানান।
বিবৃতিতে নেতারা আরও বলেন, মহামারি কোভিড-১৯ প্রতিরোধে প্রথম থেকেই জনগণকে সম্পৃক্ত করার নীতি গ্রহণ না করে শেখ হাসিনা সরকার আমলা নির্ভর ভ্রান্ত নীতি গ্রহণ করায় দেশের জনস্বাস্থ্য আজ এক হুমকির মুখে পড়েছে।কোভিড-১৯ নিয়ন্ত্রণ না হয়ে কমিউনিটি পর্যায়ে সংক্রমণ বিস্তার স্থায়ী হতে চলেছে।
বিবৃতিতে এশিয়ায় ভারত, কোরিয়া, ইরান প্রভৃতি দেশ করোনা ভ্যাক্সিন উৎপাদন প্রক্রিয়ায় থাকলেও বাংলাদেশে করোনা ভ্যাক্সিন উৎপাদনে যেমন সরকারি মহলের কোনো আগ্রহ ছিল না, তেমনি দেশের বাইরে থেকে ভ্যাকসিন আমদানিতে সঠিক বাস্তবানুগ পরিকল্পনা ছিল না।সরকার শুধুমাত্র ভারতের সিরাম ইনিস্টিউটের তৈরি করা অক্সফোর্ড-অস্ট্রাজেনিকা ভ্যাক্সিন আমদানি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল এবং তা সরাসরি সরকারিভাবে ক্রয়ের সিদ্ধান্ত না নিয়ে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বেক্সিমকোর মাধ্যমে ক্রয়ের ব্যবস্থা করেছিল।এখন ভারতের কোভিড-১৯ পরিস্থিতি বিপজ্জনক হওয়ায় বাংলাদেশের ভ্যাকসিন প্রাপ্তি অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
বিবৃতিতে দৈনিক টেস্টের সংখ্যা বৃদ্ধি করা, করোনা প্রতিরোধে জনগণকে সম্পৃক্ত করার নীতি গ্রহণ করা , আগামী বাজেটে কোভিড-১৯ প্রতিরোধকে অগ্রাধিকার দিয়ে সামরিকখাতসহ অনুৎপাদক খাতে বরাদ্দ হ্রাস করে স্বাস্থ্যখাত,শিল্প ও কৃষি খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধির দাবি জানানো হয়।
Dhaka, Bangladesh বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর, ২০২৪ | |
Salat | Time |
Fajr | 5:17 AM |
Sunrise | 6:38 AM |
Zuhr | 11:59 AM |
Asr | 2:59 PM |
Magrib | 5:19 PM |
Isha | 6:40 PM |