আজ বৃহস্পতিবার | ১১ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৬শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ |২৪শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি | রাত ৪:১১
টাঙ্গাইল প্রতিনিধি:- ৫০তম টাঙ্গাইল মুক্ত দিবস উপলক্ষে বিজয় ৭১ সমাবেশ ১১ডিসেম্বর/২১(শনিবার) অনুষ্ঠিত হয় টাঙ্গা্লের সখিপুর উপজেলার শপথ স্তম্ভ বহেড়াতৈল এলাকায়। এতে প্রধান অতিখি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন,কৃষি মন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক এমপি। আমন্ত্রন পত্রে বর্তমান ,সাবেকিএমপি,সচিব সহ অন্যান্য গণ্যমান্য ব্যক্তি বর্গের নাম থাকলেও বঙ্গবীর আ.কাদের সিদ্দিকী বীরোত্তম এর নাম নেই। এনিয়ে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
দীর্ঘ নয় মাসের মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীনতার সূর্য উঠেছিল এদেশে। দীর্ঘ এই নয় মাসে ত্রিশ লাখ নিরীহ মানুষ হত্যা করেছিল পাক হানাদার বাহিনী। মুক্তিযুদ্ধে প্রাণ বিসর্জন দেওয়া সেইসব শহীদদের স্মৃতি চির জাগরুক রাখতে দেশের বিভিন্ন স্থানে তৈরি করা হয়েছে স্মৃতিস্তম্ভ, স্মৃতিসৌধ ও ভাস্কর্য।
তেমনি টাঙ্গাইলের সখিপুরেও মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত ঐতিহাসিক বহেড়াতৈল নামক স্থানে শপথস্তম্ভ নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। এটিই বাংলাদেশে একমাত্র শপথস্তম্ভ হিসেবে আখ্যায়িত ছিল বলে উদ্যোগ গ্রহণকারী কাদেরিয়া বাহিনীর পক্ষ থেকে জানা গেছে।
সখিপুর সদর থেকে প্রায় ৭ কিলোমিটার দূরে কচুয়া-আমতৈল-বহেড়াতৈল সড়কের বহেড়াতৈল বাজারের পাশেই নির্মিত হয়েছে মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের স্মরণে শপথস্তম্ভ। স্বাধীনতা সংগ্রামে প্রাণ উৎসর্গকারী শহীদদের স্মরণে ১৯৯৮ সালে শপথস্তম্ভের উদ্বোধন করার কথা ছিল। তৎকালীন সংসদ সদস্য বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরোত্তমের উদ্যোগেই শপথস্তম্ভটি নির্মিত হয়েছিল।
বিশাল উচ্চতার শপথস্তম্ভটি তৎকালীন রাষ্ট্রপতি বিচারপতি শাহাবুদ্দিন উদ্বোধন করার কথা থাকলেও নানা কারণে সেটি হয়নি।
এরপর দীর্ঘ ২৪ বছর পেরিয়ে গেলেও শপথস্তম্ভটির নির্মাণ কাজ এখনো শেষ হয়নি। অযত্ন আর অবহেলায় পড়ে আছে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত এ শপথস্তম্ভটি। ধাপে ধাপে উঠে বিশাল উচ্চতার শপথস্তম্ভটি আর বিশাল হয়নি। ছোটই রয়ে গেছে। উঁচুনিচু টিলা আকৃতির জায়গার উপর বিস্তৃত সবুজ ঘাসের গালিচায় আবৃত শপথস্তম্ভটি দেখতে দারুণ। লাল ইটের রাস্তা সমৃদ্ধ এই শপথস্তম্ভটি ভ্রমণকারীদের আকর্ষণ করে। শপথস্তম্ভটির চত্ত্বরের পাশেই রয়েছে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের গণকবর।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত অন্যতম বহেড়াতৈলে ১৯৭১ সালের ১০ জুন কাদেরিয়া বাহিনীর অসংখ্য মুক্তিযোদ্ধারা দেশ স্বাধীনের লক্ষ্যে যার যার ধর্মগ্রন্থ পবিত্র কোরআন, বাইবেল ও গীতা ছুঁয়ে শপথ গ্রহণ করেছিল।
১৯৭১-এর এ ঘটনাকে চিরস্মরণীয় করে রাখতে ১৯৯৮ সালে সেখানে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহমদ উদ্বোধন করার কথা ছিল শপথস্তম্ভটি। এছাড়াও এখানে বিশ্রামাগার, কবরস্থান, মুক্তিযুদ্ধের জাদুঘরসহ পর্যটন এলাকা হিসেবে গড়ে তোলার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছিল। শপথস্তম্ভটির নকশায় নানা বৈচিত্র্য ও স্থাপত্যিক বৈশিষ্ট্য, উদীয়মান সূর্যের প্রতীকসহ শহীদের স্মৃতিকে স্মরণ করে রাখতে বহুমুখি উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল।
এছাড়াও বাংলাদেশের গৌরবময় মুক্তিযুদ্ধ সংক্রান্ত নিদর্শন ও স্মারকচিহ্নসমূহ সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও প্রদর্শন, মুক্তিযুদ্ধের তথ্য, প্রমাণাদি, নিদর্শন, রৈকর্ডপত্র ইত্যাদি সংগ্রহ করে এখানে জাদুঘরে রাখার কথা ছিল।
সখিপুর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার এসএমএ মোত্তালিব বলেন, কাদেরিয়া বাহিনীর হয়ে ১৯৭১ সালের ১০ জুন দেশ স্বাধীনের লক্ষ্যে অসংখ্য মুক্তিযোদ্ধা সেদিন বহেড়াতৈলে কোরআন, বাইবেল ও গীতা ছুঁয়ে শপথ নিয়েছিল। সেদিন তিনিও শপথ নিয়েছিলেন জানিয়ে আরও বলেন, মুক্তিযুদ্ধের ঐতিহাসিক ঘটনাস্থল বহেড়াতৈলকে ঘিরে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরোত্তম যে উদ্যোগ নিয়েছিলেন সেটি বাস্তবায়ন হলেন স্থানটি প্রজন্মের জন্য ও দেশের মধ্যে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকতো। শপথস্তম্ভটি মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশের আরও প্রতীক হয়ে থাকতো।
Dhaka, Bangladesh বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর, ২০২৪ | |
Salat | Time |
Fajr | 5:17 AM |
Sunrise | 6:38 AM |
Zuhr | 11:59 AM |
Asr | 2:59 PM |
Magrib | 5:19 PM |
Isha | 6:40 PM |