আজ শুক্রবার | ২৬শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১০ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ |১০ই রজব, ১৪৪৬ হিজরি | সন্ধ্যা ৬:০৪
মোহাম্মদ শরীফুল ইসলাম:-টাঙ্গাইলের সখিপুর ও বাসাইল দুই উপজেলার সীমান্তবর্তী বংশাই নদীতে অবৈধভাবে বাংলা ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। ফলে ফসলি জমি, কমিউনিটি সেন্টার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, রাস্তাঘাট নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে।
জানা যায়, দীর্ঘদিন যাবৎ বাসাইল উপজেলার কাঞ্চনপুর ইউপি চেয়ারম্যান শামীম আল মামুনের নেতৃত্বে সখিপুর উপজেলার হাতীবান্ধা ইউনিয়নের পশ্চিমের শেষ সীমানা চাকদহ বাজারের পাশে একটি বাংলা ড্রেজার এবং বাসাইল উপজেলায় রাশড়া গ্রামের শিমুল গংরা বাসাইল সদর ইউনিয়নের রাশড়া গ্রামে একটি বাংলা ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন করে লাখ লাখ টাকার বালু বিক্রি করে আসছে। প্রশাসন নির্বিকার।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সখিপুর উপজেলার হাতীবান্ধা ইউনিয়নের পশ্চিমের শেষ সীমানায় চাকদহ বাজারের পাশ দিয়ে এবং বাসাইল উপজেলার বাসাইল সদর ইউনিয়নের রাশড়া গ্রামের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া বংশাই নদীতে দুইটি বাংলা ড্রেজার বসিয়ে অবাধে অবৈধভাবে নদী থেকে বালু উত্তোলন করছে। ফলে বাসাইল উপজেলার বাসাইল সদর ইউনিয়নের রাশড়া গ্রামের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রাশড়া কমিউনিটি ক্লিনিক ভাঙ্গনের কবলে হুমকির মুখে পড়েছে। এছাড়াও রাশড়া গ্রামের কবরস্থানসহ, ফসলি জমি রাস্তাঘাট, বসতভিটা নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ার আশংকা রয়েছে। আশেপাশের ফসলি জমি দেবে যাচ্ছে, ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে কৃষক। নদীর অপর প্রান্ত সখিপুর উপজেলার হাতীবান্ধা ইউনিয়নের পশ্চিমের শেষ সীমানা চাকদহ গ্রাম। চাকদহ হাটে যাওয়ার মূল রাস্তাটির বেহাল অবস্থা এবং শতবছরের পুরাতন চাকদহ হাট বিলীনের পথে। এছাড়া মসজিদ, মন্দির,শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। রতনপুর, বালিয়াটাপাড়া, কুমরাঝুরি,হাতীবান্ধা, চাকদহ গ্রামের মানুষের বাসাইল উপজেলায় প্রবেশের মূল রাস্তাসহ আবাদি জমি বংশাই নদীতে অবৈধ ভাবে ড্রেজার চালানোর কারনে ভাঙ্গনের মুখে পরেছে। অন্যদিকে বালু খেকোরা প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না। এভাবে বালু উত্তোলন করা হলে নদীর দুইপাড়ের ঘর-বাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাবে বলে অভিযোগ করেছে এলাকাবাসী।
ভুক্তভোগী গ্রামবাসী জানায়, তারা ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসক, সখিপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার, বরাবর বাংলা ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন বন্ধের প্রসঙ্গে একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন এবং তার অনুলিপি এডিসি(ভূমি) টাঙ্গাইল, ইউএনও সখিপুর টাঙ্গাইল, ইউএনও বাসাইল টাঙ্গাইল, সহকারী কমিশনার (ভূমি) সখিপুর, সহকারী কমিশনার (ভূমি) বাসাইল, ওসি সখীপুর, ওসি বাসাইল এবং সখিপুর বাসাইল প্রেসক্লাব বরাবর দিয়েছেন।কাঞ্চনপুর ইউপি চেয়ারম্যান শামীম আল মামুন জানান, বালু নেওয়া হচ্ছে নদীর বাসাইল উপজেলার ছয়দামপুর অংশ থেকে আর বালু যাচ্ছে সখিপুর উপজেলার চাকদহ গ্রামে। প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই বালু উত্তোলন করা হচ্ছে।
সখিপর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) প্রকৌশলী ফারজানা আলম জানান, আমরা এ ব্যাপারে একটা লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগের ভিত্তিতে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হবে।
বাসাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পাপিয়া আক্তার জানান, আমাদের কাছে তো অনেক অভিযোগ আসে, আমি এখনও পায়নি ,তবে এটা আমাকে দেখতে হবে। অভিযোগ পেলে আমরা অবশ্যই ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করবো।
Dhaka, Bangladesh শুক্রবার, ১০ জানুয়ারি, ২০২৫ | |
Salat | Time |
Fajr | 5:23 AM |
Sunrise | 6:43 AM |
Zuhr | 12:06 PM |
Asr | 3:09 PM |
Magrib | 5:29 PM |
Isha | 6:49 PM |