আজ মঙ্গলবার | ৯ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৪শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ |২২শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি | সন্ধ্যা ৬:৩২
বিডি দিনকাল’ চট্টগ্রাম অফিসঃ আরাম-আয়েসে বিদেশে থেকে উত্তর চট্টগ্রামের মীরসরাইয়ের রাজনীতিতে হুজুগে নেতা বনে যাওয়া এক ব্যাক্তির সন্ধান পাওয়া গেছে। আর উনি হচ্ছেন-মীরসরাই উপজেলার ১নং করেরহাট ইউনিয়নের বাসিন্দা মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম মাহমুদ। সেই যে বারইয়ারহাট কলেজে পড়ার সময় ছাত্রদলের রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন তিনি। এর পর তিনি চলে যান বিদেশে। দেশে বর্তমান আওয়ামীলীগ সরকারের শাসনামলে উত্তরে ১নং করেরহাট ইউনিয়ন থেকে শুরু করে দক্ষিণে ১৬নং সাহেরখালী ইউনিয়ন এবং ২টি পৌরসভা যথাক্রমে বারইয়ারহাট ও মীরসরাই পৌরসভার বিএনপি ও এর অঙ্গ এবং সহযোগী সংগঠনের হাজার হাজার নেতা-কর্মী তার মতো আরাম-আয়েসে নেই। অনেকের আরামের ঘুম হারাম, অনেক নেতা-কর্মী নিজের পরিবার-পরিজনের জীবন বাঁচাতে মা, বাাব, ভাই, বোন, স্ত্রী, ছেলে, মেয়ে, আত্মীয়-স্বজন ও পাড়া-প্রতিবেশী সহ সবার মায়া ত্যাগ করে বাড়ি-ঘর ছেড়ে অন্যত্র আত্মগোপনে থেকে কোনো রকম জীবন বাঁচিয়ে রাখার প্রাণপন চেষ্টা করে যাচ্ছেন। যাদের কে এলাকায় পাওয়া গেছে তাদের মধ্যে অনেক-ই হামলা-মামলার স্বীকার হয়ে ভিবীষিকাময় দিন অতিবাহিত করে যাচ্ছেন। এমন ও আছেন, যারা মিথ্যে মামলায় পুলিশি গ্রেপ্তার-হয়রানীতে অতিষ্ঠময় দিন-রজনী পার করে যাচ্ছেন। আবার কেউ কেউ পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়ে অন্ধকার কারাগারে অত্যন্ত মানবেতর জীবন অতিবাহিত করে যাচ্ছেন। বিএনপি করার অপরাধে অনেকের ব্যবসা-বানিজ্য বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সিমাহীন আর্থীক অনটনে পড়ে অনেকে-ই বউ-বাচ্চা নিয়ে খেয়ে না খেয়ে জীবন অতিবাহিত করে যেতে বাধ্য হচ্ছেন। বিশেষ করে বর্তমানে শুধুমাত্র মীরসরাই উপজেলার এ প্রান্ত থেকে সে প্রান্তের হাজার হাজার দলীয় নেতা-কর্মী আর্থীক সংকটে পড়ে দিক্ভ্রান্ত হয়ে পড়লে ও কিন্তু ওই সিরাজুল ইসলাম মাহমুদ চৌধূরীর মতো লোকেরা বিদেশে আরাম-আয়েসে থাকার সুবাদে আর্থীক অনটন সহ নানাবিধ: কষ্টের মধ্যে দিন-রজনী পার করে যাওয়া দলীয় কোনো নেতা-কর্মীর কোনো ধরণের খোঁজ-খবর নিয়েছেন বলে এমন কোনো সাক্ষ-প্রমাণ পাওয়া না গেলে ও কিন্তু ওই সিরাজুল ইসলাম চৌধূরী নামীয় লোকটি উত্তর চট্টগ্রামের বিএনপি’র রাজনীতিতে কল-কাঁঁড়ি নাড়ার অশুভ চক্রান্তে মেতে রয়েছে! শুধু তা-ই নয় ওই সিরাজুল ইসলাম চৌধূরী মীরসরাই বিএনপি’র রাজনীতিতে নিজেকে একটা অবস্থানে দাঁড় করাতে একেক সময় একে খোলস পাল্টাতে ও দ্বিধাবোধ করছেনা। ওই লোক একবার নুরুল আমিন ভক্ত হয়ে গুটি কতেক নেতা-কর্মীর সাথে যোগাযোগ রাখার চেষ্টা করেন। তাতে তেমন কোনো সুবিদা করতে না পেরে আবার শাহিদুল ইসলাম চৌধূরীর ভক্ত হয়ে পড়েন। এর পর নুরুল আমিন চেয়ারম্যান এর ও ভক্ত হয়ে পড়েন! এ ছাড়া-অন্য আরো সব নেতাদের তোষামোদি করতে ও দেখা যায়ে তাকে!! শেষান্তে তাকে দেখা যাচ্ছে-অতিতে যে সব ছাত্রদল নেতারা নের্তৃত্ব দিয়ে আসছিলেন মীরসরাইয়ের রাজনীতিতে এবার সে তাদের সাথে যোগাযোগ করে একটা কিছু করার ফন্দি আঁটতে থাকেন। মূলত: তার খায়েস-সে একবার উত্তর জেলা যুবদলের দায়িত্বে আসতে মরিয়া হয়ে উঠেন। আবার মীরসরাই বিএনপি’র কমিটিতে একটা পদ পাওয়ার ধান্দায় মশগুল থাকতে ও দেখা যায় তাকে। এ ছাড়া- শোনা যায়, সে তার নিজ ইউনিয়ন ১নং করেরহাট ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান হিসেবে দলীয় ভাবে মনোনয়ন পাওয়া নিয়ে ও ফন্দি ঠিকির করে যাচ্ছে। তার এতো কিছু ষড়যন্ত্র/চক্রান্ত কি দলের জন্য ক্ষতির কারন হয়ে দাঁড়াবেনা ? মীরসরাই বিএনপি’র প্রবীন অনেক নেতা-কর্মী মনে করেন-উক্ত সিরাজুল ইল ইসলাম চৌধূরীর’ এমন কর্মকান্ড দলের জন্য অবশ্য-ই ক্ষতিকারক। উল্লেখ্য যে, উক্ত সিরাজুল ইসলাম চৌধূরী দেশ/বাড়ি/গ্রামে থাকাবস্থায় বারইয়ারহাট কলেজে পড়া-লেখা কালিন সময়ে এখানে ছাত্রদলের যৎ সামান্য দায়িত্বে ছিলেন। এর পর মালয়েশিয়া চলে যাওয়ার বেশ কয়েক বছর পর সেখানে বৃহত্তর চট্টগ্রাম জাতীয়তাবাদী ফোরাম নামে গঠনকৃত কমিটির তিনি সাধারণ সম্পাদক এর দায়িত্ব পান। তার ওই কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পান মীরসরাই উপজেলার ৬নং ইছাখালী ইউনিয়নের বাসিন্দা ও সাবেক ছাত্রদল নেতা এস, এম জাহাঙ্গীর কে, এল। উক্ত ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তকারী সিরাজুল ইসলাম চৌধূরী সেখানকার সেই কমিটিতে ও দ্বিধাভিবক্ত সৃষ্টি করেন। ফলে, উক্ত কমিটির সাধারন সম্পাদক হিসেবে সে তার কমিটির সভাপতি জাহাঙ্গির কে ও টপকিয়ে কর্মকান্ড চালাতে গিয়ে সেখানে ও গ্রæপিং সৃস্টি করে বসেন। এর পর মালয়েশিয়া বিএনপি’র কমিটিতে জাহাঙ্গির কে যুগ্ম সম্পাদক রাখলে সেখানে ও সে বিরোধ সৃষ্টি করে বসেন। ফলে, শেষ পর্যন্ত অন-ইচ্ছে সর্তে ও সেই কমিটিতে জাহাঙ্গিরের পাশাপাশি তাকে ও যুগ্ম সম্পাদকের দায়িত্ব দেয়া হয়। এর পর ও সে থেমে থাকছেনা। বর্তমানে তার দু’মুখী রাজনৈতিক কর্মকান্ডে এক দিকে অন্যান্য নেতা-কর্মীদের মধ্যে অসন্তোষ এবং অন্য দিকে দলটি সেখানে ও গ্রæপিংয়ের কবলে পড়ে হাবুডুবু খেতে খেতে ত্রায়ি অবস্থায় সম্মুখিন বিএনপি। আর তার নিজ জন্মস্থান মীরসরাই বিএনপি’র রাজনীতি যে মুহুত্বে গ্রæপিং-দ্বন্ধ মিটিয়ে সামনের দিকে অগ্রসর:মান সে মুহুত্বে তার হস্তক্ষেপ এখানে দলটির জন্য সিমাহীন ক্ষতি হয়ে পড়বে বলে মনে করছেন দলের অনেক প্রবীণ নেতা-কর্মী। উক্ত সিরাজুল ইসলাম চৌধূরী অতি সম্প্রতি তার ফেইজবুক আইডি থেকে বারইয়ারহাট কলেজ ছাত্রদল এবং মীরসরাই ছাত্রদল সম্পর্কে কিছু কথা লিখে সাধারণ নেতা-কর্মীদের কে বিভ্রান্তি ফেলে দিয়েছে। অথচ, তার মনে রাখা উচিত যে, অতিতে বারইয়ারহাট সহ পুরো মীরসরাই বিএনপি’র রাজনীতিতে কার, কি অবদান ছিলো এবং রয়েছে ও তা স্মরণে রাখা। এক কথায় বলা যেতে পারে-বিএনপি’র প্রথমতো প্রাণ শক্তি যুবদল তার পর ছাত্রদল। বারইয়ারহাট কেন্দ্রীক মীরসরাই বিএনপি’র রাজনীতির শক্তি সহায়ক ছিলো যুবদল ও ছাত্রদল। আর ছাত্রদলের রাজনীতির লাঠিয়াল খ্যাত বিএনপি ও যুবদলের কিছু নেতা-কর্মীর অবদান স্বীকার করে তাদের কে সম পর্যায়ে শ্রদ্ধ্যা-সম্মান এবং ভালোবাসা দিয়ে আগলে রাখা তার মতোদের দায়িত্ব এবং কর্তব্য হলে ও সে কিন্তু তার ধারে কাছে ও নেই! অবশ্য, উক্ত সিরাজুল ইসলাম চৌধূরীর মতোদের জানা না থাকাটা ও সত্যতায় পড়ে। তথাপি বলতে হচ্ছে-বারইয়ারহাট কলেজে ছাত্রদলকে শক্তি-সামর্থ দিয়ে যারা অবদান রেখেছেন তাদের মধ্যে সর্বাল্লেখ যোগ্য-ফজলুল কবির চৌধূরী খানসাব, আবুল খায়ের গিন্নি (বর্তমানে মৃত), তাহের মেম্বার (বর্তমানে মৃত), মিয়া (বর্তমানে মৃত), রসুল মিয়া, নুরুল আবছার মিয়াজি (বর্তমানে মৃত), আবুল বশর (বর্তমানে মৃত), আবুল কাশেম, সেলীম উদ্দিন (বর্তমানে মৃত), মঞ্জুর কাদের, নিজাম উদ্দিন, নুরেরজমা, আলা উদ্দিন, মান্নান, শিবু, শামীম, মিলন, জসিম, জাহাঙ্গির, সাইদুল ইসলাম মামুন প্রমুখরা। ওই রকম আরো অনেক সাহসী নেতা-কর্মী রয়েছে যাদের নাম স্মরণে না থাকায় সংগ্রহ করে উল্লেখ করতে যায়নি। এ ছাড়া-মীরসরাই বিএনপি’র রাজনীতিতে যখন নেতা-কর্মীর বড়-ই অভাব ছিলো তখন প্রতিদ্বন্দি রাজনৈতিক সংগঠনের সাথে পেরে উঠতে সাধারণ নেতা-কর্মীদের নিদারুন কষ্ট ভোগ করে যেতে হয়েছে। এক দিকে টাকা-পয়সার অভাবে যখন নেতা-কর্মীরা দুপুরের ভাত ও রাতের খাবার এবং সকালের নামস্তা করতে ও হিমসীম খেতে হয়েছিলো। অন্য দিকে সারা রাত নির্ঘুম থেকে দলীয় কর্মকান্ড ও চালাতে হয়েছিলো। আর ওই সব দলীয় কর্মকান্ড চালানোর একমাত্র স্থান ছিলো আবুল খায়ের গিন্নি’দের বাড়ির কাঁচারী ঘর। যেখানে দিনের পর দিন, রাতের পর রাত সারা রাত না ঘুমিয়ে ও কাটাতে হয়েছিলো দলীয় কর্মসূচি বাস্তবায়নের কাজে নিয়োজিত নেতা-কর্মীদের। এর পর অনেক রাত গভীরে চিনকীরহাটের তাহের মেম্বার (বর্তমানে মৃত) এর বাড়ির উঠানে গর্ত করে সেখানে চাল, ডাল, আলু সমেতো খিঁচুড়ি রান্না করে কোনো রকম খাওয়া চালানো হতো। আর ওই সব কিছুর নের্তৃত্বদানের গর্বীত অধিকারী ছিেেলন আকম জান্নাতুল করিম খোকন। এ ছাড়া-বারইয়ারহাট বাজারে অবস্থিত তৎ সময়ের বাবুল, ফেয়ার ও মোকছুদদের ‘ সৈকত হোটেল’ এ টাাকার অভাবে সারা রাত উপোষ থেকে ভোর রাতে সামান্য ডাল+ভাজি ও তোন্দুলের রুটি খেয়ে কোনো রকম জীবন রক্ষা করে দলীয় কর্মসূচি বাস্তবায়ন এবং দলীয় কর্মকান্ড চালানো নেতা-কর্মীদের কথা কি আজকে নব্য বিএনপি নেতা সেজে যাওয়া ওই সিরাজুল ইসলাম চৌধূরীদের মনে পড়ে বা পড়বে ও ? কাজেই বিদেশে আরাম-আয়েসে থেকে দেশের বা এলাকার বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে না জেনে বা দলীয় সহযোদ্ধারা কে, কি অবস্থায় দিন-রজনী পার করে যাচ্ছে তা না জেনে অথবা আমলে না দিয়ে গোঁড়ামী/বাহারী মার্কা কথা বলে যাওয়া সিরাজুল ইসলাম মাহমুদের রাজনৈতিক কর্মকান্ডের প্রতি দল নিবেদিত সকল নেতা-কর্মীর সহাগ দৃষ্টি রাখার কোনো বিকল্প নেই বলে ও মনে করছেন দলের ত্যাগী নেতা-কর্মীরা।
Dhaka, Bangladesh মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০২৪ | |
Salat | Time |
Fajr | 5:17 AM |
Sunrise | 6:38 AM |
Zuhr | 11:58 AM |
Asr | 2:58 PM |
Magrib | 5:18 PM |
Isha | 6:39 PM |