আজ রবিবার | ২৮শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১২ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ |১২ই রজব, ১৪৪৬ হিজরি | বিকাল ৪:০১
শরীয়তপুর প্রতিনিধি \শরীয়তপুর ফায়ার সার্ভিস থেকে জাজিরা-নাওডোবা-কাঠালবাড়ি পদ্মাসেতুর এপ্রোচ পর্যন্ত মহাসড়কে ফোরলেন রাস্তার জমি অধিগ্রহন করে জমির মালিকের ক্ষতি পূরনের টাকা পরিশোধ না করে কাজিরহাট ব্রীজের কাজ শুরু করার অভিযোগ করেছে জমির মালিকগন। জমির মালিক ক্ষতি পূরনের টাকা পাওয়ার জন্য আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। সড়ক জনপথ বলছেন জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ইতোমধ্যে ৪০ কোটি টাকা জমা দিয়েছেন। বাকি টাকা ডিসেম্বরের মধ্যে জমা দিয়ে দিবে। জমির মালিকগন তাদের পাওনা পেয়ে যাবেন।আমরা স্থানীয়দের সহযোগিতা চাই।
শরীয়তপুর সড়ক জনপথ বিভাগ ও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের সূত্রে জানাগেছে, শরীয়তপুর ফায়ার সার্ভিস থেকে জাজিরা-নাওডোবা কাঠালবাড়ি পদ্মাসেতুর এপ্রোচ পর্যন্ত ফোরলেন মহাসড়কে চলতি অর্থবছরে ১৪২ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রায় সাড়ে ১৩ কিলোমিটার সড়ক উন্নয়ন কাজ ও প্রেমতলা কীর্তিনাশা নদীর উপরে ব্রীজ এবং জাজিরায় কাজিরহাট ব্রীজ নির্মাণের কাজ হাতে নেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে কাজিরহাট ব্রীজ ও প্রেমতলা ব্রীজের কার্যাদেশ দেয়া হয়েছে। প্রেমতলা ব্রীজের কাজ চলমান রয়েছে। জমির মালিকগন জমির অধিগ্রহনের টাকা না পেতে তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ঘর সরিয়ে নিবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে। প্রেমতলা ব্রীজে জনগনের সহায়তায় মূল সেতুর কাজ চলমান থাকলেও জাজিরা কাজিরহাট ব্রীজের জমি অধিগ্রহন না থাকায় জমির মালিকগন কাজ শুরু করতেই দিচ্ছেনা। এদিকে মূল সড়কে শরীয়তপুর ফায়ার সার্ভিস এর নিকট ১নং প্যাকেজটি গত ২ আগস্ট দরপত্র আহবান করা হয়েছে। ১০৫ হেক্টর জমি অধিগ্রহনের জন্য সড়ক ও জনপথ বিভাগ গত রমজান মাসে শরীয়তপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের রাজস্ব বিভাগের কাছে ২২টি প্রস্তাব জমা দিয়েছে। এ সড়কে জমি অধিগ্রহনের জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা। সড়ক ও জনপথ বিভাগ এ খাতে ইতোমধ্যে জমি অধিগ্রহন বাবদ ৪০ কোটি টাকা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জমা দিয়েছেন বলে সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মোঃ শফিকুর রহমান জানান। এখনো জমির মালিকদের ক্ষতি পূরনের পাওনা বুঝিয়ে দেয়া হয়নি। এখনো বেশীর ভাগ জমির ৪ ধারা, ৬ ধারা, ৭ ধারা, ৮ধারা বাকি। এসব কাজ শেষ হলেই কেবল চুড়ান্ত হবে অধিগ্রহনের কাজ।তার পরে টাকা পরিশোধের বিষয়। গত কয়েকদিন যাবত কাজিরহাট ব্রীজের মূল সেতুর পূর্ব পার্শ্বের কাজ শুরু করে সড়ক বিভাগ। জমির মালিকদের ক্ষতি পূরনের টাকা পরিশোধ না করে কাজ শুরু করায় এলাকার পাওনাদারগন ফুসে উঠে। তারা রোববার সকালে ব্রীজের কাজ বন্ধ করে দিয়ে ব্রীজের পূর্ব পাড়ে ক্ষতি পূরনের টাকা পাওয়ার দাবীতে এক মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করেন।
কাজিরহাট দক্ষিন দুবলদিয়া কাজি কান্দি গ্রামের জমির মালিক জসিম উদ্দিন আকন বলেন, আমার ১একর ৮০ শতাংশ জমি থেকে ৩০ শতাংশ ব্রীজের জন্য অধিগ্রহন করেছে। আমাকে ক্ষতি পূরনের কোন টাকা পরিশোধ না করেই ব্রীজের কাজ শুরু করে দিয়েছে। আমি ঠিকাদার ও সড়ক বিভাগকে বার বার বাধা দিলে ও তারা বাধা উপেক্ষা করে কাজ করছে। বাধ্য হয়ে গত ১১ নভেম্বর আমি সহকারী জজ আদালতে মামলা দায়ের করেছি। এরপরেও তারা কাজ করছে। আমি জমি দিতে রাজি আছি। কিন্ত টাকা না পেয়ে কাজ করতে দিবনা।
জমির মালিক হাসান আকন বলেন, আওয়ামীলীগের পরিচয় দিয়ে বাবুল আকন নামের এক ব্যক্তি প্রভাব খাটিয়ে জোর পূর্বক কাজিরহাট ব্রীজের জমির ক্ষতি পূরনের টাকা বুঝিয়ে না দিয়েই কাজ শুরু করে। আমরা আমাদের জমির ক্ষতি পূরনের টাকা চাই।
এ ব্যাপারে মেসার্স জামিল ইকবাল জয়েন্ট বেঞ্চার হাসান টেকনো ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের স্বত্তাধিকারী মোঃ হাসান আলী বলেন, আমরা কার্যাদেশ পেয়ে ব্রীজের কাজ শুরু করেছি। ব্রীজের দ’ুপাশের এপ্রোচের জমি অধিগ্রহনের পাওনা পরিশোধ না থাকায় জমির মালিকগন বাধা দিচ্ছে। এতে কাজ বিলম্বিত হচ্ছে। টাকা পরিশোধের বিষয়ে দেখবেন জেলা প্রশাসক ও সড়ক বিভাগ। কাজে বিলম্ব হওয়ায় আমাদের অনেক ক্ষতি হচ্ছে।
এব্যাপারে শরীয়তপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী রেদোয়ানুর রহমান ভুইয়া বলেন,আমরা জেলা প্রশাসকের রাজস্ব শাখায় ইতোমধ্যে বেশ কিছু টাকা জমা দিয়েছি। দুটি ব্রীজের দরপত্র আহবান করা হয়েছে। দুটি ব্রীজের কার্যাদেশ দেয়া হয়েছে। জমির ক্ষতি পূরনের টাকা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় পরিশোধ করবে। স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতা পেলে কাজ দ্রæত গতিতে এিেগয়ে যাবে।
এব্যাপারে শরীয়তপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ভুমি অধিগ্রহন কর্মকর্তা সহকারী কমিশনার আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, জমি অধিগ্রনের কাজ চলমান আছে। অধিগ্রহনের কাজ শেষ হলেই জমির মালিকদের ক্ষতি পূরনের টাকা পরিশোধ করা হবে।
Dhaka, Bangladesh রবিবার, ১২ জানুয়ারি, ২০২৫ | |
Salat | Time |
Fajr | 5:23 AM |
Sunrise | 6:43 AM |
Zuhr | 12:07 PM |
Asr | 3:10 PM |
Magrib | 5:31 PM |
Isha | 6:50 PM |