আজ সোমবার | ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ |২১শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি | সন্ধ্যা ৬:২৮
বিডি দিনকাল ডেস্ক ::-শারদীয় দূর্গাপুজা ও বিজয়া দশমী উপলক্ষে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান নিম্নোক্ত বাণী দিয়েছেন-বাণী:-
“শারদীয় দূর্গাপুজা ও বিজয়া দশমী উপলক্ষে আমি হিন্দু ধর্মাবলম্বী সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই। তাদের সুখ শান্তি ও কল্যান কামনা করি।
যুগ যুগ ধরে শারদীয় দূর্গাপুজা বাংলাদেশসহ বিশে^র অন্যান্য দেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব। সুদীর্ঘকাল ধরে এই ধর্মীয় উৎসবটি সাড়ম্বরে পালিত হয়ে আসছে। বাংলাদেশেও দূর্গাপুজা সবসময় উৎসবমুখর পরিবেশে পালিত হয়।
যে কোন ধর্মীয় উৎসবই মানুষে মানুষে নিবিড় বন্ধন রচনা করে, সহমর্মিতা ও ভ্রাতৃত্ববোধ জাগরিত হয়। সকল ধর্মের মর্মবাণী শান্তি ও মানব কল্যাণ। মানুষ হিসেবে হিংসা-বিদ্বেষ ও রক্তারক্তি পরিহার করে সমাজে শান্তি ও সাম্য প্রতিষ্ঠায় ব্রতী হওয়া আমাদের সকলের কর্তব্য। দূর্গাপুজার অন্তর্নিহিত বাণীই হচ্ছে-হিংসা, লোভ ও ক্রোধরুপী অসুরকে বিনাশ করে সমাজে স্বর্গীয় শান্তি প্রতিষ্ঠা করা যেখানে ন্যায় ও সুবিচার নিশ্চিত হবে। নির্যাতন, নিপীড়ণ ও প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার মধ্য দিয়ে যারা সমাজকে, মানব সভ্যতাকে ধ্বংস করতে চায়, প্রতিষ্ঠিত করতে চায় দু:শাসন তাদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে মানবকল্যান প্রতিষ্ঠা এই উপাসনার মূল লক্ষ্য। সেই বাণীকে আত্মস্থ করেই দূর্গাপুজার উৎসবের আনন্দকে সকলে মিলে ভাগ করে নিতে হবে। উৎসব বৃত্তাবদ্ধ নয়, সার্বজনীন।
বাংলাদেশ ধর্মীয় সম্প্রীতির দেশ। যেকোন ধরণের অশুভ তৎপরতা সম্পর্কে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলকে সজাগ থাকতে হবে। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি এ দেশের প্রতিটি মানুষের ধর্মীয় স্বাধীনতা ও মূল্যবোধ রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা সংখ্যাগুরু ও সংখ্যালঘু তত্ত্বে বিশ^াসী নই। আমরা সবাই বাংলাদেশী-এটাই হোক আমাদের বড় পরিচয়।
আমি এবারের শারদীয় দূর্গোৎসবের সর্বাঙ্গীন সাফল্য কামনা করি।”
শারদীয় দূর্গাপুজা ও বিজয়া দশমী উপলক্ষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নিম্নোক্ত বাণী দিয়েছেন-বাণী:-“শারদীয় দূর্গাপুজা ও বিজয়া দশমী উপলক্ষে আমি হিন্দু ধর্মাবলম্বী সবাইকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। কামনা করি তাদের অব্যাহত সুখ, শান্তি ও কল্যাণ। শারদীয় দূর্গাপুজা বাংলা ভাষাভাষী জনগোষ্ঠীর হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্র্মীয় উৎসব। আবহমান কাল ধরেই এই উপমহাদেশে এই ধর্মীয় উৎসবটি আনন্দঘন পরিবেশে পালিত হয়ে আসছে। যে কোন ধর্মীয় উৎসবই সাম্প্রদায়িক ভেদরেখা অতিক্রম করে মানুষে মানুষে মহামিলন সূচনা করে। শারদীয় দূর্গাপুজার উৎসব সকলের মধ্যে নিয়ে আসে আনন্দের বার্তা। এই উৎসব বাংলাদেশের একটি শ্বাশ্বত সার্বজনীন উৎসব। উৎসব জাতি-রাষ্ট্রে সর্বমানুষের মিলন ক্ষেত্র। বিএনপি আবহমানকালের ঐতিহ্যের ধারায় ‘ধর্ম যার যার, রাষ্ট্র সবার’ নীতিতে এবং ধর্মীয় স্বাধীনতা ও মূল্যবোধে বিশ^াস করে।
এই সরকারের আমলে সাম্প্রদায়িক উস্কানী, বিভিন্ন ধর্মীয় উপাসনালয়সহ হিন্দুু সম্প্রদায়ের দেবালয়ে আক্রমণ ও ভাংচুর অত্যুগ্র মাত্রায় সংঘটিত হচ্ছে। বর্তমানে দুর্গাপুজার প্রাক্কালে দেশের কয়েকটি স্থানে প্রতিমা ভাংচুর, লুটপাট ও চাঁদাবাজির ঘটনা উদ্বেগজনক। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টকারী ঘটনা-মহল বিশেষের মদদ ছাড়া অসম্ভব। আমি এই সমস্ত অশুভ ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি এবং তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।
সুদীর্ঘকাল ধরেই বাংলাদেশে সকল সম্প্রদায়ের মানুষ মিলেমিশে একত্রে বসবাস করছে। ধর্মীয় উৎসব সাম্প্রদায়িক সীমানা অতিক্রম করে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল মানুষকে এক বৃহত্তর শুভেচ্ছার প্রাঙ্গনে মিলিত করে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি আমাদের জাতীয় ঐত্যিহের অংশ। আমরা সবাই বাংলাদেশী এটিই আমাদের গর্ব, এটিই আমাদের একমাত্র পরিচয়।
আমি শারদীয় দূর্গাপুজার সার্বিক সাফল্য কামনা করি।”
Dhaka, Bangladesh সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪ | |
Salat | Time |
Fajr | 5:17 AM |
Sunrise | 6:37 AM |
Zuhr | 11:58 AM |
Asr | 2:58 PM |
Magrib | 5:18 PM |
Isha | 6:39 PM |