আজ সোমবার | ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ |২১শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি | রাত ৪:১৪
মনির হোসেন জীবন- রাজধানীতে ত্রাস সৃষ্টিকারী কিশোর গ্যাং ৫ টি গ্রুপের লীডারসহ ২৭ জন সদস্যকে দেশীয় অস্ত্রসহ গ্রেফতার করেছে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। আটককৃত ৫ টি গ্রুপের দল নেতারা হলো, রাব্বি, হৃদয়, মুন্না, হাসান ও রফি। র্যাব জানিয়েছে, গোয়েন্দা সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-৩ এর পৃথক দল গতকাল সোমবার দিনাগত রাত ৮ টার থেকে অভিযান শুরু করে রাত ১১ টা পর্যন্ত একটানা রাজধানীর শাহজাহানপুর, সবুজবাগ, শ্যামপুর ও বংশাল থানা এলাকায় সাড়াশি অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে। আজ মঙ্গলবার দুপুর ৩ টায় রাজধানীর টিকাটুলিস্হ র্যাব-৩ এর কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-৩ এর কমান্ডিং অফিসার (অধিনায়ক) লেঃ কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ এসব তথ্য জানান।
সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-৩ এর উপ-পরিচালক স্টাফ অফিসার (মিডিয়া) মোঃ আরিফুর রহমানসহ র্যাবের অন্যান্য উধর্বতন কর্মকর্তারা এসময় উপস্হিত ছিলেন। লেঃ কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ জানান, গ্রেফতারকৃতরা হলো, মোঃ রাব্বি (২০), মোঃ হৃদয় (২০), মোঃ মুন্না (২০), মোঃ হাসান (২০), আব্দুর রশিদ এসহাক ওরফে রকি (২৬), মোঃ শুভ (২০), মোঃ সিফাত (১৮), মোঃ রাকিব (১৮), মোঃ তন্ময় হোসেন (১৮), মোঃ মিলন (১৯), মোঃ রাজন (১৯), মোঃ ইয়াছিন (১৯), মোঃ ইমন (১৮), আবু তাওহীদ সাফির (২০), মোঃ সিয়াম (১৯), মোঃ রাকিবুল ইসলাম (২০), মোঃ জাকির হোসেন (৩০), মোঃ রাকিব (২৩), মোঃ নাফিস হোসেন ওরফে মুন্না (২৪), মোঃ শুভ (২২), মোঃ রবিউল শেখ (২৪), মোঃ মোশারফ (২৫), মোঃ সোহেল (২৭), মোঃ শুভ (২৭), মোঃ বাবুল খান (৩৬), মোঃ নজরুল হক (৩২) ও মোঃ বাবুল হোসেন (৩৬)। তার মধ্যে কিশোরগ্যাং রাব্বি গ্রুপের ৫ জন, হৃদয় গ্রুপের ৭ জন, মুন্না গ্রুপের ৩ জন, হাসান গ্রুপের ২ জন, এবং রকি গ্রুপের ১০ জন সক্রিয় সদস্য রয়েছে। র্যাব বলছে, গ্রেফতারকালে তাদের নিকট থেকে ৩ টি চাপাতি, ২ টি ক্ষুর, ১০ টি চাকু, ১ টি স্টীলের ব্রাস নাকল্স, ২ টি সুইচ গিয়ার, ১ টি চাইনিজ চাকু, ১ টি এন্টিকাটার, ১ টি কাঁচি, ১ টি লোহার রড, ২৫ টি মোবাইলফোন, ২০ টি সীমকার্ড এবং নগদ ১৪ হাজার ১০০ টাকা উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, এদের প্রতিটি কিশোরগ্যাং গ্রুপে প্রায় ১৫-২০ জন সদস্য থাকে। রাব্বি গ্রুপটি সন্ত্রাসী মোঃ রাব্বির নেতৃত্বে দীর্ঘদিন যাবত পরিচালিত হয়ে আসছিল। নিজেদের মধ্যে আন্তকোন্দলের কারনে তারা ২/৩টি গ্রুপে বিভক্ত হয়। হৃদয় গ্রুপটি গ্রেফতারকৃত হৃদয় এর নেতৃত্বে দীর্ঘদিন যাবত পরিচালিত হয়ে আসছে। এই গ্রুপের সদস্যরা রাজধানীর বংশাল ও আশাপাশ এলাকায় চাঁদাবাজি, ছিনতাই, ডাকাতিসহ অন্যান্য সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করতো। এই সংঘবদ্ধ গ্রুপের সন্ত্রাসীরা একাকী পথচারীদের আকস্মিকভাবে ঘিরে ধরে চাপাতিসহ ধারালো অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক অর্থ ও মূল্যবান সামগ্রী ছিনতাই করে দ্রুত পালিয়ে যায়। তারা বিভিন্ন সময় চাঁদাবাজিসহ আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ঢাকা গুলিস্থান, বংশাল, চকবাজার এলাকাসহ আশপাশ এলাকায় দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে মারামারিসহ বিভিন্ন ধরণের সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করতো। এছাড়াও তারা মাদক সেবনসহ মাদক ব্যবসার সাথেও জড়িত ছিল। সংবাদ সম্মেলনে র্যাব জানান, গ্রেফতারকৃতরা কিশোরগ্যাং এর সদস্যরা পেশায় গাড়ীর হেলপার ও ড্রাইভার, গ্যারেজ মিস্ত্রি, দোকানের কর্মচারী, নির্মাণ শ্রমিক, পুরাতন মালামাল ক্রেতা, সবজি বিক্রেতা হলেও মূল পেশার আড়ালে তারা মূলত রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্ন ধরনের অপরাধের সাথে জড়িত ছিল। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে ১২ জনের বিরুদ্ধে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন থানায় চুরি, ডাকাতির চেষ্টা, অপহরণ পূর্বক মুক্তিপণ আদায়, মারামারি, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, মাদক, দস্যুতা, অস্ত্র ও হত্যা চেষ্টাসহ একাধিক মামলা রয়েছে। র্যাবের এ কর্মকর্তা জানান, কিশোর গ্যাং এর সদস্যরা রাজধানীর শাহজাহানপুর, সবুজবাগ, শ্যামপুর ও বংশাল থানা এলাকায় দীর্ঘদিন যাবৎ আধিপত্য বিস্তারের নামে পেশীশক্তি প্রদর্শন করে আসছিল। তারা মাদক সেবন, সাইলেন্সারবিহীন মোটরসাইকেল চালিয়ে বিকট শব্দ করে জনমনে ভীতির সঞ্চার, স্কুল-কলেজে বুলিং, র্যাগিং, ইভটিজিং, ধর্ষণ, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, ডাকাতি, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মাদক সেবন, অস্ত্র প্রদর্শন এবং অশ্লীল ভিডিও শেয়ারসহ নানাবিধ অনৈতিক কাজে লিপ্ত ছিল। তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
Dhaka, Bangladesh রবিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪ | |
Salat | Time |
Fajr | 5:16 AM |
Sunrise | 6:37 AM |
Zuhr | 11:57 AM |
Asr | 2:57 PM |
Magrib | 5:17 PM |
Isha | 6:38 PM |