এম, এ কাশেম : উত্তর চট্টগ্রামের মীরসরাই উপজেলার ১৬নং সাহেরখালীর ভোর বাজার এলাকার প্রবাসী স্বামীর গৃহ থেকে নব বিবাহিতা কলেজ ছাত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ’টি কি পরিকল্পিত হত্যা, নাকী আত্মহত্যা তা নিয়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনার রশি টানাটানি! সূত্র জানিয়েছে, ১২ নং খৈয়াছড়া ইউনিয়নের নিজতালুক গ্রামের মৃত নিজাম উদ্দিনের মেয়ে মাইমুনা নামের নিজামপুর কলেজের এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রীটি কে একই উপজেলার ১৬ নং সাহেরখালী ইউনিয়নের ভোর বাজারের পাশ্বস্থ ভেলু ড্রাইভার বাড়ির মোঃ ইউনুসের প্রবাসী পুত্র মোঃ ইকবাল হোসেন রিপনের সাথে বগত ৩ মাস এর ও অধিক পূর্বে তার বিয়ে হয়। আশ-পাশের নারী-পুরুষরা জানায়, বিয়ের পর থেকে নব বধূ মায়মুনার সাথে স্বামী রিপনের খুব আন্তরিকতাপূর্ন সম্পর্ক বিদ্যমান ছিলো। ঘটনার দিন গত শনিবার (১ আগষ্ট) বিকালে ও অন্যান্য দিনের মতো তাদের দু’জন কে খুব আন্তরিকতাপূর্নাবস্থায় গল্প করতে দেখেছেন কেউ কেউ। এর-ই মধ্যে আছরের আযান পড়লে রিপন নামাজ পড়ার জন্য মসজিদের দিকে রওয়ানা হয়। মসজিদে যাওয়ার সময় নাকী সে তার স্ত্রী কে বলে যায়-নামাজ শেষে ঘরে ফিরে আবার গল্পে মেতে উঠবে। যথারিতি রিপন নামাজ শেষে মসজিদ থেকে বাড়ি/ঘরে ফিরে দেখে যাকে হাস্যজ্বোলতায় ঘরে রেখে গিয়েছিলো সেই মায়মুনার নিথর দেহ ঘরের এক কোনে ঝুলন্তাবস্থায় ঝুলছে। তা দেখে নিজেকে সামাল দিতে না পেরে সে চিৎকার করে কাঁদতে থাকলে বাড়ির অন্যান্যরা ছাড়া ও আশ-পাশের অনেক নারী-পুরুষ এসে হাজির হয়। সে কিছুতেই বিশ্বাষ করতে পারছেনা যে, তার রেখে যাওয়া হাস্যেজ্বল মায়মুনা আত্মগত্যা করতে পারে। ঘরের সবাই নাকী বলছে, সে আত্মগত্যা করেছে। তবে কি কারণে সে আত্মহত্যা করতে পারে তার কোনো কারন খুঁজে পাচ্ছেনা কেউ। একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে, মায়মুনার সাথে স্বামী রিপনের সম্পর্ক ভালো হওয়ার বিষয়টি তার শাশুড়ি (রিপনের মা) কোনো ভাবেই মেনে নিতে পারছিলোনা। আর যার কারনে, খুঁটি-নাটি বিষয় নিয়ে সে তাকে তিব্র তাচ্ছিল্যতায় রেখেছে বেশ কয়েক দিন যাবত। তবে, শাশুড়ি বা ঘরের অন্য কেউ তাকে হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রেখেছে এমন টি ও বলার অবকাশ নেই যেহেতু ঘটনাটি কেউ প্রত্যক্ষভাবে দেখেনি। আর স্বামী রিপন কে ও এ ব্যাপারে কেউ সন্দেহ করতে পারছেনা যে, যেহেতু তাদের দু’জনের সম্পর্ক খুব আন্তরিকতাপূনতায় ভরপুর ছিলো। তবে, কেউ কেউ বলাবলি করছে-এ’টি আত্মত্যা হতে পারেনা, এ’টি পরিকল্পিত হত্যা। এখন পুরো বিষয়টি পুলিশি তদন্ত এবং পোষ্ট মর্টেম রিপোর্টের ওপর নির্ভর করা ছাড়া কোনো-ই গত্যন্তর নেই। স্বামী বেচারা নব পরিনীতা স্ত্রী’র অকাল বিয়োগে দিগ্বিবিদিক দিশেহারা অবস্থায় রয়েছে বলে একাধিক সূত্র জানিয়েছে।