আজ মঙ্গলবার | ৯ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৪শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ |২২শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি | সন্ধ্যা ৭:৫৬
বিডি দিনকাল ডেস্ক:- দেশব্যাপী আলোচিত অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি প্রদীপ কুমার দাশ ও লিয়াকতকে পৃথক কনডেম সেলে রাখা হয়েছে। কক্সবাজার কারাগারের ৩নং বিল্ডিংয়ের ১নং ও ৩নং সেলে রাখা হয়েছে তাদের। তাদের মানুষিকভাবে বিপর্যস্ত মনে হচ্ছে বলে জানিয়েছে জেল সূত্র। তারা কারও সঙ্গে কথা বলছেন না। একেবারে নির্বিকার এবং চুপচাপ। সাধারণ বন্দিদের মতোই তাদের খাবার দেয়া হচ্ছে। গত সোমবার রাতে কক্সবাজার জেলা কারাগারের জেল সুপার নেছার আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নেছার আলম জানান, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি টেকনাফ থানার বরখাস্তকৃত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও লিয়াকতকে পৃথকভাবে কনডেম সেলে রাখা হয়েছে। যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে স্থানীয় তিনজনকে সাধারণ কয়েদিদের সঙ্গে এবং তিন পুলিশ সদস্যদের পৃথকভাবে রাখা হয়েছে।
মেজর সিনহা পুলিশের গুলিতে নিহত হওয়ার ১৮ মাস পর গত সোমবার এ মামলার রায় ঘোষণা হয় কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে। জেলা ও দায়রা জজ মো. ইসমাইল জনাকীর্ণ আদালতে মামলা দায়ের ও মামলার প্রধান আসামি পুলিশ পরিদর্শক লিয়াকত ও টেকনাফ থানার বরখাস্তকৃত ওসি প্রদীপ কুমার দাশকে মৃত্যুদণ্ড, অপর ছয়জনকে যাবজ্জীবন ও বাকি সাত আসামিকে বেকসুর খালাস প্রদান করেন।
কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সাবেক সরকারি কৌঁসুলি এবং রায়ে খালাসপ্রাপ্ত সাতজনের আইনজীবী এডভোকেট মমতাজ আহমেদ জানান, আদালতের রায়ে নির্দোষ প্রমাণিত হওয়ায় সোমবার জেলা কারাগার থেকে তার সাত মক্কেলকে মুক্তি দেয়া হয়েছে। তারা সন্ধ্যায় নিজ নিজ পরিবারের কাছে ফিরে গেছেন।
কারাগারের জেল সুপার নেছার আলম বলেন, অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় বেকসুর খালাস পান এএসআই লিটন মিয়া, কনস্টেবল সাফানুল করিম, কামাল হোসেন, আবদুল্লাহ আল মামুন, এপিবিএনের এস আই মো. শাহজাহান, কনস্টেবল মো. রাজীব ও মো. আবদুল্লাহ। নির্দোষ প্রমাণিত হওয়ায় খালাসপ্রাপ্ত সাত পুলিশ সদস্য কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন। সোমবার সন্ধ্যায় তারা নিজ নিজ বাড়ি ফিরে গেছেন।
আদালতের নির্দেশটি সোমবার সন্ধ্যায় কক্সবাজার কারাগারে আসার পর তাদের মুক্ত করে দেয়া হয়। আদালতের আদেশের মধ্যেই লেখা ছিল আদেশটি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাদের মুক্ত করে দেয়ার জন্য। ২০২০ সালের ৩১শে জুলাই রাতে কক্সবাজার টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের শামলাপুর পুলিশ চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। এরপর নিহতের বড় বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। সে মামলার রায় হয়েছে গত সোমবার কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে।
Dhaka, Bangladesh মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০২৪ | |
Salat | Time |
Fajr | 5:17 AM |
Sunrise | 6:38 AM |
Zuhr | 11:58 AM |
Asr | 2:58 PM |
Magrib | 5:18 PM |
Isha | 6:39 PM |