আজ রবিবার | ২৮শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১২ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ |১২ই রজব, ১৪৪৬ হিজরি | রাত ১:৫৯
স্টাফ রিপোর্টার:-বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির আইন বিষযক সম্পাদক ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমনকে সংগঠন থেকে বহিস্কার করার দাবি জানিয়েছেন, দলের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা।
সম্প্রতি শরীয়তপুরে বঙ্গবন্ধুর জেষ্ঠ্যপুত্র শেখ কামালের জন্মদিন উপলক্ষে আওয়ামীলীগ আয়োজিত অনুষ্ঠানে শরীয়তপুর জেলার পালং থানার ওসি আক্তার হোসেন ¯েøাগান দেয় “ জয় জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু, আমরা সবাই মুজিব সেনা, ভয় করিনা-বুলেট বোমা। যা ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে যায়। এরপর বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির আইন বিষযক সম্পাদক ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন নিজের ফেরিভাইড ফেসবুকে এসে ওসি’র “জয়বাংলা” শ্লোগান দেয়ার বিপক্ষে নানান ধরনের কথা বলেন। এতে ব্যারিস্টার সুমনকে যুবলীগের কেন্দ্রীয় পদ থেকে বহিস্কার দাবি জানিয়ে ফেসবুকে পোষ্ট করতে শুরু করে যুবলীগের কেন্দ্রীয় নেতাকর্মী থেকে শুরু করে তৃণমূলের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা।
যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য দিপক কুমার মন্ডল দিপু তার ফেসবুকে লিখেন, “জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু”।
এই শ্লোগান বুকে ধারণ করে, মুক্তিযোদ্ধারা পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী, রাজাকার, আলবদরদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে এই দেশটাকে স্বাধীন করেছে।
অথচ, সরকারি কর্মকর্তার জাতিরপিতার নামে শ্লোগান দেওয়া কে অপরাধ হিসেবে দেখছেন ব্যারিস্টার সুমন।
আমরা জানি, ৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় রাজাকার আলবদর ও পাকিস্থানি সেনাবাহিনীর অন্তরাত্মা কেপে উঠত এই শ্লোগান শুনলে।
এখনো তাদের অন্তরাত্মা কেপে উঠে এই শ্লোগান শুনলে। আমি বিশ্বাস করি, এই শ্লোগান এর যারা বিরোধিতা করেতারা মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারীদের ও পাকিস্তানিদের বংশধর। বাংলাদেশের জাতীয় শ্লোগান “জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু”।
শুধু রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ নয়, সরকারি কর্মকর্তা থেকে শুরু করে সকলেরই এই শ্লোগান দেওয়া উচিৎ বলে আমি মনেকরি।
যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে ব্যারিস্টার সুমন এর বহিষ্কার দাবি করছি।
যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির উপ-আন্তর্জাতিক সম্পাদক সফেদ আশরাফ তুহিন লিখেন, জয় বাংলা”
এই ¯েøাগান বাংলাদেশের জনগনের সম্পত্তি, স্বাধীন বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষে শক্তির ¯েøাগান।
বেশী সুশীল হইবার চেষ্টা করিয়েন না।আপনি যে যুক্তি দেখাচ্ছেন, তা বর্তমান সময়ে সাংঘর্ষিক। মাসির চরিত্রে আপনি অভিনয় করছেন।
মাদারীপুর জেলা যুবলীগের সাধারন সম্পাদক সাইফুর রহমান রুবেল খান লিখেন, জীবনে একদিন রাজপথে মিছিল মিটিং না করে জয় বাংলা না বলে যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটিতে সম্পাদক পদ পেয়েছে তার কাছ থেকে এর চাইতে ভালো কথা যারা আশা করে তারা আমার মতোই গর্ধব…? আমি এই সুমন মিয়ার অনতিবিলম্বে বহিস্কার দাবী করছি।
শরীয়তপুর সদর উপজেলা যুবলীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মো. লিটন মিয়া লিখেন, জনাব ব্যারিষ্টার সুমন সাহেব আপনাকেত যে কোন বিষয়ে লাইভে এসে কথা বলতে দেখি কিন্তু গত ২৬এবং ২৭ মার্চ স্বাধীনতার সুবর্নজয়ন্তীতে নরেন্দ মোদিকে কেন্দ্র করে স্বাধীন তা বিরোধিরা হেফাজতের নামে ব্রাম্মনবাড়িসহ সারা দেশ ব্যাপি যে তান্ডব লীলা চালিয়ে ছিল সে দিন আপনি কিংবা আপনার লাইভ ক্যামেরা কোথায় ছিল?
সে সময় আপনি আসবেন না কারন আমি মনে করি আপনি তাদের চক্ষুশূল হয়ে যাবেন বলেই আপনি ইচ্ছে করে আসেননি।
আপনি সস্তা জনপ্রিয়তা পাওয়ার আশায় মানুষের আবেগ কে কাজে লাগানোর চেষ্টা করেন।
এবার ও সে উদ্দেশ্য তুমি লাইভ খেলা খেলেছিলে কিন্ত এবারের খেলায় তুমি হেরে গেছ তুমি বাংলাদেশর জন্মের মুলে কুঠারাঘাত করেছ।
যে জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু শ্লোগানে উজ্জিবিত হয়ে বাংলার দামাল ছেলেরা তাদের জীবন বাজি রেখে দেশ স্বাধীন করেছিল।এই লাইভের জন্য তোমাকে ক্ষমা চাইতে হবে।
যুবলীগের দায়িত্বশীলদের দৃষ্টি কামনা করছি এরকম সাম্প্রদায়িক মন মানসিকতার লোক যদি দলে থাকে তা হলে যুবলীগকে আরও বিতর্কিত করবে বলে আমি একজন আওয়ামীলীগের কর্মী হিসাবে মনে করি।
এখানে অনেকে দেখছি লিখেছেন এর আগে নাকি সে মুক্তিযুদ্ধাদের নিয়ে ও নাকি কি খারাপ মন্তব্য করেছে।
Dhaka, Bangladesh শনিবার, ১১ জানুয়ারি, ২০২৫ | |
Salat | Time |
Fajr | 5:23 AM |
Sunrise | 6:43 AM |
Zuhr | 12:06 PM |
Asr | 3:09 PM |
Magrib | 5:30 PM |
Isha | 6:50 PM |