আজ সোমবার (১৬ মে ২০২২) সকাল ১০:৩০ টায় রাজারবাগের বাংলাদেশ পুলিশ অডিটোরিয়ামে এপ্রিল ২০২২ মাসের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভা ডিএমপি কমিশনারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়েছে। উক্ত সভায় উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে একথা বলেন ডিএমপি কমিশনার।
পবিত্র রমজান মাস ও ঈদ-উল-ফিতরে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সন্তোষজনক থাকায় ডিএমপির সকল স্তরের অফিসার ও ফোর্সদের ধন্যবাদ জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, চুরি-ছিনতাই প্রতিরোধ ও মাদকের বিরুদ্ধে আমাদের নিয়মিত অভিযান অব্যাহত রাখতে হবে। ফুটপাত দখলমুক্ত রাখতে ডিএমপির ক্রাইম বিভাগ ও ট্রাফিক বিভাগকে এক সাথে কাজ করতে হবে।
আইন-শৃঙ্খলার যাতে অবনতি না ঘটে সে দিকে সবাইকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। প্রকৃত অপরাধীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। দায়িত্বপ্রাপ্ত সবাইকে নিজ নিজ দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে হবে। ঢাকা শহরের অপরাধ প্রতিরোধে সবাইকে আরো নিরলসভাবে কাজ করতে হবে বলে নির্দেশনা দেন ডিএমপি কমিশনার।
এ মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় ঢাকা মহানগরের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা ও জননিরাপত্তা বিধানসহ ভালো কাজের স্বীকৃতি হিসেবে শ্রেষ্ঠ পুলিশ অফিসারদের পুরস্কৃত করেন ডিএমপি কমিশনার।
এপ্রিল মাসের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ৮টি ক্রাইম বিভাগের মধ্যে প্রথম হয়েছে তেজগাঁও বিভাগ ও শ্রেষ্ঠ থানা হয়েছে রমনা থানা। শ্রেষ্ঠ ওয়ারেন্ট তামিলকারী বিভাগ উত্তরা বিভাগ। সহকারী পুলিশ কমিশনারদের মধ্যে প্রথম হয়েছেন তেজগাঁও বিভাগের মোহাম্মদপুর জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার মুজিব আহম্মেদ পাটওয়ারী। পুলিশ পরিদর্শক তদন্তদের মধ্যে প্রথম হয়েছেন হাজারীবাগ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ মাসুদুর রহমান। পুলিশ পরিদর্শকদের (অপারেশনস্) মধ্যে প্রথম হয়েছেন মোহাম্মদপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশনস্) মোঃ তোহাফাজ্জল হোসেন। শ্রেষ্ঠ এসআই নির্বাচিত হয়েছেন যৌথভাবে চকবাজার মডেল থানার এসআই কৃষ্ণ পদ মজুমদার ও পল্লবী থানার এসআই মোঃ সজীব খান। শ্রেষ্ঠ ওয়ারেন্ট তামিলকারী অফিসার হয়েছেন চকবাজার মডেল থানার এসআই মাসুদুর রহমান। শ্রেষ্ঠ এএসআই নির্বাচিত হয়েছেন যৌথভাবে তুরাগ থানার এএসআই মোঃ ফেরদৌস মিয়া ও পল্লবী থানার এএসআই মোঃ ফেরদৌস রহমান। অস্ত্র উদ্ধার করে প্রথম হয়েছেন পল্লবী থানার এসআই মোঃ সজীব খান। বিস্ফোরক উদ্ধার করে প্রথম হয়েছেন চকবাজার মডেল থানার এসআই কৃষ্ণ পদ মজুমদার। মাদক উদ্ধার করে শ্রেষ্ঠ হয়েছেন পল্টন মডেল থানার এসআই সুজন কুমার তালুকদার এবং চোরাই গাড়ি উদ্ধার করে প্রথম হয়েছেন মতিঝিল থানার এসআই ইসমাইল হোসেন।
০৯টি গোয়েন্দা বিভাগের মধ্যে প্রথম হয়েছে গোয়েন্দা গুলশান বিভাগ। শ্রেষ্ঠ টিম লিডার গোয়েন্দা গুলশান বিভাগের অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও মাদক নিয়ন্ত্রণ টিমের সহকারী পুলিশ কমিশনার দেবাশীষ কর্মকার। অস্ত্র উদ্ধারে শ্রেষ্ঠ টিম লিডার হলেন গোয়েন্দা মতিঝিল বিভাগের অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও মাদক নিয়ন্ত্রণ টিমের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন। মাদকদ্র্রব্য উদ্ধারে শ্রেষ্ঠ টিম লিডার গোয়েন্দা মিরপুর বিভাগের পল্লবী জোনাল টিমের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মোঃ মোস্তফা কামাল, পিপিএম-সেবা। চোরাই গাড়ি উদ্ধারে শ্রেষ্ঠ টিম লিডার হয়েছেন গোয়েন্দা মিরপুর বিভাগের অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও মাদক নিয়ন্ত্রণ টিমের সহকারী পুলিশ কমিশনার মোঃ আশরাফুল ইসলাম। অজ্ঞান/মলম পার্টি উদ্ধারে শ্রেষ্ঠ টিম লিডার হলেন গোয়েন্দা রমনা বিভাগের অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও মাদক নিয়ন্ত্রণ টিমের সহকারী পুলিশ কমিশনার নাজিয়া ইসলাম।
০৮টি ট্রাফিক বিভাগের মধ্যে প্রথম হয়েছে ট্রাফিক লালবাগ বিভাগ। শ্রেষ্ঠ সহকারী পুলিশ কমিশনার বিমান কুমার দাস, কোতয়ালী ট্রাফিক জোন। শ্রেষ্ঠ ট্রাফিক ইন্সপেক্টর সাজ্জাদ খান, শাহবাগ ট্রাফিক জোন। শ্রেষ্ঠ সার্জেন্ট হয়েছেন যৌথভাবে শেরেবাংলানগর ট্রাফিক জোনের সার্জেন্ট মোঃ মামুনুর রশিদ ও রমনা ট্রাফি জোনের সার্জেন্ট মফিজুর রহমান।
এছাড়াও ডিএমপির মিডিয়া এন্ড পিআর বিভাগসহ ৭ টি বিভিন্ন বিভাগ ও বিভিন্ন পদ মর্যাদার ১০২ জন অফিসার এবং ফোর্সকে বিশেষ পুরস্কার প্রদান করা হয়।
আজকের অপরাধ পর্যালোচনা সভায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম এন্ড অপারেশনস্) কৃষ্ণ পদ রায় বিপিএম(বার), পিপিএম(বার); অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) এ কে এম হাফিজ আক্তার, বিপিএম (বার); অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মোঃ মুনিবুর রহমান; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি) মোঃ আসাদুজ্জামান, বিপিএম(বার); যুগ্ম পুলিশ কমিশনারগণ, উপ-পুলিশ কমিশনারগণসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।সূএ:ডিএমপি