আজ সোমবার | ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ |২১শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি | সন্ধ্যা ৬:২৫
বিডি দিনকাল ডেস্ক :- বাবুল আক্তারের স্ত্রী মিতুকে হত্যাকারীদের একজন ছিলো কামরুল ইসলাম সিকদার মুছা। ঘটনাস্থলের পাওয়া ফুটেজে তার ছবি স্পষ্টভাবে বুঝা যাচ্ছিল। এই যুবক ছিলো এই প্রাক্তন পুলিশ কর্মকর্তার সোর্স। ঘটনার সময়কার এই দৃশ্যটি তদন্ত কর্মকর্তারা বাবুল আক্তারকে দেখানোর পরও তিনি তাকে না চেনার ভান করেন।মূলত সেখান থেকে বিষয়টি নিয়ে পুলিশের সন্দেহ হয়।
এদিকে বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করতেই অনেক স্পর্শকাতর বিষয় উঠে আসে।এরমধ্যে মুসার সাথে একটি অপরিচিত নাম্বার থেকে বাবুল আক্তারের ৩০ সেকেন্ডের একটি কথোপকথন ফাঁস হয়। সব মিলিয়ে এই পুলিশ কর্মকর্তা যে স্ত্রীকে হত্যার নির্দেশদাতা সেটি তদন্তকারী দলের কাছে স্পষ্ট হয়ে উঠে।
জানা যায়,ঘটনার দিন সকাল ৭টা ৩০ মিনিটে সোর্স মুছাকে ফোন করেন বাবুল আক্তার।সালাম দিয়ে মুছা ফোনটি রিসিভ করতেই ওপার থেকে বাবুল আক্তার বলেন, ‘তুই কোপালি ক্যান?’ ৩ থেকে ৪ সেকেন্ড থেমে আবার বলেন, ‘বল তুই কোপালি ক্যান? তোরে কোপাতে কইছি?’ এর পর ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন বাবুল আক্তার।
এদিকে চট্টগ্রাম পিবিআই সূত্রে জানা যায়, মূলত এক এনজিও কর্মীর সাথে পরকীয়ার এই খুনের সিদ্ধান্ত নেন বাবুল আক্তার। মূলত স্ত্রীকে হত্যা করে নিজেদের পথ পরিষ্কার করতে চেয়েছিলেন এক সময়ের এই চৌকস পুলিশ কর্মকর্তা।তবে এই এনজিও কর্মীর বিস্তারিত পরিচয় এখনো জানা যায়নি।
জানা যায়,মিতুকে খুন করতে মুছাকে দিয়ে খুনিদের সাথে তিন লাখ টাকায় চুক্তি করেন বাবুল আক্তার। হত্যাকাণ্ডের পরের দিন চুক্তির এই টাকা বাবুলের নিকটাত্মীয় সাইফুলের মাধ্যমে মুছার এক আত্মীয়ের কাছে পৌঁছে দেন বাবুল।
সম্প্রতি পুলিশের কাছে আটক সাইফুল মামলার তদন্ত সংস্থা পিবিআইয়ের জিজ্ঞাসাবাদে এ তথ্যগুলো জানিয়েছিলেন । তিনি শুধু পিবিআইয়ের কাছেই এসব তথ্য স্বীকার করেন নি। আদালতেও কিলিং মিশনের বিস্তারিত তুলে ধরেছেন।এই ঘটনায় পুলিশের হাতে আটক আনোয়ার ও ওয়াসিমও জবানবন্দিতে মুছার নির্দেশে এই হত্যাকান্ড হয়েছে বলে স্বীকার করেন।
এদিকে আলোচিত এই হত্যাকাণ্ডের তদন্তের কাজে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠা সোর্স মুছাকে এখনো আটক করা যায়নি। তবে তার পরিবারের দাবি, হত্যাকাণ্ডের ১৭ দিনের মাথায় মুছাকে বন্দর থানা এলাকায় এক আত্মীয়র বাসা থেকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়। এরপর থেকে তার কোন সন্ধান পাচ্ছেন না তারা। এনিয়ে মুছার স্ত্রী পান্না আক্তার স্বামীর সন্ধান চেয়ে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনও করেছেন।তবে পুলিশের পক্ষ থেকে এ দাবি নাকচ করে তিন মাস পর ২০১৬ সালের ৬ অক্টোবর সিএমপি তৎকালীন কমিশনার ইকবাল বাহার সোর্চ মুছার সন্ধান দিতে পারলে পাঁচ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেন।যদিও এখনো তার কোন হদিস মেলেনি।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ৫ই জুন ছেলেকে স্কুল বাসে তুলে দিতে গিয়ে চট্টগ্রাম নগরের জিইসি মোড়ের কাছে ওআর নিজাম রোডে নির্মমভাবে গুলি ও ছুরিকাঘাত করে মাহমুদা খানম মিতুকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় বাবুল আক্তার অজ্ঞাতপরিচয় তিন ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা করেন।
পরে এই ঘটনায় স্বয়ং বাবুল আক্তারের সম্পৃক্ততার বিষয়টি উঠে আসে গণমাধ্যমে। যার জের ধরে এসময় তাকে চাকরিও হারাতে হয়।সর্বশেষ আজ বুধবার চট্টগ্রাম নগরীর পাঁচলাইশ থানায় বাবুল আক্তারকে প্রধান আসামী করে তার শ্বশুর একটি মামলা দায়ের করেন।
Dhaka, Bangladesh সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪ | |
Salat | Time |
Fajr | 5:17 AM |
Sunrise | 6:37 AM |
Zuhr | 11:58 AM |
Asr | 2:58 PM |
Magrib | 5:18 PM |
Isha | 6:39 PM |