আজ বুধবার | ১০ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৫শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ |২৩শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি | সকাল ৭:০০
বিডি দিনকাল ডেস্ক:- অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজী মোহাম্মদ সেলিমকে বিচারিক আদালতের দেয়া ১৩ বছরের কারাদ- কমিয়ে ১০ বছর বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে তাকে বিচারিক আদালত কর্তৃক রায় রিসিভের ৩০ দিনের মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন। দুদকের আইনজীবী খুরশিদ আলম খান বলেন, হাজী সেলিমের এমপি পদ থাকবে না। তাকে জেলে যেতেই হবে।
বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো. মঈনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হক স্বাক্ষরিত পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়েছে। তবে এ মামলায় হাজী সেলিম বর্তমানে জামিনে রয়েছেন। গত বছরের ৯ই মার্চ হাইকোর্টের দুই বিচারপতির সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন। আদালতে হাজী সেলিমের পক্ষে ছিলেন আব্দুল বাসেত মজুমদার ও আইনজীবী সাঈদ আহমেদ রাজা। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান।
অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান মনির। আসাদুজ্জামান মনির বলেন, অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের মামলায় সংসদ সদস্য হাজী মোহাম্মদ সেলিমকে বিচারিক আদালতের দেয়া ১৩ বছরের কারাদ- কমিয়ে ১০ বছর বহাল রাখা রায়ের কপিতে গত মঙ্গলবার দুই বিচারক স্বাক্ষর করেছেন।ফলে রায়টি প্রকাশিত হয়েছে বলা যায়।
অপরদিকে দুদকের আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান সংবিধান অনুযায়ী হাজী সেলিমের এমপি পদ থাকবে না বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, সাজা বহালের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের পর সেটি দুদকের পক্ষ থেকে জাতীয় সংসদের স্পিকারের কাছে পৌঁছে দেয়া হবে। এরপর স্পিকার হাজী মোহাম্মদ সেলিমের সংসদ সদস্য পদ বাতিলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন। তবে রায়ের কপি এখনো হাতে পাইনি, শুনেছি রায়ে দু’জন বিচারপতি স্বাক্ষর করেছেন। বিচারিক আদালতে রায়ের কপি পাওয়ার এক মাসের মধ্যে আসামিকে নি¤œ আদালতে আত্মসমর্পণ করতে হবে। ওদিকে হাজী সেলিমের আইনজীবী সাঈদ আহমেদ রাজা মানবজমিনকে বলেন, আমরা সেকশনে খোঁজ নিয়ে দেখেছি এখনো দুই বিচারপতি স্বাক্ষর করেননি। তবে রায় প্রকাশিত হলে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই হাইকোর্টের রায় অনুযায়ী হাজী সেলিম আত্মসমর্পণ করবেন। আমরা হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই আপিল করবো। ২০০৭ সালের ২৪শে অক্টোবর জরুরি অবস্থার সময় হাজী সেলিমের বিরুদ্ধে লালবাগ থানায় অবৈধভাবে সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে মামলা করে দুদক। ২০০৮ সালের ২৭শে এপ্রিল বিচারিক আদালতের রায়ে তাকে ১৩ বছরের কারাদ- দেয়া হয়। পরে ২০০৯ সালের ২৫শে অক্টোবর হাজী সেলিম এই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন। ২০১১ সালের ২রা জানুয়ারি হাইকোর্ট ১৩ বছরের সাজা বাতিল করে রায় দেয়। হাইকোর্টের ওই রায়ের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ আদালতে আপিল করে দুদক। সে আপিলের শুনানি শেষে ২০১৫ সালের ১২ই জানুয়ারি হাইকোর্টের রায় বাতিল হয়ে যায়। একইসঙ্গে হাইকোর্টে ওই আপিল (হাজী সেলিমের) পুনরায় শুনানি করতে বলা হয়। এরপর প্রায় পাঁচ বছর ওই আপিলের শুনানি হয়নি। এরই ধারাবাহিকতায় আপিলটি শুনানির উদ্যোগ নেয় দুদক। ২০২০ সালের ১১ই নভেম্বর হাইকোর্ট বিচারিক আদালতে থাকা মামলার যাবতীয় নথি (এলসিআর) তলব করেন। কয়েক দিবস শুনানি শেষে গত বছরের ২৪শে ফেব্রুয়ারি আপিলটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রাখা হয়। এরপর গত বছরের ৯ই মার্চ হাইকোর্টের বিচারপতি মো. মঈনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চ্যুয়াল বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।
Dhaka, Bangladesh বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর, ২০২৪ | |
Salat | Time |
Fajr | 5:17 AM |
Sunrise | 6:38 AM |
Zuhr | 11:59 AM |
Asr | 2:59 PM |
Magrib | 5:19 PM |
Isha | 6:40 PM |