আজ রবিবার | ৭ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২২শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ |২০শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি | রাত ১১:০৭
আসাদুল করিম শাহীন:-তারেক রহমান বাংলাদেশের রাজনীতির আকাশে এক উজ্জ্বল নক্ষত্র ব্যক্তিত্বের নাম। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। উন্নয়ন সমৃদ্ধি ও জাতীয়তাবাদী শক্তির “সোনালি ফিনিক্স” তিনি। অনুকরণ ও অনুসরণীয় এক মহান নেতা। জনসাধারণের আকাক্সক্ষার মূর্তপ্রতীক আগামী বাংলাদেশের রাষ্ট্রনায়ক। আমার এই প্রিয়নেতার শুভ জন্মদিনে তাঁর প্রতি জানাচ্ছি প্রাণঢালা অভিনন্দন এবং সংগ্রামী শুভেচ্ছা।
বাংলাদেশের রাজনীতির এক চরম সংকটময় সন্ধিক্ষণে প্রিয়নেতার জন্মদিন। তাঁর জন্মদিন আমাদের কাছে আন্দোলনের নতুন বার্তা নিয়ে এসেছে। চারিদিকে অস্থির রাজনৈতিক শুন্যতা বিরাজ করছে। কায়েমী স্বার্থবাদীগোষ্ঠী এবং আমাদের দেশের শত্রুরা তৎপর হয়ে উঠেছে। নবরূপী বাকশালী কুচক্রী মহল নতুন নতুন ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে গুম-হত্যা ও নিপীড়ন চালিয়ে সারাদেশের মানুষের মধ্যে সৃষ্টি করেছে ব্যাপক আতঙ্ক। একটি অনিশ্চিত গন্তব্যের কালো অধ্যায় নিয়ে এ দেশের মানুষ অস্থির চিত্তে পরিবর্তনের অপেক্ষায়। গ্রামÑগঞ্জে সর্বত্র জনমনে প্রশ্ন কবে হবে একটি জনপ্রত্যাশা অনুযায়ী জাতীয় সংসদ নির্বাচন। আধিপত্যবাদী বিদেশী আগ্রাসী শক্তির ছত্রছায়ায় অবৈধ পুতুল সরকারের বিদায় ঘন্টা বাজিয়ে কবে প্রতিষ্ঠিত হবে জনপ্রত্যাশিত সেই জাতীয়তাবাদী সরকার — যার নেতৃত্ব দেবেন জননেতা তারেক রহমান। সবার দৃষ্টি এখন ভয়ঙ্কর এই পরিস্থিতিতে দেশনায়ক তারেক রহমানের দিকে। কী হবে তাঁর কর্মসূচি, দেশের ১৮ কোটি মানুষ গভীর আগ্রহ ও প্রত্যাশা নিয়ে তাকিয়ে আছে তাঁর দিকে। দেশ ও জাতিকে অশুভ নির্যাতনকারী অবৈধ সরকারের হাত থেকে তিনি রক্ষা করবেন। জনগণের এমন অনিশ্চিত সময়ে রাজপথের সংগ্রামের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদী লুটেরা অপশক্তি পরাজিত হবে আর তার নেতৃত্ব দেবেন দেশের অভিজ্ঞ তারুন্যের আলোয় দীপ্ত তারেক রহমান।
জনাব তারেক রহমান-এর প্রতি জনপ্রত্যাশা আকাশচুম্বি। তাঁর নেতৃত্বের দৃঢ়তার কারণে বিএনপি’র কর্মী-সমর্থক ও সাধারণ মহলে তাঁর প্রতি আস্থা-বিশ্বাস হতবাক করার মতো। প্রিয় দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক অনুপস্থিতিতে জনাব তারেক রহমান দৃঢ় হাতে বিএনপি’র হাল ধরেন। নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ করেন। দলের মধ্যে ঘাপটি মেরে থাকা ষড়যন্ত্রকারী বিশৃঙ্খলাকারীদের দল থেকে বহিষ্কারেও তিনি দ্বিধা করেন না। ইতোমধ্যে, আগামীদিনের দেশনায়ক তারেক রহমান হয়ে উঠেছেন জনগণের ঐক্যের প্রতীক। স্মর্তব্য দলের অতীতের সকল দুর্দিনে দলের ছাত্র-যুব তথা সবাইকে তিনি সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। অতীত নির্বাচনে ও সংগ্রামে তিনি ছিলেন রাজপথের সেনানায়ক।
জনআকাক্সক্ষা ধারণ ও বাস্তবায়নই হচ্ছে রাজনৈতিক নেতৃত্বের প্রধান কর্তব্য। রাজনীতি পরিবর্তনশীল। রাজনৈতিক নেতৃত্বকে বর্তমানের সঙ্গে মানিয়ে চলতে হয়। জনাব তারেক রহমানের রাজনৈতিক দর্শন ও অবস্থান পর্যালোচনা করলে প্রতীয়মান হবে যে, নৈতিকতা ও জনকল্যাণের চেতনাকে ধারণ করে বর্তমানের সঙ্গে তিনি নিপুণভাবে মানিয়ে নিয়েছেন। নিজেকে পর্যায়ক্রমে তৈরি ও বিকাশিত করেছেন। দল পরিচালনায় রেখেছেন পারঙ্গমতার স্বাক্ষর। নিঃসন্দেহে জনাব তারেক রহমান বর্তমান বাংলাদেশের পজেটিভ রাজনীতির প্রধান চরিত্র, বৈশিষ্ট্যপূর্ণ রূপকার এবং নিরলস কর্মী।
সমাজ জীবনের আশা-আকাক্সক্ষা এবং বাংলাদেশের গণমানুষের হৃদয়ে গণতন্ত্রের স্বপ্ন ছড়িয়ে, তারেক রহমান রাজনৈতিক পরিমন্ডলে মাথা উঁচু করে আছেন এক বিরাট বটবৃক্ষের মত। দেশের জন্য, দেশের মাটি ও মানুষের জন্যে যেমন তাঁর অকৃত্রিম ভালবাসা, দেশের জনগণের মনেও তেমনি তাঁর প্রতি অপরিসীম ভালবাসা ও শ্রদ্ধা। জনগণের আকাক্সক্ষা ধারণ করাই হলো রাজনৈতিক নেতৃত্বের প্রধান দায়িত্ব। জনগণের চাহিদা মতো কর্মসূচিই হলো রাজনৈতিক কর্মসূচি। জনগণের স্বাতন্ত্র্য সংরক্ষণ করে তাদের মধ্যে বলিষ্ঠ জীবনবোধের উন্মেষ সৃষ্টিই হলো রাজনীতির প্রধান লক্ষ্য। রাজনীতির বিস্তীর্ণ ক্ষেত্রে তারেক রহমানের পদক্ষেপ সঠিক এবং সঠিক বলেই তাঁর উচ্চারণ আজ জনগণের সুস্পষ্ট উচ্চারণ জনগণের আশা-আকাক্সক্ষা মূর্ত হয়ে উঠেছে তাঁর রাজনৈতিক কর্মসূচিতে।
কঠিন দুঃসময়ে তারেক রহমান রাজনীতিতে আগমন করেন, তাঁর সেই আগমন ছিল রাজনীতির বদ্ধঘরে খোলা জানালার মত, যে জানালা দিয়ে রাজনীতির বদ্ধঘরে ঢুকতে পেরেছিল একমুঠো মিষ্টি সুবাতাস। রাজনীতিতে তারেক রহমানের আগমনে তখনকার ছাত্র-যুবক-শ্রমিক তথা সকল তরুণ কর্মীদের মাঝে উদ্দীপনার সৃষ্টি করেছিল, জাতীয়তাবাদী আদর্শের সৈনিকেরা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের প্রতিচ্ছবি দেখেছিলেন তাঁর মধ্যে। কর্মে-কথায়-আচরণে তৃণমূলের নেতাকর্মী, সাধারণ মানুষের মনে আশা-ভালবাসার সঞ্চার করেছিলেন তিনি। যে ভালবাসা এখনও অটুট অম্লান রয়েছে। বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবী খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য প্রফেসর গোলাম আলী ফকির তাঁকে মূল্যায়ন করেছেন এই ভাবে—
“ঐক্যবদ্ধ অগ্রগতির অমোঘ দাবি উৎপাদনের রাজনীতি এবং জনগণের গণতন্ত্র। এই কর্মসূচি নিয়ে একদিন গ্রামের পর গ্রামে ছুটে গেছেন বাংলাদেশের সফল রাষ্ট্রনায়ক জিয়াউর রহমান। তারই প্রদর্শিত পথে পা রাখলেন তারেক রহমান এবং গণমানুষের প্রাণের ছোঁয়া পেয়ে তিনিও উৎফুল্ল হয়ে উঠেছিলেন। সেই থেকে তৃণমূল পর্যায়ে গণতন্ত্রকে পুনঃপ্রতিষ্ঠার সংগ্রামে আত্মনিয়োগ করেন তারেক রহমান। সাধারণ মানুষের সমস্যার কথা সরাসরি শোনা এবং সমাধানের কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করে এক নতুন ইতিহাস গড়ে তুলতে তৎপর হন। তারেক রহমান নৈতিকতা ও মানবিক মূল্যবোধকে ফিরিয়ে আনতে এক অনন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। সমাজের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের মাঝে গড়ে তোলেন ভ্রাতৃত্বের বন্ধন। এক একটি সাধারণ হাত হয়ে ওঠে তখন কর্মীর হাতিয়ার।”
বাংলাদেশের রাজনীতিতে এই মুহূর্তে সবচেয়ে যোগ্য মেধাবী দূরদৃষ্টি সম্পন্ন রাজনৈতিক নেতা তারেক রহমান। ১৯৮৮ সালে নিজ জেলা বগুড়ার গাবতলী থানা বিএনপি’র একজন সাধারণ সদস্য হিসাবে তাঁর আনুষ্ঠানিক রাজনীতি শুরু। যদিও জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সক্রিয় কর্মী হিসাবে, কখনও বা পরামর্শদাতা হিসেবে মাঝে মাঝে তাঁকে দেখা যেত। তিনি আগে বিএনপি পুনর্গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় অবতীর্ণ হন। এছাড়া ১৯৯১, ১৯৯৬ এবং ২০০১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিশেষ অবদান রাখেন দেশবরেণ্য এই তরুণ নেতা। ১৯৮২ সনের ২৪ মার্চ স্বৈরাচার হুসাইন মোহাম্মদ এরশাদ নির্বাচিত বিএনপি সরকারকে বন্দুকের নলে উৎখাত করে ক্ষমতার মসনদে বসেন, বিএনপি’র সেই চরম ক্রান্তিকালে আপোসহীন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া বিএনপি’র হাল ধরেন। বিএনপি’র অনেক নেতাই সেদিন বিএনপি ত্যাগ করে ক্ষুদ্র ব্যক্তি স্বার্থে জেনারেল এরশাদের অবৈধ সরকারে যোগ দেয়। জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল এবং জাতীয়তাবাদী যুবদলকে সাথে নিয়ে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, অগ্নিঝরা দুঃসময়ে স্বৈরাচার বিরোধী শাসনের বিরুদ্ধে মহাসংগ্রামে নেতৃত্ব দেন। সেই কঠিন সময়ে সদ্য কৈশোরোত্তীর্ণ তারেক রহমান ছাত্রাবস্থায় তাঁর মা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার পাশে থেকে বিএনপি পুনর্নির্মাণে অনেক সহযোগিতা করেন, যা বিএনপি’র ইতিহাসে চিরস্মরণীয় হয়ে আছে।
জাতীয়তাবাদী শক্তিকে গতিশীল করার জন্য তাঁর রাজনীতিতে আবির্ভাব। তিনি উত্তরাধিকারসূত্রে বুকের গভীরে লালন করেন গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ। আব্রাহাম লিঙ্কন এর প্রদর্শিত গণতন্ত্রই তাঁর প্রথম পছন্দ, “জনগণের জন্য, জনগণের দ্বারা, জনগণের শাসন, যা কখনো পৃথিবী থেকে বিলুপ্ত হবে না। তাঁর স্বপ্ন গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ। ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে তিনি শুরুতেই ছুটে গিয়েছেন সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায়। পথে প্রান্তরে হেঁটে বেরিয়েছেন তিনি। এই আদর্শ অনুপ্রেরণা তিনি লাভ করেছেন তাঁর পিতা বীর মুক্তিযোদ্ধা বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীর উত্তম -এর কাছ থেকে। পিতার আদর্শ ও কর্মসূচি হৃদয়ে ধারণ করে দেশপ্রেমের শক্তিতে বলীয়ান হয়ে সত্য-ন্যায় ও কল্যাণের পথে এগিয়ে যাবার প্রত্যয় নিয়েছেন আমাদের প্রাণপ্রিয় নেতা তারেক রহমান। তিনি রাজনীতিতে আসার আগে ও পরে একাধিকবার উল্লেখ করেছেন, তাঁর পিতাই তাঁর শিক্ষক। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের শাহাদৎবরণের কিছু পরে তিনি একটি প্রবন্ধ লিখেছিলেন “আমার শিক্ষক” শিরোনামে, তাতে তাঁর পিতার সাথে কিছু স্মৃতির উল্লেখ করেছেন। এক জায়গায় তিনি লিখেছেন, “১৯৮১ সালের ৩০ মে বহুবার এসেছে জীবনে। যতদিন বেঁচে থাকব ঘুরে ঘুরে প্রতিবছর দিনটি আসবে। কিন্তু আমরা তো কখনও ১৯৮১ সালের ২৯ মে’তে ফিরে যেতে পারবো না। ৩০ মে’র পর যখন দেখলাম লাখ লাখ মানুষ চোখের পানি নিয়ে দুঃখ ভারাক্রান্ত হৃদয়ে একটি কফিনের পেছনে দাঁড়িয়ে তাদের নেতাকে শেষ শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন, তখন শুধু এইটুকুই মনে হয়েছিল, একটি মানুষ কিভাবে এত লাখো কোটি মানুষকে আপন করে নিতে পারেন, কেমন করে পারেন কোটি মানুষের হৃদয়ে ঠাঁই নিতে। সেই লাখো কোটি মানুষের প্রিয় জিয়াউর রহমানের সন্তান আমি, এটি মনে হলে বাবাকে হারানোর ব্যাথা একটু হলেও লাঘব হয়। যখন মনে পড়ে, লাখ লাখ লোক জানাজায় এবং রেডিও-টিভির সামনে বসে কোটি কোটি মানুষ আল্লাহর দরবারে তাদের প্রিয় মানুষটির জন্য দোয়া করছে, তখন পিতার মৃত্যুর বেদনা অল্প হলেও প্রশমিত হয়।”
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভাইস চ্যান্সেলর, রাষ্ট্রবিজ্ঞানী, প্রফেসর এমাজউদ্দীন আহমদ স্মৃতিকথায় লিখেছেন— “আমি তারেককে ভালবাসি। তারেক রহমানকে আমি দেখি একজন শিক্ষকের দৃষ্টি দিয়ে। ভাল ছেলে। বিনয়ী, সদাশয়, মৃদুভাষী। নন্দিত জাতীয় নেতা বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এবং দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমান। নেতা-নেত্রীর কাতারে বুদ্ধিদীপ্ত অগ্রগামী তারুণ্যের প্রতীক। দীর্ঘজীবী হোক এই কামনা প্রতি মুহূর্তের। তাঁকে চিনি দীর্ঘদিন ধরে। কোন আলোচনা সভা বা সেমিনার নয় বরং ঘরোয়া পরিবেশে। সুশীল তরুণ হিসাবে। তাঁর বক্তব্য ঋজু। চিন্তা-ভাবনা সুস্পষ্ট। কৃত্রিমতা এখনো তাকে স্পর্শ করেনি। স্পর্শ করেনি দুর্বুদ্ধিপ্রসূত কোন জটিলতা।”
বহুদলীয় গণতান্ত্রিক রাজনীতির মানসপুত্র তারেক রহমান। বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটি নতুন সকাল সৃষ্টির জন্য তাঁর আগমন। তারেক রহমান এবং দেশের সকল জাতীয়তাবাদী শক্তির চাওয়া নির্বাচন কেন্দ্রিক বহুদলীয় গণতন্ত্র। আজ বাংলাদেশে গণতন্ত্র অবরুদ্ধ। দেশে চলছে একদলীয় ফ্যাসিবাদী শাসন। এই ফ্যাসিবাদী দুঃশাসন থেকে আমরা মুক্ত হতে চাই। তারুণ্যের প্রতীক বুদ্ধিদীপ্ত রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব তারেক রহমান আমাদের মুক্ত করবেন, নতুন আলোর পথ দেখাবেন। বাংলাদেশের ধ্বংসপ্রাপ্ত গণতন্ত্রের ভগ্নস্তুপ থেকে ফিনিক্স পাখির মতো তাঁর উত্থান হোক জন্মদিনে এই প্রবল প্রত্যাশা বাংলাদেশের গণতন্ত্রকামী আপামর মানুষের।
জননেতা তারেক রহমানের মতে, একটি জাতি ও দেশের মূল ¯্রােতধারা হচ্ছে জাতীয়তাবাদী চেতনা সম্পন্ন জনসম্পষ্টি। তিনি মনে করেন ঃ অন্যায়, অবিচার, শোষণের বিরুদ্ধে গণতন্ত্রকে শক্তিশালী ভিত্তির উপর দাঁড় করানোর জন্য যারা গণতান্ত্রিক ইনস্টিটিউশনগুলোকে জোরদার করার পক্ষে, পুঁজি ও প্রযুক্তির স্বাধীন বিকাশ ও অর্থনৈতিক মুক্তির পক্ষে, যারা নতজানু পররাষ্ট্রনীতির পরিবর্তে স্বাধীন জোট নিরপেক্ষ পররাষ্ট্রনীতিতে বিশ্বাসী, যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সমুন্নত রাখবেন, যারা ন্যায়বিচার ভিত্তিক শোষণমুক্ত সমাজ কায়েমের লক্ষ্যে লড়াই করবেন, মাটি ও মানুষকে নিয়ে যাদের রাজনীতি আমাদের চোখে তারাই জাতীয়তাবাদী শক্তি।
দেশের এই চরম ক্রান্তিলগ্নে সব দেশপ্রেমিক জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করে সব ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তকে পরাস্ত করে জাতীয় স্বাধীনতা ও সর্বভৌমত্বের পক্ষে, জনগণের গণতন্ত্র ও অর্থনৈতিক মুক্তি নিশ্চিত করাই জাতীয়তাবাদী শক্তির কর্তব্য। দেশ ও জাতির এই দুর্দিনে জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করে তীব্র আন্দোলনের মাধ্যমে জাতিকে সব ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তের নাগপাশ থেকে উদ্ধার করে মুক্তির সাধ দিতে হবে, জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
বাংলাদেশের ভৌগলিক অবস্থান ও আর্থসামাজিক অবস্থার কারণে জাতীয়তাবাদী শক্তির দৃঢ় ঐক্য বিশেষভাবে প্রয়োজনীয় মনে করেন দেশনায়ক তারেক রহমান। তিনি অনুভব করেন, আমরা আমাদের জাতীয় স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব অক্ষুণœ রাখার এবং আত্মনির্ভরশীল অর্থনীতি গড়ার স্বপক্ষের শক্তিই জাতীয়তাবাদী শক্তি। এই শক্তি ছড়িয়ে আছে আমাদের চেতনায় ও সকল প্রেরণায়।
জননেতা তারেক রহমান বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত হয়ে, তাঁর ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেছেন “সকল ধর্মের মানুষ, ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠিসহ সকল ধর্ম, বর্ণ, সকল মানুষের চিন্তা-চেতনা এবং আশা আকাক্সক্ষা ধারণ করে একটি অংশীদারিত্বমূলক সামাজিক ও অর্থনৈতিক, ন্যায়বিচার সম্পন্ন, জনকল্যাণমূলক, সহিষ্ণু, মানবিক, শান্তিকামী ও সমৃদ্ধ গণতান্ত্রিক সমাজ গঠন তাঁর দলের লক্ষ্য। তিনি বলেছেন, বিএনপি বিশ্বাস করে, জনগণ সকল উন্নয়নের কেন্দ্রবিন্দু এবং জনগণই সকল ক্ষমতার মালিক। বিএনপি জনগণের শ্রম, উদ্যোগ, উৎসাহ এবং আগ্রহের পথের সকল বাধা প্রতিবন্ধকতা দূর করে বাংলাদেশকে একটি সুখী, সমৃদ্ধ, আধুনিক এবং আত্মমর্যদাশীল জাতিতে পরিণত করার প্রাণান্তকর চেষ্টা চালিয়ে যাবে। তিনি বলেন, বহুধা বিভক্ত জাতীয় জনসমাজকে ঐক্যবদ্ধ করার লক্ষ্যে সকল মতাদর্শের ঐকতান রচনা করে পারস্পরিক শ্রদ্ধার ভিত্তিতে জাতীয় পর্যায়ে ঐক্য প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে পারস্পরিক বোঝাপড়ার এক উর্বর ক্ষেত্র তৈরি করতে। তিনি এ-ও বলেন, বাংলাদেশ থেকে গণতন্ত্র এখন নাই হয়ে গেছে। বাংলাদেশের জনগণ মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে যে রাষ্ট্র গড়ে তুলেছিল সে রাষ্ট্রের মালিকানা জনগণের হাতে এখন আর নেই।
দেশনায়ক তারেক রহমান সভা সেমিনারে তাঁর ভবিষ্যৎ নানামুখি পরিকল্পনার বিষয় তুলে ধরেন। তাঁর লক্ষ্য ভবিষ্যতে বাংলাদেশের দ্রুত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, সঞ্চয় ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি সহ অর্থনীতির আমূল সংস্কার এবং স্বল্প সময়ের মধ্যে সকল মানুষকে শিক্ষিত করে তোলা। তাঁর মতে, শিক্ষাসহ সকল শিক্ষা হওয়া উচিত জীবনমুখি। কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষায় ব্যাপক উন্নয়নে অধিক গুরুত্ব প্রদান করা। সাম্প্রতিক এক বক্তৃতায় তিনি বলেন, “আমাদের প্রিয় মাতৃভূমির স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, হারানো গণতন্ত্র উদ্ধারের জন্য আমি দেশপ্রেমিক সকল ব্যক্তি, গ্রুপ ও দল তথা জনসাধারণের প্রতি আহ্বান জানাই। আমাদের সকলের লৌহদৃঢ় ঐক্য ও সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে অবৈধ, তাঁবেদার সরকারকে হটিয়ে একটি নির্বাচিত জনগণের পছন্দের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।” জননেতা তারেক রহমানের শুভ জন্মদিনে আমাদের প্রত্যয় হোক— একটি কাঙ্খিত পরিবর্তনের জন্য, আমাদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য, একটি নতুন স্বপ্ন বির্নিমানের জন্য। আমরা ফিরে পেতে চাই হারানো গণতন্ত্র, আমরা গণমানুষের নেতা আধুনিক গণতন্ত্রের প্রবক্তা জননেতা তারেক রহমানের নির্দেশিত পথে এগিয়ে যেতে চাই। বাংলাদেশ- জিন্দাবাদ, শহীদ জিয়া অমর হোক, বেগম খালেদা জিয়া জিন্দাবাদ, তারেক রহমান জিন্দাবাদ।
(লেখক:সহ প্রচার সম্পাদক, বিএনপি)
Dhaka, Bangladesh রবিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪ | |
Salat | Time |
Fajr | 5:16 AM |
Sunrise | 6:37 AM |
Zuhr | 11:57 AM |
Asr | 2:57 PM |
Magrib | 5:17 PM |
Isha | 6:38 PM |