- প্রচ্ছদ
-
- প্রবাসের সংবাদ
- মালয়েশিয়া শ্রমবাজারে ২৫ সিন্ডিকেটের অপচেষ্টা এবং এয়ার টিকেটের অযৌক্তিক ২/৩ গুন মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
মালয়েশিয়া শ্রমবাজারে ২৫ সিন্ডিকেটের অপচেষ্টা এবং এয়ার টিকেটের অযৌক্তিক ২/৩ গুন মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
প্রকাশ: ২৬ জানুয়ারি, ২০২২ ৮:২৪ পূর্বাহ্ণ
খন্দকার মাসুদ উজ জামান::-মালয়েশিয়ার মাননীয় মানবসম্পদ মন্ত্রী H.E.M SARAVANAN ২৫ সিন্ডিকেটের পক্ষে ১৪/০১/২০২২ ইং তারিখে বাংলদেশের মাননীয় প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী জনাব ইমরান আহম্মেদ এমপি বরাবর একটি পত্র প্রেরন করেন যাহা খুবই দুঃখজনক। মালয়েশিয়ার সকল রিক্রুটিং এজেন্সি যুক্ত থাকবে আর বাংলাদেশের ক্ষেত্রে ২৫ এজেন্সি সিন্ডিকেট এবং ২৫০ সাব এজেন্ট এর প্রস্তাব চরম অনৈতিক অনভিপ্রেত সমতার পরিপন্থী এবং স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের জন্য চরম অবমাননাকর। গতকাল রাজধানী’র সেগুন বাগিচা ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সাগর-রুনি মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাধারণ রিক্রুটিং এজেন্সির মালিক বৃন্দের সভাপতি এম টিপু সুলতান এসব তথ্য তুলে ধরেন। তিনি বলেন, দেশের সকল বৈধ রিক্রুটিং এজেন্সি সমূহ একই জামানত প্রদান করে লাইসেন্স প্রাপ্ত হয়েছে। আইনগত ভাবে সকল রিক্রুটিং এজেন্সি সমমানের হওয়া স্বত্বেও ২৫ এজেন্সি মুল সিন্ডিকেট আর তাদের সাব এজেন্ট (দালাল) হবে ২৫০ এজেন্সি এটি রিক্রুটিং এজেন্সি সমূহের জন্য চরম অবমাননাকর। একটি রিক্রুটিং এজেন্সি অন্য একটি সমমানের রিক্রুটিং এজেন্সির সাব এজেন্ট কোন অবস্থায়ই হতে পারে না। ২৫ এজেন্সি এবং ২৫০ এজেন্সি নির্ধারনে যােগ্যতার মাপকাঠিই বা কি? নেপালের ১৬০০+ এজেন্সি সহ কর্মী প্রেরনকারী অন্য সকল দেশ মালয়েশিয়াতে সিন্ডিকেটমুক্ত ভাবে সকল রিক্রুটিং এজেন্সি কর্মী প্রেরন করতে পারে। একসাগর রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের সকল বৈধ রিক্রুটিং এজেন্সি কেন মালয়েশিয়া শ্রমবাজারে কর্মী প্রেরনের অধিকার প্রাপ্ত হবে না ? আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি বাংলাদেশ সরকার তথা মাননীয় প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী মহােদয় ২৫ সিন্ডিকেটের প্রস্তাব গ্রহন না করে সকল বৈধ রিক্রুটিং এজেন্সি সমূহকে মালয়েশিয়া শ্রমবাজারে কর্মী প্রেরনের অধিকারের কথা উল্লেখ করে ১৮/০১/২০২২ইং তারিখে মালয়েশিয়ার মানব সম্পদ মন্ত্রী মহােদয় বরাবর যে পত্র দিয়েছেন (ওপেন ফর অল) সকল বৈধ রিক্রুটিং এজেন্সির সমঅধিকার সেটিকে আমরা স্বাগত জানাই এবং মালয়েশিয়ার নিয়োগকর্তা বৃন্দ বাংলাদেশের সকল বৈধ রিক্রুটিং এজেন্সি হতে স্বাধীন ভাবে কর্মী গ্রহন করবে। বাংলাদেশ মালয়েশিয়া আসন্ন ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে প্রস্তাবটি সংযোজন সহ বাস্তবায়ন চাই মধ্যপ্রাচ্যগামী রেমিট্যান্স যােদ্ধাদের নিকট হতে বাংলাদেশ বিমান এয়ার টিকেট অযৌক্তিকভাবে ২/৩ গুন ভাড়া বৃদ্ধি করেছে। বাংলাদেশ বিমানে লন্ডন যেতে ২০/২২ ঘন্টা সময় লাগে টিকেটের মূল্য ৫৫/৬০ হাজার টাকা আর মধ্যপ্রাচ্য ৪/৫ ঘন্টা সময় লাগে টিকেটের মূল্য ৭৫/৯৫ হাজার টাকায় ও চাহিদা অনুযায়ী টিকেট পাওয়া যায় না। ফলে ফরেন এয়ার লাইন্স সমূহ বাংলাদেশ বিমানকে অনুসরন করে ২/৩ গুন ভাড়া বৃদ্ধি করেছে। আর্থিক ভাবে মারাত্মক শোষিত হচ্ছে বিদেশগামী অসহায় রেমিট্যান্স যােদ্ধাবৃন্দ। যেহেতু বাংলাদেশ বিমান মাত্র ১০/১২% যাত্রী বহন করে এই সুযোগে ফরেন এয়ারলাইন্স সমূহ ২/৩ গুন বেশি বৈদেশিক রেমিট্যান্স টিকেটের মাধ্যমে বাংলাদেশ হতে নিয়ে যাওয়ার সুযোগ পাচ্ছে। আমরা দৃঢ়ভাবে বলতে চাই, বাংলাদেশ বিমানের অযৌক্তিক মুনাফা লাভের কারনেই মূলত দেশের হাজার হাজার কোটি ডলার কষ্টার্জিত বৈদেশিক মুদ্রা বিদেশী এয়ারলাইন্স গুলাে ২/৩ গুন বেশি ভাড়ার মাধ্যমে দেশ হতে নিয়ে যাচ্ছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নজরে আনার জন্য আমরা সাধারন রিক্রুটিং এজেন্সি মালিকবৃন্দ রেমিট্যান্স যোদ্ধা ও দেশের স্বার্থে মানববন্ধন, সাংবাদিক সম্মেলন সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষেকে লিখিত পত্র দেওয়ার পরেও আজ পর্যন্ত মধ্যপ্রাচ্যগামী এয়ার টিকেটের মূল্য যৌক্তিক পর্যায়ে আসেনি। মধ্যপ্রাচ্যগামী রেমিট্যান্স যোদ্ধাবৃন্দ ২৫/৩০ হাজার টাকার এয়ার টিকেট বর্তমানে ৭৫/৯৫ হাজার টাকার অধিক মূল্য দিয়ে ক্রয় করতে বাধ্য হচ্ছে এবং চাহিদা অনুযায়ী টিকেট পাওয়া যাচ্ছে না। একই গন্তব্যের টিকেট আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, শ্রীলঙ্কা হতে ২০/৩০ হাজার টাকায় পাওয়া যায়। (১) জরুরী ভিত্তিতে বাংলাদেশ বিমান সহ মধ্যপ্রাচ্যগামী এয়ারলাইন্স সমূহকে চাহিদা অনুযায়ী দ্রæত ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট আন্তর্জাতিক এয়ারপোর্ট হতে ফ্লাইট সংখ্যা বৃদ্ধি করতে হবে। (২) রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের জন্য বাংলাদেশ বিমান সহ সকল এয়ারলাইন্সে লেবার ফেয়ার নির্ধারণ করতে হবে। (৩) বাংলাদেশকে ওপেন স্কাই ঘোষনা ও বাস্তবায়নের জন্য আন্তর্জাতিক এয়ারলাইন্স সমূহকে আমন্ত্রণ জানিয়ে সংকটের স্থায়ী সমাধান করতে হবে। (৪) বাংলাদেশ বিমান সহ সকল বৈদেশিক এয়ারলাইন্স সমূহকে যৌক্তিক ভাড়া নিশ্চিত করতে সরকারের কঠোর নজরদারির আওতায় আনতে হবে এবং ২/৩ গুন মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে জড়িত (সিন্ডিকেট) এর দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। মধ্যপ্রাচ্যগামী এয়ার টিকেটের মূল্য বৃদ্ধি রোধে সংশ্লিষ্ট রুটে জরুরী ফ্লাইট সংখ্যা বৃদ্ধি করে এয়ার টিকেটের যৌক্তিক ভাড়া নিশ্চিত করা এবং মালয়েশিয়া শ্রমবাজারের ২৫ সিন্ডিকেটের অপচেষ্টা বন্ধ করতে(সিন্ডিকেট মুক্ত ভাবে) দেশের সকল বৈধ রিক্রুটিং এজেন্সি সমূহ যাহাতে মালয়েশিয়াতে কর্মী প্রেরনের অধিকার প্রাপ্ত হয়। দেশ ও জাতির সামনে বস্তুনিষ্ঠ প্রতিবেদন প্রকাশ করে বিদেশগামী রেমিট্যান্স যােদ্ধা, রিক্রুটিং এজেন্সি এবং দেশের বৃহত্তম স্বার্থে ধারাবাহিক ভূমিকা পালন করার অনুরোধ সহ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করছি। সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সাধারন রিক্রুটিং এজেন্সি মালিক বৃন্দের পক্ষে: আরিফুর রহমান, মহাসচিব, রিক্রুটিং এজেন্সিজ ঐক্য পরিষদ। লিমা বেগম, মহাসচিব, বায়রা সদস্য কল্যান পরিষদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা সাহাদাত হোসেন। সভাপতি- ড্রামস, ড. মোঃ ফারুক, সভাপতি, রিয়াজুল ইসলাম, সিনিয়র সহ-সভাপতি, বীর মুক্তিযোদ্ধা মােস্তফা মাহমুদ, মহাসচিব, সম্মিলিত সমন্বয় ফন্ট বায়রা, ফখরুল ইসলাম, সভাপতি, হক জহিরুল জু, মহাসচিব, রিক্রুটিং এজেন্সিজ ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশন অব বাংলাদেশ, মোশাররফ হোসেন, আহবায়ক, মোবাইল: মোহাম্মদ আলী, সদস্য সচিব, সচেতন বায়রা গণতানত্রিক ফোরাম, মুজিবর রহমান মুজিব, সভাপতি, মোজাম্মেল হক, মহাসচিব, বায়রা গণতান্ত্রিক ঐক্য ফ্রন্ট, জামিল হোসাইন, আহবায়ক, স্বাধীনতা রিক্রুটিং এজেন্সিজ পরিষদ।
Please follow and like us:
20 20