আজ বুধবার | ২৪শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ৮ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ |৮ই রজব, ১৪৪৬ হিজরি | দুপুর ২:০৭
মনির হোসেন জীবন -জমি নিয়ে বিরোধের জের হিসেবে কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে মন্ডলপাড়া গ্রামে প্রতিপক্ষের দেওয়া আগুনে দগ্ধ হয়ে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় চাচা- ভাতিজার মৃত্যু হয়েছে। এতে একই পরিবারের চারজন দগ্ধ হয় এবং এদের মধ্যে এখন পর্যন্ত দু’ জন মারা গেছে। এছাড়া রাজধানীর গেণ্ডারিয়া গ্যাস লাইন বিস্ফোরণে একই পরিবারের তিন জনসহ মোট ৭/৮ জন দগ্ধ হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, নিহতরা হলেন- আক্তার মন্ডল (৪০) ও দীনি মন্ডল (৬০)। তারা সম্পর্কে চাচা-ভাতিজা। এছাড়া এ ঘটনায় আরও দুই জন দগ্ধ হয়েছেন। তারা হলেন, মো. সাইদুল কাজী (৩৫) ও মো. ফারুক মন্ডল (২২)। তারা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছে চিকিৎসক।
রোববার দিবাগত রাত পৌনে ১০টা ও একই দিন বিকেলে শেখ হাসিনা জতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে মারা যান তারা। এর আগে গত বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আক্তার মন্ডলের ভাতিজা পারভেজ হোসাইন জানান, জমির খানের নেতৃত্বে প্রায় এক দেড়শ লোক মিলে বাড়িতে আটকে রেখে পেট্রল ও বোমা মেরে জ্বালিয়ে দেয়। এতে একই পরিবারের চারজন দগ্ধ হয়। পরে তাদের উদ্ধার করে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করো হয়। এ ঘটনায় প্রায় ২০ জন আহত রয়েছে বলেও জানান তিনি।
আল মামুন ও তার স্বজনদের দাবি, হামলায় তাদের নারী শিশুসহ ২০-২৫ জনকে আহত হয়েছেন। আহতদের প্রথমে স্থানীয় সদর হাসপাতাল নেওয়া হয়। পরে গুরতর পাঁচ জনকে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়। এর মধ্যে দগ্ধ চার জনকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনিস্টিউটে ভর্তি করা হয়। আর একজনকে ভর্তি করা হয় পঙ্গু হাসপাতালে। এছাড়া ১৪ জন স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এদিকে, শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. এস এম আইয়ুব হোসেন জানান, কুষ্টিয়ার দৌলতপুর থেকে একই পরিবারে দগ্ধ চারজন আমাদের এখানে এসেছিল। তাদের মধ্যে আক্তার মন্ডল ও দিনু মন্ডল নামে দুই জন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে আক্তারের শরীরের ৪০ শতাংশ ও দীনু মন্ডলের শরীরের ৫৫ শতাংশ দগ্ধ ছিল।
অপরদিকে, ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (ওসি) মো: বাচ্চু মিয়া জানান, সোমবার সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে রাজধানীর গেন্ডারিয়ার ধূপখোলা বাজারে রাস্তার গ্যাসের লাইনে কাজ করার সময় লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে একই পরিবারের শিশুসহ তিনজন এবং এঘটনায় মোট ৭/৮ জন দগ্ধ হয়েছে। পরে দগ্ধ অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়। অগ্নি দগ্ধরা হলেন- আব্দুর রহিম (৫০) তার মেয়ে মিম আক্তার (২১) ও তার নাতি আলিফ (২), মো. সোহেল (৪৮), মেহেদী হাসান (২২), আলী হোসেন (৫২), রাশেদ মিয়া (৩২), শাহারা বেগম (৬৫) ও মিজানুর রহমান (৩২)।
দগ্ধ রহিমের ছেলে মো. আল আমিন জানান, কয়েকদিন ধরেই তিতাসের লাইন মেরামতের কাজ চলছিল। তবে, তারা কোনো ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা করেনি। ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছিল। সকালে সেখান থেকেই এই বিস্ফোরণ হয়।
অগ্নিদগ্ধরা জানান, তারা ধুপখোলা মাছ বাজারের একটি বাড়িতে থাকেন। বাড়ির একপাশে মুদি দোকান। দোকানে বসা ছিলেন আ: রহিম। হঠাৎ করে বিস্ফোরণ হয়ে শরীরে আগুন ধরে যায়।
ওসি বাচ্চু মিয়া জানান, গেন্ডারিয়া ঘটনায় দগ্ধ হয়ে প্রথমে তিনজন পরে আরও পাঁচ জন সহ মোট ৮ জন চিকিৎসা নিতে হাসপাতালে আসেন। তারা সবাই পুরাতন বার্ন ইউনিটে ও শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে কর্তব্যরত এক চিকিৎসক বলেন, ধূপখোলা বাজার থেকে তিনজন দগ্ধ হয়ে এসেছেন। তাদের মধ্যে দুই বছরের এক শিশু রয়েছে। আব্দুর রহিমের শরীরের ৩০ শতাংশ, মিমের ২০ শতাংশ ও শিশুটি সামান্য দগ্ধ হয়েছে।
Dhaka, Bangladesh বুধবার, ৮ জানুয়ারি, ২০২৫ | |
Salat | Time |
Fajr | 5:22 AM |
Sunrise | 6:42 AM |
Zuhr | 12:05 PM |
Asr | 3:07 PM |
Magrib | 5:28 PM |
Isha | 6:48 PM |