আজ রবিবার | ৭ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২২শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ |২০শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি | রাত ১১:৫৪
বিশেষ প্রতিনিধি , কুয়েত : কুয়েত প্রবাসীরা বিভিন্ন সময় হেনস্তা, হুমকি, এমনকি তাদের দূর্নিতির প্রতিবাদ করায় মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে দেশে পাঠানোর ঘটনাও কম নয়। কুয়েতে মানবপ্রাচারের দায়ে দন্ডিত দেশটির কেন্দ্রিয় কারাগারে সাঝা প্রাপ্ত আসামী সাবেক সংসদ সদস্য কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলের কাছে বিক্রিত তখনকার রাষ্ট্রদূত আবুল কালাম, দূতালয় প্রধান আনিসুজ্জামান, স্থানীয়ভাবে অস্থায়ী নিয়োগ প্রাপ্ত কল্যান সহকারী আনোয়ার হোসেন,মোঃ ফরিদ, তৌহিদ, জসিম গংদের ত্রাস চলে কুয়েতে। সাধারন প্রবাসীদের বিভিন্ন অভিযোগ থাকা সত্যেও তাদের বিরোদ্ধে কোন পদক্ষেপ নেয়নি কর্তৃপক্ষ।
এককভাবে দেশটিতে ভিসা বানিজ্য করার লক্ষে এমনই উন্মাদনা সৃষ্টি হয় পাপুলের মধ্যে তখনকার রাষ্ট্রদূত , চট্রগ্রামের সাবেক আওয়ামীলীগ নেতা আবুল কালাম, দূতালয় প্রধান আনিসুজ্জামানসহ কল্যান সহকারী আনোয়ার হোসেন,মোঃ ফরিদ, তৌহিদ, জসিমদের যোগশাজসে স্থানীয় প্রশাসনের কিছূ দূর্নিতিবাজ কর্মকর্তার সহযোগিতায় অনেক তরুন ব্যবসায়ী এবং সাংবাদিককে দেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। সে থেকে কুয়েতে সাধারণ প্রবাসীরা বাংলাদেশ দূতাবাসকে আতংক হিসেবে মনে করে আসছে। এসব দূর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে দেশে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্দন করেও কোন প্রতিকার পায়নি দেশে ফেরত প্রবাসীরা। বরং যে সব চ্যানেলে ঐ মানববন্ধনের নিউজ প্রচার হয়েছে সে সব চ্যানেলের কুয়েত প্রতিনিধিদের মিথ্যা অভিযোগে স্থানীয় প্রশাসন এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়কে ব্যবহার করে দেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
সম্প্রতি স্যোসাল মিডিয়ায় একটি ছবি ভাইরাল হয়। ছবিতে দেখা যায় সাবেক দূতালয় প্রধান নিয়াজ মুর্শেদ টাকার বিনিময়ে জাল সার্টিফিকেট সত্যায়ন, এক ভিসা ব্যাবসায়ীরে কাছ থেকে টাকা নিয়ে আরেক ভিসা ব্যাবসায়ীকে আউট পাস দিয়ে রাতারাতি দেশে পাঠিয়ে দেওয়া, পবিত্র দূতাবাসে নারী কেলেংকারী সহ অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে প্রবাসীদের। এত অভিযোগ থাকা সত্যেও কোন বিচায় হয়নি। এছাড়া আনোয়ার হোসেন ,ফরিদ, তৌহিদ, জসিম মৃত প্রবাসীদের দেশে পাঠানো টিকেটের টাকা, কারাগারে থাকা প্রবাসীদের দেশে পাঠানোর নামে টাকা আদায়, বিভিন্ন কোম্পানিতে বেতন, আকামর সমস্যায় জর্জরিত সাধারণ প্রবাসীদের অভিযোগের সমাধান না করে ঐ কোম্পানির ম্যানেজারদের কাছ থেকে ঘুষ নিয়ে সাধারণ প্রবাসীদের বিপদে ফেলার ঘটনাও কম নয়। আর এদের আরেকজন সহকর্মী রয়েছে যার নাম আনোয়ার হোসেন ।এই চার পান্ডবে মিলে সকল ধরণের অপকর্ম করে ।
সম্প্রতি একটি ছবি ভাইরাল হয়েছে এসব দূর্নীতিবাজদের। যেখানে দেখা যায় জুয়া খেলায়মগ্ন পাশাপাশি রযেছে নেশাদ্রব্য। ছবির ডান দিক থেকে তাস হাতে নিয়াজ মুর্শেদ, জসিম, ফরিদ। একজন বিসিএস ক্যাডার হয়ে চতুর্থ শ্রেনীর কর্মচারীদের সাথে নেশা করে জুয়া খেলে সে সব কর্মকর্তাদের ব্যক্তিত্ব নিয়ে প্রশ্ন থেকে যায়। সাধারণ প্রবাসীরা ভয়ে কিছু না বললেও তারা মনে করেন স্থানীয়ভাবে কোন কর্মচারীকে চার পাচঁ বছরের বেশি দূতাবাসের রাখা ঠিক না। এদের কারণে দূতাবাসে দুর্নীতি এবং প্রবাসীদের হয়রানী বেড়ে যায়। যথাযথ কর্তৃপক্ষ এই সকল বিষয়ে তদন্ত্র করে জরুরী পদক্ষেপ নেবেন এমন প্রত্যাশা সাধারণ প্রবাসীদের।
সরকার বদল হয় , দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত বদল হয় , সচিবরাও বদল হয় কিন্তু ফরিদ ,তৌহিদ,আনোয়ার হোসেন ,জসিম গংরা বদল হয় না । এই শ্রম শাখার চার কল্যাণ প্রতিনিধি ফরিদ ,তৌহিদ,আনোয়ার এবং পাসপোর্ট শাখার প্রতিনিধি জসিম বহাল তবিয়তে থেকে যায় দূতাবাসে । এদের বিরুদ্ধে যদি সঠিক তদন্ত হয় তাহলে সকল অন্যায় ,অপকর্মের নানা ফিরিস্তি বের হয়ে আসবে । ভুক্তভুগি প্রবাসী বাংলাদেশিরা এই চার দুর্নীতিবাজ কল্যাণ প্রতিনিধির প্রত্যাহার চান । দূতাবাস সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন কুয়েত প্রবাসী বাংলাদেশিরা ।
বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায় সামান্য বেতনে চাকরি করে এই চার কর্মচারীর দেশে এবং বিদেশে অঢেল অর্থ রয়েছে । তেমনি নামে বেনামে বিভিন্ন স্থানে অট্রালিকা এবং প্লাট ,প্লট রয়েছে ।একটি বিভাগীয় তদন্ত হলে বের হয়ে আসবে এমনটা আসা করছেন কুয়েত প্রবাসী বাংলাদেশিরা ।
সম্বভত আনোয়ার হোসেনের গ্রামের বাড়ি মিরেরসারাইতে , তৌহিদের বাড়ি চট্রগ্রাম মহানগরে , ফরিদের বাড়ি শরীয়তপুর / ফরিদপুর (বাড়ি আছে খুলনাতে) ,এবং জসিমের বাড়ি বরিশালে । এরা সকলে কোননা কোনো ভাবে আওয়ামীলীগের রাজনীতি সাথে জড়িত । এলাকা ভিত্তিক আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদেরকে আর্থিক সহযোগিতা করে আসছে এমন খবর পাওয়া যায় বিভিন্ন সূত্র থেকে ।
Dhaka, Bangladesh রবিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪ | |
Salat | Time |
Fajr | 5:16 AM |
Sunrise | 6:37 AM |
Zuhr | 11:57 AM |
Asr | 2:57 PM |
Magrib | 5:17 PM |
Isha | 6:38 PM |