আজ সোমবার | ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ |২১শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি | সকাল ৯:১০
ঢাকা : পেশাগত দায়িত্ব পালনের জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে গেলে সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে সেখানে আটকে রেখে নির্যাতনের অভিযোগ অস্বীকার করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, বরঞ্চ সাংবাদিক রোজিনা একজন অতিরিক্ত সচিবকে খামচি দিয়েছেন, থাপ্পড় মেরেছেন।
মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ দাবি করেন।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিব সাংবাদিক রোজিনার গলা চেপে ধরেছিলেন-সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বিষয়টি অবশ্যই তদন্ত করে দেখা হবে। তবে আমি এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করেছি। তিনি একজন অতিরিক্ত সচিব। আমাকে তিনি টেলিফোনে বলেছেন, তিনি রোজিনাকে শারীরিক নির্যাতন করেননি। বরং রোজিনা তার ওপর হামলা করেছিল। ঘটনার পর রোজিনাকে যখন আটকানোর চেষ্টা করা হয় তখন তিনি ওই অতিরিক্ত সচিবকে খামচি দিয়েছেন, থাপ্পড় মেরেছেন। এরপর পুলিশ এলে তাকে পুলিশের কাছে তুলে দেওয়া হয়।
মন্ত্রী বলেন, সাংবাদিক রোজিনাকে কোনো শারীরিক নির্যাতন করা হয়নি। সাংবাদিক রোজিনা যে কাজটি করেছেন তা উচিত হয়নি। তিনি অন্যায় করেছেন। সাংবাদিক রোজিনার পূর্বের কোনো সংবাদের জন্য তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে দাবি করেন জাহিদ মালেক।
তিনি বলেন, সাংবাদিক রোজিনার সঙ্গে যদি কেউ অপরাধ করে তা আইনিভাবে প্রমাণ হবে। এটা সবই রাষ্ট্রের কাজ। আমরা সাংবাদিককে তথ্য দিয়ে থাকি। তবে তিনি রুমের মধ্যে ভিডিও করেছেন, এটা কি অন্যায় নয়? তবে বিষয়টি আমি ভালো জানি না, আমার আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জেনেছেন। আমি ওখানে ছিলাম না। তবে তাকে আটকে রেখে কেউ নির্যাতন করেছেন, এটা আমার জানা নেই। তাকে শারীরিক নির্যাতন করা হলে এটা ‘রং’। তবে তিনি যা করেছেন, এটা কি রং না?
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সাংবাদিক রোজিনাকে ছয় ঘণ্টা আটকে রাখা হয়েছে এটা ভুল। ঘটনার সময় সেখানে বিভিন্ন পদস্থ পাঁচ-ছয়জন উপস্থিত ছিলেন। ঘটনার পর সেখানে পুলিশ এসেছে। ঘটনার আধাঘণ্টার মধ্যে পুলিশ এসেছে। আমার আগে এ খবর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জেনেছেন। বরং রোজিনা সেখানে কাউকে সাহায্য করছিলেন না। তাকে জোর করে কেউ রুমে নিয়ে যাননি।
Dhaka, Bangladesh সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪ | |
Salat | Time |
Fajr | 5:17 AM |
Sunrise | 6:37 AM |
Zuhr | 11:58 AM |
Asr | 2:58 PM |
Magrib | 5:18 PM |
Isha | 6:39 PM |