আজ সোমবার | ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ |২১শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি | সকাল ৯:২১
সখিপুর(টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি:- সখিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ইউএইচএফও ডাঃ মোহাম্মদ আব্দুস সোবহানের বিরুদ্ধে যন্ত্রাংশ,লেলিন,বেডসহ অন্যান্য মেরামতে লাখ লাখ ভূয়া-বিল ভাউচারের পর এবার তথ্য বিভ্রাট করে ধর্ষন মামলায় প্রধান সহকারি মিজানুর রহমানের জামিনের ব্যবস্থা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। হাসপাতালের প্রধান সহকারি মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে হাসিনা নামে এক মহিলা ধর্ষন মামলা দায়ের করে। যার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন মামলা নং ২৯৯/২০২০সন। সূত্রঃ টাঙ্গাইল থানার মামলা নং ০২ তারিখ ০২/০৭/২০২০খ্রিঃ জি.আর.মামলা নং ১৬২/২০২০খ্রিঃ। ধারা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ সংশোধনী ২০০৩ এর ৯(১) ধারা সহ দঃ বিঃ আইনের ৫০৬ধারা। এ মামলায় বাদী মিজান কর্তৃক ধর্ষনের সময় ও স্থান উল্লেখ করেন ২৯ মে/২০২০ তারিখ দুপুর ১২টা হতে বিকাল অনুমান ৫টা পর্যন্ত টাঙ্গাইল সদর থানাধীন সাবালিয়া সাকিনস্থ বটতলা বাজার সংলগ্ন বাদীর বড় বোন মোছাঃ হোসনেয়ারা বেগম এর ভাড়াটিয়া বাসায়। ্আর ওই তারিখে শুক্রবার বন্ধের দিন হলেও সখিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোহাম্মদ আব্দুস সোবহান জানান ধর্ষনের যে সময় উল্লেখ করা হয়েছে সে সময় প্রধান সহকারি মিজানুর রহমান সখিপুর হাসপাতালে কর্মরত ছিল। অথচ হাজিরা সিটে মিজানুর রহমানের দস্তখত নেই। তথ্য জালিয়াতি করে ইউএইচএফও প্রধান সহকারি মিজানুর রহমানকে আদালতের মাধ্যমে জামিন করিয়েছে। আবার তিনি ১৯২৭নং স্মারকে ০৪/০৭/২০২০ইং তারিখে সিভিল সার্জনকে জানিয়েছেন প্রধান সহকারি মিজানুর রহমান ০২/০৭/২০২০ইং তারিখ হতে কর্মস্থলে অনুপস্থিত। তার জালিয়াতির অন্ত নেই। ইউএইচএফও এবং প্রধান সহকারি সু-দৃঢ় সিন্ডিকেট তৈরী করে দেদারছে সীমাহীন অনিয়ম-দুর্নীতি চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের অনিয়ম-দুর্নীতি,জালিয়াতির বিরুদ্ধে কেউ কোন প্রতিবাদ করলে কৌশলে তাকে অন্যত্র বদলি করে দেওয়া হয়। প্রতিবাদ করায় ইতিমধ্যে স্বাস্থ্য পরিদর্শক আব্দুল কাদেরকে মানিকগঞ্জ এবং স্বাস্থ্য সহকারি আবু সাইদ মিয়াকে ধনবাড়ি উপজেলায় বদলি করা হয়েছে। হাসপাতাল কোয়ার্টার বরাদ্দের জন্য সাত সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। সেই তদন্ত কমিটি বিনা বরাদ্দে বসবাসকারী ২৬জনের একটি তালিকা তৈরী করে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন। ২৬জনের মধ্যে বিনা বরাদ্দে সর্বোচ্চ ১৭বছর যাবৎ কোয়ার্টারে বসবাস করছে সিনিয়র স্টাফ নার্স মাজেদা খাতুন ও প্রধান সহকারি মিজানুর রহমান। তালিকা পাওয়ার ইউএইচএফও ডাঃআব্দুস সোবহান গোপনে তাদেরকে ডেকে নিয়ে ৮বছরের বাসা ভাড়ার টাকা উত্তোলন করে নিজে আতœসাৎ করেছেন। এমনকি ডাঃ হারুন অর রশীদের নিকট থেকে ২০হাজার টাকা ও সিনিয়র স্টাফ নার্স শাকিলা আক্তারের নিকট থেকে ৫হাজার টাকা ঘুষ নিয়েছেন বলে জানায়। এছাড়া হাসপাতালের ভাউন্ডারীর ভিতর স্থাপিত ক্যান্টিন থেকে প্রতিমাসে দুই হাজার টাকা ভাড়া উত্তোলন করে দুই বছরের ভাড়া আতœসাৎ করেছেন। এখন আবার দুই লাখ টাকা ঘুষ দাবি করছেন বলে ক্যান্টিন পরিচালক জানান। হাসপাতালের প্রধান সহকারি মিজানুর রহমান বলেন,বরাদ্দ ছাড়া কোর্য়াটারে থাকা ও তথ্য জালিয়াতি করে জামিন নিলে সাংবাদিকের তো কোন সমস্যা থাকার কথা না। সখিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আব্দুস সোবহান বলেন, সাংবাদিকরা বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত জানতে চায় বলেই হাসপাতালে সাংবাদিক প্রবেশ নিষেধ। আবাসিক মেডিকেল অফিসার(আরএমও)ডাঃ আজিমুদ্দিনকে সাংবাদিক নিষেধাজ্ঞা বিষয়ে দিক-নির্দেশনা দেওয়া আছে।আরএমও ডাঃ আজিমুদ্দিন কোন সাংবাদিককে হাসপাতালে ভর্তি কোন রোগীর নিকট যেতে দেয় না। সোমবারও কয়েকজন সাংবাদিককে একজন আগুনে পোড়া রোগী ফরিদকে দেখতে যেতে দেয়নি।
Dhaka, Bangladesh সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪ | |
Salat | Time |
Fajr | 5:17 AM |
Sunrise | 6:37 AM |
Zuhr | 11:58 AM |
Asr | 2:58 PM |
Magrib | 5:18 PM |
Isha | 6:39 PM |