আজ শনিবার | ২৭শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১১ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ |১১ই রজব, ১৪৪৬ হিজরি | বিকাল ৫:৪৪
বিডি দিনকাল ডেস্ক :- আওয়ামী লীগ সুপরিকল্পিতভাবে নতুন প্রজন্মকে ভ্রান্ত ইতিহাস জানাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
রোববার বিকালে প্রেস ক্লাবে ৭ মার্চের আলোচনা সভায় বিএনপি মহাসচিব এই অভিযোগ করেন।
তিনি বলেন, ‘‘ এদেশের মানুষ পাকিস্তানিদের যে বৈষ্যমমূলক চিন্তাভাবনা, তাদের যে পজিশন, বাংলাদেশের মানুষকে অভাবি করবার সম্পূর্ণভাবে যে উদ্যোগ তার বিরুদ্ধে এই দেশের মানুষ রুখে দাঁড়িয়েছিলো। সবই আমাদের ছাত্ররা করে গেছে ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে। এভাবে প্রতিটি মুহুর্তে প্রতিটি সময়ে এই দেশে ছাত্র-ছাত্রীরা, তরুনরা-যুবকরা তাদের দেশের স্বাধীনতাকে আনবার জন্যে, তাদের অধিকারকে রক্ষা করবার জন্যে একটা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা নির্মাণ করবার জন্যে তারা লড়াই করেছে, যুদ্ধ করেছে, বুকের তাজা রক্ত দিয়ে দিয়েছে।”
‘‘ আওয়ামী লীগ কী করেছে? আওয়ামী লীগ অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে এই নতুন প্রজন্মকে সেই ইতিহাস থেকে বঞ্চিত করে তাদেরকে ভ্রান্ত ইতিহাস দিচ্ছে। একটা ধারণা দিচ্ছে যে, একটি মাত্র দল, একজনই মাত্র ব্যক্তি আর একটি গোষ্ঠি যারা এদেশের সব কিছু এনে দিয়েছে। সব স্বাধীনতা এনে দিয়েছে, উন্নয়ন এনে দিয়েছে, এখানে মানুষের অধিকারগুলো এনে দিয়েছে। মিথ্যা ইতিহাস দিয়ে তারা প্রজন্মকে বিভ্রান্ত করছে।”
ফখরুল বলেন, ‘‘ আমরা সেই ধারণা, সেই সত্যটা তুলে ধরতে চাই। আমরা তুলে ধরতে চাই এদেশের স্বাধীনতার জন্য কখন কবে থেকে কারা কারা প্রাণ দিয়েছে, রক্ত দিয়েছে, সংগঠিত করেছে, সংগ্রাম করেছে। একটা কথা দেখবেন তাদের বক্তব্যের কোথাও.. এই তোফায়েল আহমেদের কথা খুঁজে পাবেন না। পাবেন না তারা যখন বক্তব্য দেয় তোফায়েল আহমেদের কথা। তারা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী নাম একবারও উচ্চারন করে না।”
‘‘ এমনকি যুদ্ধের যে সর্বাধিনায়ক এমএজি ওসমানি ছিলেন তার নাম একবারও উচ্চারণ করে না। এমনকি যুদ্ধকালীন সময়ে যে প্রবাসী সরকার যিনি নেতৃত্ব দিলেন তাজউদ্দিন আহমেদ তার নাম একবারও উচ্চারণ করে না। এতো সংকীর্ণ এরা। কত ভয়ংকর যে, শুধুমাত্র ব্যক্তিগত স্বার্থে ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য, নিজেকে মহিমান্বিত করবার জন্য, একজন মানুষকে মহিমান্বিত করবার জন্য, একটি পরিবারকে মহিমান্বিত করবার জন্য তারা শুধুমাত্র মিথ্যা ইতিহাস এদেশের মানুষকে চাপিয়ে দিতে চায়।”
জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে বিএনপির স্বাধীনতার সূবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন জাতীয় কমিটির উদ্যোগে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ দিবস উপলক্ষে এই আলোচনা সভা হয়। আলোচনা সভার ব্যানারে লেখা আছে ৭ মার্চ উপলক্ষে আলোচনা সভা।ব্যানারের একদিকে ওই সময়ে উতোলিত মানচিত্র সম্বলিত লাল-সবুজ জাতীয় এবং অন্যদিকে জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানে ছবি।”
একাত্তর সালে ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঐতিহাসিক ভাষন দেন।
সভাপতির বক্তব্যে জাতীয় কমিটির আহবায়ক খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘‘ আমরা কাউকে ছোট না বা কাউকে বড় করা বা ইতিহাসকে বিকৃত করার জন্য আমরা এখানে আলোচনা করতে আসিনি। আমরা জনগনের কাছে প্রকৃত ইতিহাস তুলে ধরার জন্য এই আলোচনা অনুষ্ঠান করছি। আমরা ১ মার্চ যেদিন একটি নির্বাচিত সংসদের অধিবেশন স্থগিত করে দিয়েছিলো সেইদিনই আমরা বিএনপি সূবর্ণ জয়ন্তীর সারা বছরের কর্মসূচির উদ্বোধন করেছি, যা উদ্বোধন করেছেন আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত তারেক রহমান। আমরা ২ মার্চ পতাকা উত্তোলন, ৩ মার্চ স্বাধীনতা ইশতেহারের দিবসটিও আমরা পালন করেছি।”
‘‘ এরপর ৭ মার্চ।এই দিন মানুষ আশা করেছিলো যেখানে ছাত্র সমাজ পতাকা উত্তোলন করেছেন আসম আসম আবদুর রব, স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠ করেছেন শাহজাহান সিরাজ তাহলে ৭ মার্চ স্বাধীনতার ঘোষণা আসবে। আমি তখন উচ্চ শিক্ষার্থে বিদেশে ছিলাম। লন্ডনে থেকে আমরা ছাত্ররা বাংলাদেশের সংগ্রামী ছাত্র সমাজ নাম দিয়ে একটি সংগঠন করেছিলাম যার আহবায়ক ছিলাম আমি। আমরাও মনে করেছি ৭ মার্চ স্বাধীনতার ঘোষণা হবে। তখন আমরা লন্ডনে আওয়ামী লীগ, ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ, ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন… যৌথভাবে হাইপার্স পিকারস কর্নারে সমাবেশ ডেকেছিলাম। সেই সমাবেশে আমরা কিন্তু স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলন ও স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলাম। কারণ তখন এরকমের মোবাইলের যুগ ছিলো না। আমরা লন্ডনে তখনও জানতে পারেনি ৭ মার্চ স্বাধীনতার ঘোষণা হয়নি। এইভাবে বিবেচনা করতে হবে স্বাধীনতার ঘোষণার জন্য বাংলাদেশের ছাত্র সমাজ দেশ-বিদেশে যে প্রত্যাশা করেছিলো, সেই প্রত্যাশা পুরণ হয় নাই।”
তিনি বলেন. ‘‘ অনেকে আমাদের প্রশ্ন করছেন যে, আপনারা আগে তো সূবর্ণ জয়ন্তী পালন করেন নাই। আমরা সূবর্ণ জয়ন্তীর একটি দিন হিসেবে ৭ মার্চ পালন করছি। ইতিপূর্বে স্বাধীনতার সূবর্ণ জয়ন্তী আর আসে নাই।আমরা প্রকৃত ইতিহাস তুলে ধরতে এই দিনটি পালন করছি।”
‘‘ যখন ওই সময় নির্বাচিত সংসদ ডেকে স্থগিত করে দেয়া হয়েছে তখন সারাদেশে পূর্ব পাকিস্তান উত্তাল হয়ে গিয়েছিলো। কেননা এটা গণতান্ত্রিক অধিকার, পাকিস্তানের সাংবিধানিক অধিকার যে, সংখ্যাগরিষ্ট দলের কাছে ক্ষমতা ছেড়ে দিতে হবে। পাকিস্তানের জান্তা তারা নানা রকমের টালবাহানা করছিলো-এমনি প্রেক্ষাপটে ৭ মার্চের ভাষন অবশ্যই ঐতিহাসিক এবং জনগনকে উদ্দিপ্ত করার জন্য, জনগনকে ঐক্যবদ্ধ করার জন্য কিছু নির্দেশনা ছিলো।”
খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘‘ এটা আমরা অস্বীকার করতে চাই না এখানে ওই বক্তব্যের পেছনে সেই সময়ের অবিসংবাদিত নেতা জনাব মরহুম শেখ মুজিবুর রহমান। এটাও আমরা অস্বীকার করি না। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান তিনি যতবার জাতির উদ্দেশ্যে আনুষ্ঠানিক এবং জাতীয় সংসদে বক্তব্য রেখেছেন যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য, মুক্তিযুদ্ধের জন্য অবদান রেখেছেন তাদের সকলকে স্মরণ করতে গিয়ে শেখ মুজিবুর রহমানের নামও স্মরণ করেছেন। তেমনিভাবে আমাদের নেত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া যতবার সংসদে বক্তব্য রেখেছেন এবং তিনি জাতির উদ্দেশ্যে ভাষন দিয়েছেন তিনি স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের অবদান রেখেছেন তাদেরকে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন সেখানে শেখ মুজিবুর রহমানের নাম ছিলো।”
‘‘ আমরা ইতিহাসকে অবজ্ঞা করতে চাই না, আমরা ইতিহাসকে মুছে দিতে চাই না। ৭ মার্চ জনাব শেখ মুজিবুর রহমান বলেছেন, জনগনের প্রতিনিধির কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। সংখ্যাগরিষ্ট দলের নেতা উনি। আমি মনে করি, এই যে তার বক্তব্য-এটা সঠিক। ওই সময়ে সেটাই তার বক্তব্য রাখা উচিত ছিলো সেটাই উনি রেখেছেন। কী বক্তব্য রেখেছেন? জনগনের প্রতিনিধির কাছে ক্ষমতা ছেড়ে দিতে হবে। তাহলে যদি কেউ আলোচনা করে ৭ মার্চের বক্তৃতা ছিলো পাকিস্তানের কাঠামোর মধ্যেই একটি সংখ্যাগরিষ্ট দল হিসেবে, জনগনের প্রতিনিধি হিসেবে তাদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করার জন্য সেই সময়ের আন্দোলন-সংগ্রাম-হরতাল-সমাবেশ- এটা সেই দরকাষাকষির অংশ।এটা যদি বলেন তাহলে কি অন্যায় হবে?।”
‘সংগ্রাম ও যুদ্ধ এক বিষয় নয়’ উল্লেখ করে ক্ষমতাসীনরা একে এক করে গুলিয়ে ফেলেছে বলে মন্তব্য করেন স্থায়ী কমিটির সদস্য।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘‘ আমরা স্বাধীনতা যুদ্ধ করেছিলাম। কিন্তু যুদ্ধ ও সংগ্রাম এক নয়। যুদ্ধ হচ্ছে অস্ত্র হাতে সশ্বস্ত্রভাবে আপনি একজন প্রত্যক্ষ শক্তর বিরুদ্ধে লড়াই করতে শুরু করেন, যুদ্ধ করতে শুরু করেন, তাকে হত্যা করার জন্য কাজ করেন-এটাই হচ্ছে যুদ্ধ। আর সংগ্রাম একজন মানুষ ও জাতি করে। যুদ্ধ ও সংগ্রাম এটা আমাদের দীর্ঘিদিনের।ত্যাগী মানুষ, শ্রদ্বেয় নেতা যারা আমাদের জন্য সংগ্রাম করেছেন তাদের কথা আমাদের উচ্চারণ করা প্রয়োজন। আমাদের উচ্চারণ করা শেরে বাংলা এজে ফজলুল হক সাহেবের কথা, উচ্চারণ করা প্রয়োজন মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর কথা, উচ্চারণ করা প্রয়োজন শেখ মুজিবুর রহমানের কথা, উচ্চারণ করা প্রয়োজন অলি আহাদের সাহেবের কথা। এরকম অসংখ্য মানুষ আছেন যারা এদেশের মানুষের পরিবর্তনের জন্য সংগ্রাম করেছেন।”
‘‘ কিন্তু যুদ্ধ-এটা আমাদের কথা নয়, এটা ইতিহাস, এটা তথ্য, এটা একটা বইয়ে সব কিছু লেখা আছে। যারা গবেষণা করছেন, তাদের গবেষণায় উঠে এসেছে যে, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের যে ঘোষণা, সেই ঘোষণাই সমগ্র জাতিকে উদ্দিপ্ত করেছে স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার জন্য। দ্যাট ইজ দ্যা ট্রুথ। এটাতে কাউকে ছোট করা হয় না, এটাতে কাউকে বড় করা হয় না।”
‘আওয়ামী লীগের একমাত্র কাজ হচ্ছে সকলের যে অবদান আছে তা থেকে দূরে সরিয়ে নেয়া, তাদের ১০৭১ সাল থেকে একমাত্র শ্লোগান-‘এক নেতা এক দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ’, ‘আমরা একনেব অদ্বিতীয়া, একজন ছাড়া কেউ থাকবে না’ – উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘‘এখনো তারা একই কাজ হয়েছে। এখন কিছুর দায়ভার পড়ে শেখ হাসিনার ওপরে।”
‘‘ আজকে অস্বীকার করার উপায় নেই সুপরিকল্পিতভাবে, সচেতনভাবে তারা স্বাধীনতার সাথে সবচেয়ে বড় বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। এই দেশের মানুষ যে আশা-আকাংখা, ৩০ লক্ষ মানুষের যে আত্মহুতি সবকিছুর সাথে বেঈমানী করে তারা গণতন্ত্রকে কেড়ে নিয়েছে। কোথায় আমাদের অধিকার আছে?”
স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, ‘‘ ৭ মার্চ পালনের কথা শুনে আওয়ামী লীগের গাত্রদাহ হয়েছে। কি আছে ৭ মার্চের ভাষনে? ৫০ বছরের ইতিহাসে ছোট একটা অংশ এই ৭ মার্চ। আল্লাহর রহমত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন। তাদের কোনো পূঁজি নাই। ওই একটা পূঁজি তাদের ৭ মার্চের ভাষন।”
‘‘ ৭ মার্চের ভাষনটা যখন হয়, আমি আমার এলাকা লোকজনকে সঙ্গে নিয়ে মঞ্চের বা দিকে বাঁশের বেরিকেডের সামনে উপস্থিত ছিলাম। ৭ মার্চ আমরা কি আশা করেছিলাম? বাঁশ নিয়ে গেছি, লাঠি নিয়ে গেছি… একটা ঘোষণা আসবে । কিন্তু না, কোনো ঘোষণা আসেনি। বরং ওই পাকিস্তানি কাঠামোর ভেতরে থেকেই কিভাবে মরহুম শেখ মুজিবুর রহমান সাহেব প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন সেই জিনিসটা করেছেন। রক্ত দিয়ে এই স্বাধীনতা এনেছে এই দেশের মানুষ। যদি কেউ বলেন, কোনো এক মেজরের ঘোষণায় এদেশ স্বাধীন হয় নাই, আমরাও বলতে পারি, ৭ মার্চের কারণে দেশ স্বাধীন হয় নাই। আমরা কাউকে ছোট করার জন্য কিছু বলতে চাই না। আমরা মনে করি, মরহুম শেখ মুজিবুর রহমান ও শহীদ জিয়াউর রহমানের অবস্থান ইতিহাস নির্ধারণ করে দেবে। আপনাদের বানানো ইতিহাস দিয়ে শহীদ জিয়া্উর রহমানসহ অন্যদের নাম মুছে ফেলতে পারবেন না।
স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, ‘‘ ৭ মার্চ যারা রেসকোর্সে ময়দানে উপস্থিত ছিলো তাদের মধ্যে আমি একজন। বাঙালি স্বাধীন হবে, বুকে মধ্যে ধুক ধুক করছে কখন ঘোষণা আসবে, এই বুঝি উনি ঘোষণা দেবেন। ৭ মার্চে উনি ভাষন দিলেন। কিন্তু সেই ভাষনে স্বাধীনতার ঘোষণা আসলো না।”
‘‘ তারপরের দিন আওয়ামী লীগ থেকে একটা প্রেসনোট দেয়া হলো। সেই প্রেসনোটে তাজউদ্দিন আহমেদ সাহেব স্বাক্ষর করলেন এবং সেখানে বলা হলো যে, বাঙালি অধিকার আদায় করার জন্য সংখ্যাগরিষ্ঠ দল ক্ষমতায় আসার জন্য এই ভাষন দেয়া হয়েছে। এই ভাষনে সেটা উনি(শেখ মুজিবুর রহমান) পরিস্কার করেছেন। তাহলে সেটা স্বাধীনতার ঘোষণা না। সেটা আওয়ামী লীগের প্রেসনোটে পাওয়া গেলো। আমরা বলতে চাই, স্বাধীনতা ঘোষণা ও ৭ মার্চের ভাষন এক জিনিস না। সেই ভাষন যদি স্বাধীনতার ঘোষণাই হতো, আওয়ামী লীগের প্রচারই যদি মেনে নেই তাহলে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ২৬ তারিখে প্রথম প্রহরে কালুরঘাট রেডিও সেন্টারে যখন ঘোষণা করলেন যে, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু হয়ে গেছে। আমি বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট হিসেবে যুদ্ধ ঘোষণা করলাম। যদি স্বাধীনতার ঘোষণা উনি(শেখ মুজিবুর রহমান) আগেই দিয়ে থাকেন তাহলে পরে চট্টগ্রামের আওয়ামী লীগের নেতারা জিয়াউর রহমানের সাহেবের কাছে নতুন করে স্ক্রিপ্ট পাঠিয়ে শেখ মুজিবুর রহমানের সাহেবের নামে ঘোষণা করালেন কেনো?”
‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রসঙ্গে’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘‘কেনো আজকে লেখক মুশতাক আহমেদকে জেলের মধ্যে মারা যেতে হয় বিনা চিকিতসায়? কেনো আজকে কাটুনিস্ট কিশোরের ৬৯ ঘন্টা কোনো খবর থাকে না? নির্মম নির্যাতন করা হয়। একটা দুইটা কেইস। আর আমাদের ছেলেরা যারা গনতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করতে গিয়ে, লড়াই করতে গিয়ে তাদেরকে প্রাণ হারাতে হয়, তুলে নেয়া হয়, গুম করা হয়….? কিশোর কি অপরাধ করেছিলো? একটা কার্টুন এঁকেছিলো। সেই কার্টুন হচ্ছে একজন ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে একটা কার্টুন।”
‘‘ তাহলে কি আমরা ধরে নেবো ওই ব্যবসায়ী সকল কুকর্মের সাথে আপনাদের সংযোগ আছে। তাহলে কেনো বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীরা এভাবে মানুষকে তুলে নিয়ে নির্যাতন করছে। ডিজিটাল সিকিউরিটি এ্যাক্ট কেনো তৈরি করছেন? এখনো বড় গলায় বলছেন এটা বাতিল হবে না, এটা প্রয়োজনে দেয়া রয়েছে। কার প্রয়োজনে দিয়েছেন? আপনার নিজের প্রয়োজনে এই আইন করেছেন, আপনার দলকে রক্ষা করবার প্রয়োজনে দিয়েছেন, আপনাদের অন্যায়-নির্যাতন, বেআইনি শাসনকে রক্ষা করবার জন্য ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট করেছেন।”
জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব আবদুস সালামের পরিচালনায় আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী , সেলিমা রহমান ,ও মির্জা আব্বাস প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।
Dhaka, Bangladesh শনিবার, ১১ জানুয়ারি, ২০২৫ | |
Salat | Time |
Fajr | 5:23 AM |
Sunrise | 6:43 AM |
Zuhr | 12:06 PM |
Asr | 3:09 PM |
Magrib | 5:30 PM |
Isha | 6:50 PM |