আজ মঙ্গলবার | ৯ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৪শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ |২২শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি | ভোর ৫:০৯
এম, এ কাশেম, ব্যুরো প্রধান ‘বিডি দিনকাল’ চট্টগ্রাম : অনেক পানি ঘোলাটে, অনেক কাটগড় পোহানোর পর ও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতিতে দলীয় নেতা-কর্মীরা রাজনীতি থেকে বিন্দু মাত্র ও বিচ্যুত হয়নি! সারা দেশের কথা আপাত:দৃষ্টিতে ফেলে রেখে চট্টগ্রাম (উত্তর) এর মীরসরাই উপজেলার কথা বলা যাক্। এখানে জামায়াতে ইসলামীর নেতা-কর্মীরা দীর্ঘ বছরের পর বছর মাঠ পর্যায়ে রাজনীতি করার সুযোগ বঞ্চিত হওয়ার পর ও তৃণমূল পর্যায়ে সাধারণ নেতা-কর্মীদের সাথে একে অপরের যোগাযোগ’র কোনো ভাটা পড়তে দেখা যায়নি কখনো। প্রকাশ্যে তারা রাজনীতি করতে না পারলে কিন্তু নের্তৃত্ব পর্যায় থেকে শুরু করে সাধারণ নেতা-কর্মী এবং সমর্থকদের সাথে সৌহার্দ্যপূর্ণতআর মাধ্যমে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়নি। তা যদি থাকতো অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে তাহলে রাজনৈতিক পরিবেশ ঘোলাটে হতো না। অবশ্য, এটা শুধু মাত্র জামায়াতে ইসলামীর জন্য- ই নয় রাজনৈতিক ভাবে বিএনপি’র জন্য আরো দশাসই অবস্থা। তবে, প্রতিবেদনের আলোচ্য বিষয় হচ্ছে-গ্রুপিং রাজনীতি। আওয়ামী লীগ ও বিএনপি’র আভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক গ্রুপিংয়ের কথা কম-বেশী সবাই জানে। তবে, সে ক্ষেত্রে ‘চেইন অব কমান্ড বলতে যে একটা কথা আছে সেটা বিএনপি’র রাজনীতিতে অনুপস্থিত বলতে গেলে। মীরসরাই উপজেলার রাজনীতিতে যদি ও বা আওয়ামী লীগের মধ্যে ও গ্রুপিং রয়েছে তবে, তাতে তাদের ‘চেইন অব কমান্ড ও রয়েছে। কিন্তু, বিএনপি’র রাজনীতিতে তা দেখা যাচ্ছে না বললেই চলে! যার কারণে, আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে দু’একজন নেতার নের্তৃত্বে গ্রুপিং চলে ও তেমন একটা শক্তিশালী নয়। কিন্তু, বিএনপি’র রাজনীতিতে ৬/৭ জন নেতার নের্তৃত্বে চলছে গ্রুপিং রাজনীতি! তবে, একমাত্র জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতিতে তেমনটা নেই বললেই চলে। তারা প্রকাশ্যে রাজনীতি না করতে পারলে ও কিন্তু হাত পা গুটিয়ে বসে থাকেনি। অ-প্রকাশ্যে হলে ও তারা একে অপরের সাথে ঠিক-ই যোগাযোগ রেখে ভিন্ন পন্থায় রাজনৈতিক কর্মী চালিয়ে দলকে সামনের দিকে অগ্রসর:মান রেখে এগিয়ে থেকেছে। যার বেনিফিট ভোগ করার মোক্ষম সুযোগ হিসেবে তারা এখন প্রকাশ্যে রাজনীতির মাঠে বিচরণ করে যাচ্ছে। জামায়াতে ইসলামীর নেতা-কর্মীদের রাজনৈতিক ‘মাইলস্টোন’ তাদের কেন্দ্রীয় কমিটি যে সিদ্ধান্ত দিবেন সে সিদ্ধান্তের বাইরে কেউ ছিলেন, আছেন বা থাকবেন ও যে তা কোনো ক্রমেই বলা যাবে না। কিন্তু, বিএনপি’র রাজনীতিতে কি হাল! কেন্দ্রীয় ভাবে কোনো নির্দেশনা আসলে মীরসরাই উপজেলা বিএনপি’র রাজনীতিতে তা অগ্রাহ্য মূলক হিসেবে দেখা যায়/যাচ্ছে ও! যদিও বা দু’একজন গ্রুপিয় নেতার নের্তৃত্বে মীরসরাই উপজেলার কোথাও কোনো কর্মসূচি পালন করতে না পারায় চট্টগ্রাম শহরস্থ দলীয় কার্যালয়ে গিয়ে নামখাওয়াস্তে তা করা হয়ে থাকে! যদিও বা বিগত বেশ কয়েক বছর যাবত ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা মীরসরাই উপজেলার কোথাও বিএনপিকে কোনো ধরণের রাজনৈতিক কর্মকান্ড চালাতে দেয়নি এবং এখনো তেমন একটা দিচ্ছে না। তথাপি, তাদের গ্রুপিং রাজনীতি-ই রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালানো র প্রধান প্রতিবন্ধকতা অধিকাংশে দায়ী। সে দিক্ বিবেচনায় রাখলে বলা চলে- সে দিক্ দিয়ে জামায়াতে ইসলামী অনেক লাভবান। যার সফল ভোগ করে যাচ্ছে তারা বর্তমানে প্রকাশ্যে রাজনৈতিক মাঠে এসে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যেতে পেরে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন’র দিন-তারিখ এখনো ঘোষণা য় না আসলে ও নির্বাচনী হাওয়ায় খানিকটা দোলায়মান দেখা যাচ্ছে মীরসরাই উপজেলার রাজনৈতিকাঙ্গন। বিএনপি ও আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন লাভের প্রত্যাশিরা বিচরণ করে যাচ্ছে উপজেলার সর্বোত্র। তবে, তাদের গ্রুপিং’র বাতাস ষ্পষ্ট হলে ও তাতে জামায়াতে ইসলামী অগ্রগামী। তাদের মধ্যে নেই কোনো গ্রুপিং। তারা ভিতরগত ভাবে কেন্দ্রীয় কমিটির দিকে চেয়ে আছে। এবং কেন্দ্রীয় কমিটি যাকে মনোনয়ন দিবে তার বিরোধিতা করার মতো তাদের কারো মধ্যে সে রকম মানসিকতা না থাকলে ও রয়েছে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের ভিতর। তবে, তাতে বিএনপি একটু বেশি অগ্লসর:মান। অর্থাৎ, বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটি যাকে মনোনয়ন দিবেন তার বিরোধিতা করার নেতা-কর্মী ও রয়েছে এই দল এ। অতিত সময়ের নির্বাচন গুলোর দিকে ফিরে তাকালে তা ষ্পষ্ট হয়ে উঠবে। অবশ্য, আগামী নির্বাচন সম্পর্কে এখানো সে রকম কিছু বলা না গেলেও বিএনপি’র দু’একজন নেতার গ্রুপিং রাজনীতি তা-ই অনুমানে নিয়ে আসার সালে পরিনত করে যাচ্ছে।
Dhaka, Bangladesh সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪ | |
Salat | Time |
Fajr | 5:17 AM |
Sunrise | 6:37 AM |
Zuhr | 11:58 AM |
Asr | 2:58 PM |
Magrib | 5:18 PM |
Isha | 6:39 PM |