সাহারবাটি ইউনিয়নে মশিউর রহমান নৌকা প্রতীক নিয়ে ২ হাজার ৬শ ৪২ ভোটে বিজয়ী হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৭ হাজার ৬শ ৩৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জেলা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি রাকিবুল ইসলাম টুটুল মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৪ হাজার ৯শ ৯২ ভোট। স্বতন্ত্র প্রার্থী বাসিরুল আজিজ বিশ্বাস চশমা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২ হাজার ৪৪ ভোট, জাতীয় পার্টির প্রার্থী বাবলু হোসেন লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২শ ৯৪ ভোট এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী ছানারুল ইসলাম আনারস প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৮১ ভোট। সাহারবাটি ইউনিয়নে ৯টা কেন্দ্রে মোট ভোটার সংখ্যা ছিল ১৯ হাজার ২শ ৫২। মোট বৈধ ভোটের সংখ্যা ১৫ হাজার ৪৫। বাতিলকৃত ভোটের সংখ্যা ২শ ৪৩। বামন্দী ইউনিয়নে ওবাইদুর রহমান কমল নৌকা প্রতীক নিয়ে ১ হাজার ৬শ ৯১ ভোটে বিজয়ী হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৬ হাজার ৫শ ২৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল আওয়াল চশমা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৪ হাজার ৮শ ৮৩ ভোট। স্বতন্ত্র প্রার্থী আজিজুল হক আনারস প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২ হাজার ৮শ ৪১ ভোট, স্বতন্ত্র প্রার্থী মেহেদী হাসান মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২ হাজার ২শ ৯৯ ভোট। বামন্দী ইউনিয়নে ৯টা কেন্দ্রে মোট ভোটার সংখ্যা ছিল ২১ হাজার ৫শ ১৪। মোট বৈধ ভোটের সংখ্যা ১৬ হাজার ৫শ ৫৭। বাতিলকৃত ভোটের সংখ্যা ৪শ ৯২। কাথুলী ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক বর্তমান চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান রানা আনারস প্রতীক নিয়ে ১ হাজার ৭শ ৮২ ভোটে আবারও বিজয়ী হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৫ হাজার ৭শ ৮৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামীগ নেতা আবুল বাসার মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৪ হাজার ২ ভোট। এই ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রার্থী গোলজার হোসেন ৩ হাজার ২ ভোট পেয়ে রয়েছেন ৩য় অবস্থানে। স্বতন্ত্র প্রার্থী শিহাব আলী দুটি পাতা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২ হাজার ৩শ ৬৫ ভোট। কাথুলী ইউনিয়নে ৯টা কেন্দ্রে মোট ভোটার সংখ্যা ছিল ১৮ হাজার ৫শ ৫৬। মোট বৈধ ভোটের সংখ্যা ১৫ হাজার ১শ ৫৩। বাতিলকৃত ভোটের সংখ্যা ৩শ ১৬। এছাড়া তেঁতুলবাড়ীয়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ও গাংনী উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি নাজমুল হুদা বিশ্বাস আনারস প্রতীক নিয়ে ১ হাজার ৩শ ৬১ ভোটে বিজয়ী হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৬ হাজার ৮শ ২৯ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির সমর্থিত মোতালেব হোসেন ঘোড়া প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৫ হাজার ৪শ ৬৮ ভোট। এই ইউনিয়নেও আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রার্থী আব্দুল্লাহ আল মামুন ৪ হাজার ৮০ ভোট পেয়ে রয়েছেন ৩য় অবস্থানে। বিএনপি সমর্থিত বর্তমান চেয়ারম্যান স্বতন্ত্র প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১ হাজার ৯শ ১২ ভোট, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের এনামুল হক হাত পাখা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৪শ ভোট। তেঁতুলবাড়ীয়া ইউনিয়নে ৯টা কেন্দ্রে মোট ভোটার সংখ্যা ছিল ২৪ হাজার ৫শ ৩৫। মোট বৈধ ভোটের সংখ্যা ১৮ হাজার ৬শ ৮৯। বাতিলকৃত ভোটের সংখ্যা ৫শ ৪৮।
এদিকে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর পরাজয়ের কারণ হিসাবে একাধিক নেতা ও কর্মী জানিয়েছে মেহেরপুর আওয়ামী লীগের দলীয় কোন্দল, যোগ্য প্রার্থীকে নৌকা প্রতীক না দেয়া, স্বতন্ত্র প্রার্থীর সাথে জামাত বিএনপির একত্মতা প্রকাশ। মুজিবনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জিয়াউদ্দিন বিশ্বাস বলেন, এবারের নির্বাচনে নৌকা প্রার্থীদের প্রশাসন কোন সহযোগিতা করেনি বরং বিদ্রোহী প্রার্থীদের সহযোগিতা করেছেন। এভাবে নৌকা প্রতীক দিয়ে নির্বাচন হলে আগামী প্রতিটি ভোটেই আমরা হারবো। তিনি আরো বলেন, মেহেরপুর আওয়ামী লীগের একটি শক্তিশালী মহল বিদ্রোহীদের পক্ষে গোপনে অবস্থান নিয়েছিলেন। যেমন মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহীম শাহিনকে প্রকাশ্যে বিদ্রোহী প্রার্থীর প্রচার প্রচারণায় দেখা গিয়েছে। মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ খালেক বলেন, এবার মানুষ স্বতঃস্ফুতভাবে ভোট দিয়েছে। প্রশাসনের ভূমিকাও ছিলো নিরপেক্ষ। জামাত বিএনপির কর্মীরা সহজে ভোট কেন্দ্রে যেতে পেরেছে। বিদ্রোহীরা দলের ২০ ভাগ ভোটে ভাগ বসিয়েছে। এর সাথে জামাত বিএনপির ভোট যোগ হওয়ায় তারা জিতেছে।