আজ সোমবার | ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ |২১শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি | সকাল ১০:৫৪
বিডি দিনকাল ডেস্ক : লক্ষ্মীপুরের সাবেক সংসদ সদস্য কাজী সহিদ ইসলাম ওরফে পাপুলের দেওয়া সেই অ্যাম্বুলেন্স এর প্রকৃত মালিকের কাছে হস্তান্তর করেছে পুলিশ। আদালতের নির্দেশে পুলিশের জব্দ করা অ্যাম্বুলেন্সটি গত ২৯ মে ২০২৩ ইং সোমবার রাতে হস্তান্তর করা হয়।
কুয়েতে ৭ বছরের কারাদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত সাবেক সংসদ সদস্য কাজী সহিদ ইসলাম ২০১৭ সালে জেলার রায়পুর পৌরসভাকে অ্যাম্বুলেন্সটি উপহার দিয়েছিলেন।
এ বিষয়ে রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শিপন বড়ুয়া বলেন, পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) পরিদর্শক মোকলেছুর রহমান গত বছরের ২১ আগস্ট অ্যাম্বুলেন্সটির বিষয়ে ঢাকার উত্তরা পশ্চিম থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। ওই জিডিতে দাবি করা হয়, অ্যাম্বুলেন্সটির মালিক মোকলেছুরের স্ত্রী নিগার সুলতানা। এরপর বিষয়টি খতিয়ে দেখতে গিয়ে পৌরসভার অ্যাম্বুলেন্সটির ইঞ্জিন নম্বরের সঙ্গে নিগার সুলতানার অ্যাম্বুলেন্সটির ইঞ্জিন নম্বরের মিল পাওয়া যায়। একপর্যায়ে অ্যাম্বুলেন্সের কাগজপত্র দেখানোর জন্য পৌরসভা কর্তৃপক্ষকে তিন দিনের সময় দেয় পুলিশ। কিন্তু কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেনি পৌরসভা কর্তৃপক্ষ। এরপর গত ১৮ মার্চ অ্যাম্বুলেন্সটি জব্দ করে থানায় নিয়ে আসা হয়।
গত ২৯ মে ২০২৩ ইং সোমবার আদালত সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (আমলি আদালত রায়পুর) আবু ইউসুফ অ্যাম্বুলেন্সটি নিগার সুলতানাকে হস্তান্তরের নির্দেশ দেন। এরপর গত মঙ্গলবার রাতে নিগার সুলতানা ও তাঁর স্বামী মোকলেছুর রহমানকে অ্যাম্বুলেন্সটি বুঝিয়ে দেওয়া হয়। অ্যাম্বুলেন্স উপহার দিলেও কাগজপত্র না দিয়ে সাবেক সংসদ সদস্য কাজী সহিদ ইসলাম প্রতারণা করেছেন বলে জানিয়েছেন রায়পুর পৌরসভার মেয়র গিয়াস উদ্দিন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, জাতীয় নির্বাচনের আগে ২০১৭ সালে কাজী সহিদ ইসলাম রায়পুর পৌরসভাকে অ্যাম্বুলেন্সটি উপহার দেন। উপহার দেওয়ার পাঁচ বছর পর ওই পুলিশ কর্মকর্তা অ্যাম্বুলেন্সের মালিকানা দাবি করে থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। অ্যাম্বুলেন্সটি জব্দের পর মোকলেছুর রহমান বলেছিলেন, ‘২৪ লাখ টাকা দিয়ে অ্যাম্বুলেন্সটি কিনেছিলাম। পরে কুমিল্লার মেঘনা উপজেলার মানিকাচর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান জাকির হোসেনকে অ্যাম্বুলেন্সটি ভাড়ায় খাটানোর জন্য দিয়েছিলাম। কয়েক মাস ভাড়া দেওয়ার পর আর ভাড়ার টাকা দেননি তিনি (জাকির)। অ্যাম্বুলেন্সটি ফেরত চাইলে সেটিও দেননি। এ নিয়ে থানায় জিডি করি। পরে অন্য একটি গাড়ি চুরি ও প্রতারণার মামলায় জাকিরকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। গ্রেপ্তারের পর আমার অ্যাম্বুলেন্সের বিষয়ে ক্লু পাই।’
কুয়েতে মানব ও অর্থ পাচারের দায়ে কাজী সহিদ ইসলাম সাত বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন। কুয়েতের এক আপিল আদালত মানব পাচারের মামলায় দেওয়া রায়ে কারাদণ্ড শেষে কাজী সহিদ ইসলামকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। এর আগে মানব ও অর্থ পাচারের অভিযোগে কাজী সহিদ ইসলামকে ২০২০ সালের ৬ জুন রাতে তাঁর কুয়েত সিটির বাসা থেকে দেশটির আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তারা আটক করেন। কুয়েতে সহিদ ইসলাম পাপুলের বিরুদ্ধে দুটি মামলা হয়। একটি মামলা হয় ঘুষ লেনদেন ও মানব পাচারের অভিযোগে এবং অন্যটি করা হয় অর্থ পাচারের অভিযোগে। ৭ বছরের সাজাপ্রাপ্ত হয়ে কারাগরে আটক রয়েছেন পাপুল।লক্ষ্মীপুর-২ আসন (রায়পুর-লক্ষ্মীপুর সদরের আংশিক) থেকে সংসদ সদস্য ছিলেন সহিদ ইসলাম। কুয়েতে কারাদণ্ডাদেশ হওয়ার পর সংসদ সদস্য পদ হারান তিনি। কুয়েতে গ্রেপ্তার হওয়ার আগে লক্ষ্মীপুরের মানুষ সহিদ ইসলামকে দানবীর হিসেবে জানতেন।পাপুলের পুরো পরিবার এখন ফেরারি জীবনযাপন করতেছে । তাদের সকলের বিরুদ্ধে দেশে ও বিদেশে মানব পাচার ও অর্থআত্মসাৎ মামলা রয়েছে ।
এলাকার লোকজন জানান, ১৯৮৯ সালে একটি প্রতিষ্ঠানের সুপারভাইজার (শ্রমিকদের তত্ত্বাবধায়ক) হিসেবে চাকরি নিয়ে কুয়েতে যান সহিদ। তখন তিনি ছিলেন অনেকটা নিঃস্ব। ১৯৯০ সালে ইরাকের কুয়েত দখলের কারণে তিনি দেশে ফিরে আসেন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে সহিদ আবার কুয়েতে যান।
Dhaka, Bangladesh সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪ | |
Salat | Time |
Fajr | 5:17 AM |
Sunrise | 6:37 AM |
Zuhr | 11:58 AM |
Asr | 2:58 PM |
Magrib | 5:18 PM |
Isha | 6:39 PM |