আজ সোমবার | ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ |২১শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি | রাত ১২:১৩
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলো সাধারণ শিক্ষার্থীরা দখলে নিয়ে হলগেটে অবস্থান নিয়েছে। ক্যাম্পাসের ডেইরি গেটে ‘ছাত্রলীগ প্রবেশ নিষেধ’ পোস্টারিং করেছে শিক্ষার্থীরা। এদিকে জাবি হল ভ্যাকান্টের সিদ্ধান্ত দিয়েছে প্রশাসন। এ সময় শিক্ষার্থীরা রেজিস্ট্রার ভবনের সামনে অবস্থান নেয়। অন্যদিকে জাবির শহীদ মিনারে অবস্থান নিয়েছেন দু’শতাধিক পুলিশ।
এদিকে, ক্যাম্পাসের বাইরে মহাসড়কে বিজিবি ও র্যাবের শতাধিক সদস্য অবস্থান নিয়েছে। আজ বুধবার সকাল ১০টায় শুরু হওয়া এক সিন্ডিকেট মিটিংয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় ঘোষণা করা হয়। পরে এক বিজ্ঞপ্তি আকারে সিদ্ধান্তগুলো জানানো হয়। এতে বিকেল ৪টার মধ্যে শিক্ষার্থীদের হল ছাড়তে বলা হয়। বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল প্রকার শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসসমূহ যথারীতি খোলা থাকবে।
এদিকে প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তের বিরোধীতায় তাৎক্ষণিকভাবে বিভিন্ন হল থেকে স্লোগান দিতে দিতে শিক্ষার্থীরা রেজিস্ট্রার ভবনে জড়ো হয়ে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করেন তারা।
আন্দোলনের সমন্বয়ক আরিফ সোহেল বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের ঘোষণা আমরা প্রত্যাখান করেছি। আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব। ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অফস ও ট্র্যাফিক) মো. আব্দুল্লাহ হিল কাফী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অনুমতিতে ক্যাম্পাসের জানমাল রক্ষা ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যেন বিঘ্নিত না হয় এজন্য আমরা এসেছি। যদিও এ বিষয়ে ভিসি অধ্যাপক নূরুল আলমের বক্তব্য পাওয়া যায় নি।
এদিকে, শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ৪৮ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে পারেনি। গত সোমবার দিবাগত রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির বাসভবনের সামনে ছাত্রলীগ বহিরাগতদের সঙ্গে নিয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় আন্দোলনকারীরা ভিসির বাসভবনে আশ্রয় নেন। এরপর শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আখতারুজ্জামান সোহেলের নেতৃত্বে ভিসির বাসভবনে অভ্যন্তরে প্রবেশ করে হামলা চালায় ছাত্রলীগ। এ ঘটনা ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে পড়লে সাধারণ শিক্ষার্থীরা প্রত্যেক হলের সামনে অবস্থান নেন। তারা জানান, বহিরাগতদের নিয়ে ছাত্রলীগ হামলা করে ক্যাম্পাসে তাদের অবস্থান নষ্ট করেছে। তাদের হলে প্রবেশের অনুমতি নেই।
একাধিক শিক্ষার্থী বলেন, পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী সন্ধ্যা ৭টায় আন্দোলনকারীরা শান্তিপূর্ণ মিছিল নিয়ে যাচ্ছিল। হঠাৎ ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে শতাধিক নেতাকর্মী বটতলা এলাকায় দেশি অস্ত্র নিয়ে তাদের ওপর হামলা করে। এ সময় নারী শিক্ষার্থীদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও মারধর করে ছাত্রলীগের কয়েকজন কর্মী। এর বিচারের দাবিতে উপাচার্যের বাসভবনে আমরা অবস্থান নিই। কিন্তু সেখানেও ছাত্রলীগের নেতাকর্মী ও তাদের ভাড়া করা গুন্ডাবাহিনীকে আমাদের উপর লেলিয়ে দেয়। তারা রামদা, বন্দুক, পেট্রলবোমা ধারালো অস্ত্র দিয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায়। একের পর এক আমাদের ওপর কাচের বোতল ছুড়ে মারা হয়। তার কিছুক্ষণ পর তাদের সাথে যুক্ত হয় পুলিশ বাহিনী। তারা আমাদের ওপর টিয়ারশেল ও ছড়া গুলি করে।
এ বিষয়ে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আকতারুজ্জামান সোহেল বলেন, সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে গুজব ছড়িয়ে ছাত্রলীগের সামনে দাঁড় করিয়ে দেয়া হয়েছে। অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়েও একটা মহল চায় ছাত্রলীগের সঙ্গে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ হোক। কিন্তু আমরা সেটা চাইনা। এজন্য আমরা ক্যাম্পাসের বাইরে অবস্থান করছি। তবে আমাদের কর্মীরা হলের অবস্থান করছে।
Dhaka, Bangladesh রবিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪ | |
Salat | Time |
Fajr | 5:16 AM |
Sunrise | 6:37 AM |
Zuhr | 11:57 AM |
Asr | 2:57 PM |
Magrib | 5:17 PM |
Isha | 6:38 PM |