আজ রবিবার | ২৮শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১২ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ |১২ই রজব, ১৪৪৬ হিজরি | সকাল ৯:৫৯
ক্ষমতাসীন জোট সরকার পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতির ক্ষমতা খর্ব করতে চায়। এ জোটের শরিক দলগুলো এবং সুপ্রিম কোর্ট বিশেষ করে প্রধান বিচারপতির সমন্বয়ে আট সদস্যের বেঞ্চের মধ্যে ভিন্নমত পাওয়া গেছে। এরই মধ্যে বিলটিকে অনুমোদন করেছে পার্লামেন্টে। বিলটির বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে পিটিশন করা হয়েছে। তার শুনানি করতে প্রধান বিচারপতি উমর আতা বান্দিয়ালের নেতৃত্বে আট সদস্যের একটি বেঞ্চ গঠন করা হয়েছে। কিন্তু যেসব বিচারপতি সংস্কার প্রস্তাবের পক্ষে ছিলেন, তাদের একজনকেও ওই আট সদস্যের বেঞ্চে রাখা হয়নি। ফলে বিষয়টি নিয়ে সরকার এবং সুপ্রিম কোর্টের মধ্যে শুরু হয়েছে এক ঠাণ্ডা লড়াই। এ অবস্থায় পার্লামেন্টের প্রতি পূর্ণ শ্রদ্ধা আছে বলে বৃহস্পতিবার উল্লেখ করেছেন পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি উমর আতা বান্দিয়াল। একই সঙ্গে প্রধান বিচারপতির ক্ষমতাকে খর্ব করা সংক্রান্ত বিলকে চ্যালেঞ্জ করে শুনানির সময় প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি, প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ ও অন্যদের প্রতি নোটিশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। সুপ্রিম কোর্ট (প্রাকটিস অ্যান্ড প্রোসিডিউর) বিল ২০২৩’কে চ্যালেঞ্জ করে শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টের আট বিচারকের বেঞ্চ ওই পর্যবেক্ষণ দেয়।
এই শুনানি বর্জন করেছে দেশটির আইনজীবীদের শীর্ষ সংগঠন এবং এর শুনানি নিয়ে সমালোচনা করেছে জোট সরকারের দলগুলো। সুপ্রিম কোর্টের বিচারকরা হলেন প্রধান বিচারপতি উমর আতা বান্দিয়াল, বিচারক ইজাজুল আহসান, মুনিব আখতার, সাঈদ মাজহার, আলি আকবার নাকভি, মুহাম্মদ আলি মাজহার, আয়েশা মালিক, সৈয়দ হাসান আজহার রিজভি এবং শাহিদ ওয়াহিদ। লক্ষ্যণীয় বিষয় হলো যেসব বিচারক প্রধান বিচারপতির ক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন, তাদের কাউকেই বেঞ্চে রাখা হয়নি। এ খবর দিযেছে অনলাইন জিও নিউজ।
শুনানি শুরুর আগে সরকারের জোটভুক্ত দলগুলো একটি যৌথ বিবৃতি দিয়েছে। আইন প্রণয়ন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার আগেই এ বিষয়ে বেঞ্চ গঠনের কড়া সমালোচনা করেছেন জোটের অংশীদাররা। তারা কোর্টের এমন উদ্যোগকে পার্লামেন্টের ওপর আঘাত হিসেবে উল্লেখ করেছেন। এর আগে পাকিস্তান বার কাউন্সিলের (পিবিসি) ভাইস চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ এবং নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান হাসান রাজা পাশা বলেছেন, আবেদন শুনানি করতে দ্রুততার সঙ্গে বেঞ্চ গঠন করেছেন প্রধান বিচারপতি। তারা এ জন্য সাফ জানিয়ে দেন, বৃহস্পতিবার সারাদেশের আইনজীবী সম্প্রদায় আদালতের এই শুনানি বর্জন করবে।
এর আগে এ সপ্তাহের শুরুর দিকে প্রধান বিচারপতির ক্ষমতাকে খর্ব করা ওই বিলটি পার্লামেন্টের যৌথ অধিবেশনে পাস হয়। এর ফলে আলাদা তিনটি আবেদন করেন রাজা আমির খান, চৌধুরী গোলাম হোসেন এবং মোহাম্মদ সাফাই মুনরি ও অন্যরা। তাদের আবেদনে ওই বিলটিকে বাদ রাখার দাবি করা হয়। গত সপ্তাহে বিলটিতে স্বাক্ষর না করেই প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি তা ফেরত পাঠান। এরপর সোমবার পার্লামেন্টের যৌথ অধিবেশনে বিলটি পাস করে কেন্দ্রীয় সরকার। উল্লেখ্য, পুনর্বিবেচনার জন্য বিলটি ফেরত পাঠান প্রেসিডেন্ট। ওদিকে বিলটি পাসের যৌথ অধিবেশনে বেশ বিশৃংখলা দেখা দেয়। সুপ্রিম কোর্ট বিষয়ক বিল সংশোধন অনুমোদন করে পার্লামেন্ট। এর অধীনে স্বত্বঃপ্রণোদিত বিষয়ে বিধিবিধান প্রণয়নের জন্য বিচারকদের কমিটির বৈঠক ডাকতে হবে। এই সংশোধনী প্রস্তাব করেন পাকিস্তান মুসলিম লিগ নওয়াজের (পিএমএলএন) এমপি শাহজা ফাতিমা খাজা। সংশোধনী অনুযায়ী, পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি অথবা কমিটির অন্য কোনো সদস্য আইন ও বিধিবিধান চূড়ান্ত না হওয়া পর্যন্ত মিটিং আহ্বান করতে পারবেন। বৃহস্পতিবার শুনানির শুরুতে আবেদনকারীদের আইনজীবী ইমতিয়াজ সিদ্দিকী তার যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন। তিনি বলেন, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে এই মামলাটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
Dhaka, Bangladesh রবিবার, ১২ জানুয়ারি, ২০২৫ | |
Salat | Time |
Fajr | 5:23 AM |
Sunrise | 6:43 AM |
Zuhr | 12:07 PM |
Asr | 3:10 PM |
Magrib | 5:31 PM |
Isha | 6:50 PM |