আজ সোমবার | ২২শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ৬ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ |৬ই রজব, ১৪৪৬ হিজরি | সন্ধ্যা ৬:৪১
ঢাকা: স্ত্রী আর দুই বছরের কন্যাসন্তানকে নিয়ে বেশ ভালোই দিন কাটছিল রাজধানীতে বাস করা জয়পুরহাটের পাঁচবিবি পৌর এলাকার ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার রুহুল আমিন নোমানের (৩২)। কিন্তু রোববার মগবাজারে আকস্মিক বিস্ফোরণের ঘটনায় যেন সবকিছুই শেষ হয়ে যায়। একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে এখন দিশেহারা তার মা-বাবা।
একমাত্র ছেলের এমন মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনায় কোনো সান্তনাই থামাতে পারছে না মা রহিমা বেগমের বুকফাটা আর্তনাদ।
গত রোববার রাজধানীর মগবাজারের ভয়াবহ বিস্ফোরণ কেড়ে নিয়েছে তার একমাত্র ছেলে নোমানের জীবন। মগবাজার চৌরাস্তায় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন নোমান। প্রতিদিনের মতো কাজ শেষে অফিস থেকে বের হয়ে বাসায় ফেরার পথেই এ দুর্ঘটনার শিকার হন তিনি।
নোমানের অকালমৃত্যুর খবর বাড়িতে এসে পৌঁছালে পরিবার ও আত্মীয়স্বজনদের কান্নায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।
নোমানের বাবা ডা. খয়বর আলী কাঁদতে কাঁদতে বলেন, আমার ২ মেয়ে ও এক ছেলে। নোমান সবার ছোট। ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে পড়ালেখা শেষে একটি কোম্পানিতে চাকরি করত। প্রতিদিনের মতো ঘটনার দিনও মগবাজার চৌরাস্তার মোড় অফিস শেষে মালিবাগ বাসায় ফিরছিল সে।
ছোট বেলা থেকেই লেখাপড়ায় আর খেলাধুলায় পারদর্শী নোমানের এমন মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না সহপাঠীরাও।
সচেতন নাগরিক সমাজের অভিযোগ কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার কারণেই প্রতিনিয়ত রাজধানীতে এমন দুর্ঘটনার শিকার হন দেশের বিভিন্ন জেলের মানুষ।
দুই বছরের নুহা বাবার কোলে চড়ে আর ঘুরে বেড়াতে পারবে না কোনোদিন। বাবার সঙ্গে তোলা ছবিই এখন একমাত্র সম্বল ছোট্ট এ শিশুটির। ছোট্ট শিশুটি খুঁজে ফিরছে তার বাবাকে।
Dhaka, Bangladesh সোমবার, ৬ জানুয়ারি, ২০২৫ | |
Salat | Time |
Fajr | 5:22 AM |
Sunrise | 6:42 AM |
Zuhr | 12:04 PM |
Asr | 3:06 PM |
Magrib | 5:27 PM |
Isha | 6:47 PM |