আজ শুক্রবার | ২৬শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১০ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ |১০ই রজব, ১৪৪৬ হিজরি | রাত ৮:২২
স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহ-ছাত্রাবাসে বসবাসরত শিক্ষার্থীদের উচ্চস্বরে কথাবার্তায় ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আল-কোরআন এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সহকারী রেজিস্ট্রার জাহিদুল ইসলামের। আর এতে তিনি ক্ষিপ্ত হন। প্রথমে ছাত্রদের সঙ্গে তর্কবিতর্ক ও পরে দলবল নিয়ে ছাত্রাবাসে হামলা চালিয়ে ৬ ছাত্রকে মারধর করেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে ঝিনাইদহের শৈলক‚পা উপজেলার ত্রিবেনী ইউনিয়নের আনন্দনগর গ্রামের রবিউল ছাত্রাবাসে। এসময় ঝিনাইদহ জেলা পরিষদের সদস্য রেজাউল করিম খাঁন ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করেন। শিক্ষার্থীরা বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডিকে জানালেও তারাও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। প্রত্যক্ষদর্শী ও ভূক্তভোগীরা জানান, ত্রিবেনী রোডের সাকসেস কোচিং সংলগ্ন রবিউল ইসলাম মেসে ১২ জন ইবির শিক্ষার্থী পড়ালেখা করেন। মেসের ছাত্র কামাল উদ্দীনের মাস্টার্স শেষ হওয়ায় তারা গভীর রাত পর্যন্ত সবাই মিলে ট্যুরের পরিকল্পনা করছিলেন। মেসের পাশেই ইবির আল-কোরআন এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সহকারী রেজিস্ট্রার জাহিদুল ইসলামের বাসা। মঙ্গলবার রাতে সহকারী রেজিষ্ট্রার জাহিদ মেসে এসে কামালকে ডেকে বলেন তাদের চিল্লাচিল্লির কারণে তার ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে। এর আগেও মেসে শিক্ষার্থীরা চিল্লাচিল্লি করেন বলে অভিযোগ করেন তিনি। মেসে থাকা অন্য শিক্ষার্থীরা বিষয়টি নিয়ে সহকারী রেজিষ্ট্রারের সঙ্গে তর্কবিতর্কে জড়িয়ে পড়েন। জাহিদ শিক্ষার্থীদের হুমকি ধামকি দিয়ে চলে যান। গভীর রাতে লোকজন নিয়ে মেসে ঢুকে ছাত্রদের মারধর করেন। হামলার মুখে শিক্ষার্থীরা মেস থেকে ক্যাম্পাসে চলে যান এবং গুরুতরসহ আহত অন্তত পাঁচ জন শিক্ষার্থী চিকিৎসা নেন। ঘটনাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি ও ইবি থানাকে জানালে তারাও ঘটনাস্থলে আসেন। ভূক্তভোগী কামাল উদ্দীন বলেন, জাহিদ ভাই আমাদের পাশের মেসে থাকেন। মঙ্গলবার রাতে তিনি আমাদের মেসে আসেন এবং আমরা প্রতিনিয়ত চিল্লাচিল্লি করি বলে অভিযোগ করেন। পরে তিনি ৩০/৪০ জনকে নিয়ে মেসে থাকা শিক্ষার্থীদের উপর অতর্কিত হামলা করেন। জাহিদ নিজেও আমাকে মেরেছে। সহকারী রেজিষ্ট্রার জাহিদ হোসেন বলেন, আমি এ বিষয়ে কিছু জানি না। মারামারির ঘটনার সাথে আমার সংশিষ্টতা নেই। উল্টো শিক্ষার্থীরা আমাকে বিনা কারণে অভিযুক্ত করে আমার বাড়ির গেটে ইট পাটকেল মেরেছে। আমি বিষয়টি প্রক্টরকে জানিয়েছি। এখন আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। মেস মালিক রবিউল ইসলাম বলেন, শিক্ষার্থীরা আমাকে ফোন দিয়ে বিষয়টি জানিয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর ড.শফিকুল ইসলাম ও প্রক্টর প্রফেসর ড. জাহাঙ্গীর হোসেন ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে জানান। তারা বলেন, ঘটনাটি তদন্তে সহকারী প্রক্টর শফিককে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে।
Dhaka, Bangladesh শুক্রবার, ১০ জানুয়ারি, ২০২৫ | |
Salat | Time |
Fajr | 5:23 AM |
Sunrise | 6:43 AM |
Zuhr | 12:06 PM |
Asr | 3:09 PM |
Magrib | 5:29 PM |
Isha | 6:49 PM |