আজ মঙ্গলবার | ৯ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৪শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ |২২শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি | সন্ধ্যা ৬:২০
মোঃ রফিকুল ইসলাম, কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধিঃ -কুড়িগ্রাম জেলার রাজারহাট উপজেলার সাব রেজিস্ট্রার অফিস দুর্নীতির স্বর্গরাজ্যে পরিণত। সাব রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে ঘুষ দুর্নীতির অভিযোগে সরগরম। সাব রেজিস্ট্রার রায়হান হাবিব অফিসটিকে একটি ঘুষের কারখানা বানানোর পায়তারা করছে মর্মে দলিল লেখকদের মন্তব্যে জানা গেছে। একটি সূত্র জানায়, চাকুরীতে যোগদান করার দেড়/দুই বছর হলেও ঘুষ দুর্নীতিতে তিনি এরই মধ্যে বেশ নামডাক করেছেন। যেদিন রেজিস্ট্রি হবে সেদিন অফিসটিতে কম করে হলেও দুই লক্ষাধিক টাকার ঘুষ বাণিজ্য হয়। সামান্য টাকা কম বেশি হলেই দলিল লেখকদের উপর তিনি নানামুখী হয়রানীসহ নির্যাতন চালিয়েছেন মর্মে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিশ্বস্ত ওই সূত্রটি আরো জানায়, সম্প্রতি দলিল লেখক সমিতির সাথে সামান্য বিষয়কে কেন্দ্র করে সাব রেজিস্ট্রার মোঃ রায়হান হাবিব অফিসটিকে নরককুন্ড বানিয়েছেন। ইতোমধ্যে নির্বাচিত একটি কমিটিকে অবৈধ ঘোষণা করে নিজের মনপুত লোকদের নিয়ে একটি কমিটি করেছেন। গত ২২/০৬/২০২১ইং তারিখ বিনাকারণে দলিল লেখকদের বিরুদ্ধে শোকেজ করেছেন এবং ওই অফিস সহকারী আয়শা সিদ্দিকার মাধ্যমে দলিল লেখকদের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করিয়েছেন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রায় ৫০ জন দলিল লেখক উপজেলা চেয়ারম্যান বরাবর সমস্যা সমাধান ও সুরহার জন্য একটি লিখিত আবেদন করেছেন। সেই আবেদনকে কেন্দ্র করে একটি হুলস্থুর কান্ড ঘটে গেছে। যা একজন উপজেলা কর্মকর্তার সীমা লঙ্ঘনের শামিল। ইতোমধ্যে সাব রেজিস্ট্রার বিভিন্ন ভাবে হয়রানী ও হেনস্তা করা শুরু করেছেন। সূত্রটি আরো জানায়, তিনি দলিল লেখকদের এবং তাদের কাঙ্খিত ঘুষের টাকা আদায়ের জন্য মোহাম্মদ হোসেন, আব্দুল রফিক, ছামিদুল হক দুলু, সন্তোষ কুমার রায়, ছানাউর রহমান শাওন ও রোস্তম আলী মন্ডল সহ ৬ জনের একটি টিম করে দিয়েছেন। জানা গেছে, বর্তমান সাব রেজিস্ট্রার রায়হান হাবিব যোগদান করার পর থেকে সাব রেজিস্ট্রার অফিস যেন দুর্নীতির স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে। অপরদিকে রাজারহাটের জমি ক্রেতা-বিক্রেতা ও সাধারণ মানুষ প্রতিনিয়ত আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। এলাকাবাসী এই দুর্নীতিবাজ রায়হান হাবিবের রাজারহাট থেকে অন্যত্র শাস্তিমুলক বদলীর দাবি জানিয়েছে। একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, ঘুষের টাকা লেনদেনের ক্ষেত্রে প্রতিটি দলিল সম্পাদনের পূর্বে দলিলের পিছনে একধরণের সীল ও সাংকেতিক চিহ্ন ব্যবহার করা হয়। যা দলিল সম্পাদন করার সময় সাব রেজিস্ট্রার রায়হান হাবিব দলিলের চিহ্ন দেখেই বুঝতে পারেন তার প্রাপ্য ঘুষের টাকা দেয়া হয়েছে কিনা। চিহ্ন না থাকিলে বিভিন্ন অযুহাত দেখিয়ে দলিল আটকিয়ে দেয়া হয়। কোন দলিল আটকে গেলে ক্রেতা বিক্রেতার ব্যাপক ক্ষতির সম্মখিন হতে হয়। এ কারণে সাধারণ দলিল লেখকরা সাব রেজিস্ট্রারের চাহিদা মোতাবেক ঘুষ দিতে বাধ্য হচ্ছেন। এ বিষয়টির দ্রæত প্রতিকার দাবি করেছে সাধারণ মানুষ।
এ ব্যাপারে রাজারহাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জাহিদ ইকবাল সোহরাওয়ার্দী বাপ্পি জানায়, রাজারহাট সাব রেজিস্ট্রার অফিসে বর্তমান সময়ে যে ধরণের অনিয়ম ও দুর্নীতির ঘটনা ঘটছে তার প্রতিকার হওয়া উচিত। দলিল লেখকদের সাথে সাব রেজিস্ট্রারের দ্ব›েদ্বর নিরসন হওয়ায় জরুরী। আমি বিষয়টি দ্রæত সমাধানের জন্য সর্বোচ্চ প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতা প্রত্যাশা করছি।
Dhaka, Bangladesh মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০২৪ | |
Salat | Time |
Fajr | 5:17 AM |
Sunrise | 6:38 AM |
Zuhr | 11:58 AM |
Asr | 2:58 PM |
Magrib | 5:18 PM |
Isha | 6:39 PM |