আজ বৃহস্পতিবার | ১১ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৬শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ |২৪শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি | রাত ৯:১৬
বিডি দিনকাল ডেস্কঃ- সার্চ কমিটির কার্য্ক্রমকে ‘তামাশা’ উল্লেখ করে তাদের কাছে নির্বাচন কমিশনের নাম পাঠানোকে ‘অর্থহীন’ বলেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বুধবার বিকালে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সভার সিদ্ধান্তসমূহ জানাতে গিয়ে মহাসচিব এই মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, ‘‘ সার্কাসটিভ। পুরোপুরিভাবে এটাতে (সার্চ কমিটি) তামাশা ছাড়া আর কিছু নেই।কারণ এর একমাত্র লক্ষ্য হচ্ছে জনগনকে বিভ্রান্ত করা, বিভিন্নভাবে নিয়ে যাওয়া, একটা আইওয়াশ দেয়া।”
‘‘২০১৪ ও ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও স্থানীয় সরকার গুলোর নির্বাচনে এই সত্য প্রমাণিত হয়েছে। বিএনপি তারই প্রেক্ষাপটে মনে করে এখন অনুসন্ধান কমিটিতে নাম প্রেরণ এবং নির্বাচন কমিশন গঠন একেবারেই অর্থহীন।বিএনপি বিশ্বাস করে ক্ষমতাকে কুক্ষিগত রাখার নীল নকশার অংশ হিসেবে পুনরায় নির্বাচন কমিশন গঠনে সরকারি ততপরতা সেই চক্রান্তের অংশ।”
সার্চ কমিটির প্রসঙ্গ টেনে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘‘ আমরা এতো এতো পদ্ধতিতে এভাবে সার্চ কমিটি তৈরি করে সুশীল সমাজের মতামত নিয়ে ৩২২টা নাম নিয়ে এর মধ্য থেকে প্রস্তাব করছি। আমরা তো কিছু করিনি। যা করেছেন তো আপনারাই দিয়েছেন সমস্ত নামগুলো।এভাবে একই পদ্ধতিতে গত দুই দুইটি নির্বাচনের মতো নির্বাচন কমিশন গঠন করা হবে এবং একই পদ্ধতিতে তারা নির্বাচনটাকে নিয়ন্ত্রণ করবে।”
স্থায়ী কমিটির সিদ্ধান্ত তুলে ধরে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘‘ বিএনপি মনে করে বর্তমান জনগনের মান্ডেট বিহীন অবৈধ আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে কোনো অবস্থাতেই নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু ও গ্রহনযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব নয়। ২০১৪ ও ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও স্থানীয় সরকার গুলোর নির্বাচনে এই সত্য প্রমাণিত হয়েছে।”
‘‘ আমরা তাই মনে করি, এই অবৈধ সরকারের পদত্যাগ, নিরপেক্ষ সরকারের নিকট ক্ষমতা হস্তান্তর এবং নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের পরিচালনায় সকলের গ্রহনযোগ্য , একটি অংশীদারিত্বমূলক নির্বাচনের মাধ্যমে জনগনের প্রতিনিধিত্বমূলক পার্লামেন্ট ও সরকার প্রতিষ্ঠাই বর্তমান সংকট উত্তরণের একমাত্র পথ।”
নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনে সংসদে পাস হওয়া ‘প্রধান নির্বাচন কমিশন ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন-২০২০’ এর আওতায় রাষ্ট্রপতি সুপ্রিম কোর্টের আপীল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুর হাসানের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের সার্চ কমিটি গঠন করা হয়। এই কমিটি ইতিমধ্যে সুশীল সমাজের প্রতিনিধির সাথে তিন দফায় বৈঠক করে। রাজনৈতিক দল ও পেশাজীবী সংগঠন এবং ব্যক্তিদের কাছ থেকে নির্বাচন কমিশনের জন্য নামের প্রস্তাবও তারা আহবান করে।
নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনে এই সার্চ কমিটি এখন ১০ জন ব্যক্তির নাম রাষ্ট্রপতির কাছে সুপারিশ আকারে পেশ করবে যেকোনো সময়ে।
গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে বিকালে এই সংবাদ সম্মেলন হয়। সংবাদ সম্মেলনে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে স্থায়ী কমিটির বৈঠকের সিদ্ধান্তসমূহ তু্লে ধরেন বিএনপি মহাসচিব।
‘আইনমন্ত্রী-উপদেষ্টার ফোনালাপের তদন্ত দাবি’
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘‘ সম্প্রতি আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও সরকারের শিল্প উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের ফাঁস হওয়া ফোনালাপটির সত্যতা যেহেতু আইনমন্ত্রী স্বীকার করেছেন।সেহেতু এই ফোনালাপের বিষয়বস্তগুলো অবশ্যই অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে পর্যালোচনা এবং ফোনালাপের আলোচিত বিষয়গুলো সম্পর্কে নিরপেক্ষ তদন্ত, জনগনের কাছে সত্য তুলে ধরা এবং জবাবদিহিতা অত্যন্ত জরুরী।”
‘‘বিএনপির স্থায়ী অবিলম্বে এই ফোনালাপ ফাঁস হওয়া বিষয়ে শুধু তদন্ত নয় ফোনালাপের বিষয়বস্তু সম্পর্কে নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করছে এবং দুর্নীতি দমন কমিশনের হস্তক্ষেপ ও নিরপেক্ষ তদন্তের জন্য আহবান জানাচ্ছে। একই সঙ্গে অতীতে ফাঁস হওয়া ফোনালাপ সম্পর্কে নিরপেক্ষ তদন্তও দাবি করছে। দুর্নীতি দমন কমিশনকে নিরপেক্ষ ভাবে তদন্ত এবং কার্য্করী ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানাচ্ছে।”
‘আওয়ামী লীগের মুখে গণতন্ত্রের কথা শোভা পায় না’
এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘‘ ভূতে মুখে রাম নাম বলে একটা কথা আছে তো। আওয়ামী লীগের মুখে গণতন্ত্রের কথা হচ্ছে সেটাই। যারা গণতন্ত্রের কথা বিশ্বাসই করে না, যারা গণতন্ত্র কোনোদিন প্র্যাকটিস করে না, প্র্যাকটিস করার সুযোগ দেয় না। যখন ক্ষমতায় এসেছে সমস্ত অধিকারগুলো কেড়ে নিয়েছে তারা যখন এসমস্ত(গণতন্ত্র) কথা বলে তখন জনগন কি বিশ্বাস করে না করে তা আমার চাইতে আপনারা বেশ ভালো জানেন।”
‘‘ আপনারা যেকোনো মানুষকে জিজ্ঞাসা করবেন-একজন শ্রমজীবী মানুষ থেকে শুরু করে যারা ব্যবসা বানিজ্য করছেন, একজন অধ্যাপক, যারা দলের সাথে সম্পৃক্ত না- তারা সবাই বলবে যে, এখন এই সরকারের হাই-টাইম, তাদের চলে যাওয়া উচিত। দেশ ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে তারা, সমস্ত প্রতিষ্ঠান তারা ধবংস করে দিচ্ছে।এই যে আপনারা সংলাপের কথা বলছেন। সংলাপও তো তাদের সঙ্গে আমরা করেছি। সেখানে চরম বিশ্বাসঘাতকতা করেছে।”
মালয়েশিয়ায় কর্মী প্রেরণের সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় সিন্ডিকেটের অপততপরতা, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি চাল, ডাল, তেলের মূল্য বৃদ্ধি এবং জ্বালানি তেল গ্যাস ও পানির মূল্য ধাপে ধাপে বৃদ্ধিতে স্বল্প বিত্ত, মধ্য বিত্ত, শ্রমজীবী মানুষের চরম ভোগান্তিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে বিএনপি স্থায়ী কমিটি। তারা অবিলম্বে পানি, গ্যাস, তেলের মূল্য বৃদ্ধি বন্ধ করে পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে নেওয়া এবং নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যের দাম হ্রাসের জন্য কার্য্করী ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানিয়েছে।
Dhaka, Bangladesh বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০২৪ | |
Salat | Time |
Fajr | 5:18 AM |
Sunrise | 6:39 AM |
Zuhr | 11:59 AM |
Asr | 2:59 PM |
Magrib | 5:20 PM |
Isha | 6:40 PM |