আজ শনিবার | ১৩ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৮শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ |২৬শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি | বিকাল ৩:৪৭
বিডি দিনকাল ডেস্ক:- অজ্ঞাত কিশোরী হত্যার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রহস্য উদ্ঘাটন করলো ময়মনসিংহ জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। জমি নিয়ে বিরোধে সহোদর ভাইকে ফাঁসাতে গিয়ে নিজেই ফেঁসে গেলেন ধোবাউড়ার টাংগাটি মধ্যপাড়ের আবদুর রাজ্জাক মণ্ডল (৬০)।
রাজ্জাক চাকরি দেয়ার প্রলোভনে নরসিংদীর মাধবদী থানার খিলগাঁও গ্রামের দুলাল মিয়ার কন্যা রিবা আক্তার (১৫)কে বিয়ে করেন। রাজ্জাক ভাই আমিনুল ইসলামকে ফাঁসাতে তার ২ সহযোগীর মাধ্যমে ধর্ষণের পর রিবা আক্তারকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে রিবার লাশ আমিনুলের বাড়ির পাশে ফেলে রাখে।
ডিবি ধারাবাহিক অভিযান চালিয়ে গত ১৬ই মার্চ বিকালে আব্দুর রাজ্জাককে গাজীপুর গাছা থানা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে। রাজ্জাক টাংগাটি মধ্যপাড়ের মৃত তৈয়ব আলীর পুত্র। গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডের লোমহর্ষক বর্ণনা দেন রাজ্জাক।
ডিবি’র ওসি মো. সফিকুল ইসলাম জানান, গত ১৫ই মার্চ ধোবাউড়া থানার টাংগাটি গোয়াতলা পাকা রাস্তার পাশে অজ্ঞাত কিশোরীর লাশ পাওয়া যায়। ডিবি পুলিশ কিশোরীর লাশ পাওয়ার সংবাদে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। প্রথমে লাশের পরিচয় উদ্ঘাটন করে। নিহত তরুণী রিবা বর্তমান ঠিকানা গাজীপুর জিএমপি, গাছা থানার বড়বাড়ী গাছা রোডের আলী আকবরের বাড়ির ভাড়াটিয়া। তার বাবা একজন অটোচালক।
জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের কারণে আমিনুল ইসলামকে হত্যা মামলার মতো গুরুতর অপরাধে ফাঁসিয়ে দিতে ও রিবার চাপ থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য হত্যার পরিকল্পনা করে।হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করতে রাজ্জাক তার সহযোগী হিসেবে আমিনুল ইসলামের সঙ্গে জমি-জমার বিরোধে জড়িত অপর দুইজনকে নিয়ে রিবাকে হত্যার পরিকল্পনা চূড়ান্ত করে। আমিনুল ইসলামকে ফাঁসিয়ে দেয়ার সুযোগ পেয়ে হত্যাকারীরা পরিকল্পনাটি বাস্তবায়নের জন্য আগ্রহী হয়ে উঠে। পরিকল্পনা অনুযায়ী গত ১৪ই মার্চ রাজ্জাক রিবাকে গাজীপুর থেকে ধোবাউড়া তার নিজ বাড়িতে বেড়াতে আসার কথা বলে রওয়ানা করে এবং সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ধোবাউড়ার গোয়াতলা কংস নদীর তীরে এসে পৌঁছে। হত্যাকাণ্ডের পূর্ব পরিকল্পনা মতে রিবার জন্য অপেক্ষমাণ থাকা পলাতক দুই হত্যাকারীকে কংস নদীর পাড়ে পেয়ে রাজ্জাক রিবাকে তাদের নিকট হস্তান্তর করে।
পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী রিবাকে পালাক্রমে ধর্ষণের পরে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে। হত্যার পর রিবার ব্যবহৃত মোবাইলফোনটি আব্দুর রাজ্জাক নিয়ে যায়। আমিনুল ও তার পরিবারকে হত্যাকাণ্ডে ফাঁসানোর উদ্দেশ্যে রাজ্জাক রিবার পরনে থাকা প্যান্টের পকেটে আমিনুলের ছেলে শহিদুল্লাহ ও রিবা আক্তারের জন্মসনদের দুইটি ফটোকপির কাগজ রেখে দেয়। রাজ্জাক অপর দুই হত্যাকারীর সহায়তায় নদীর পাড় থেকে ধরাধরি করে রিবার লাশ আমিনুলের বাড়ির নিকটবর্তী ধান ক্ষেতে রেখে দেয়। রাজ্জাকের ভাড়াটিয়া বাসা থেকে রিবা আক্তারের লাশের পরিহিত প্যান্টের পকেটে পাওয়া জন্মনিবন্ধনের একটি ফটোকপি ও রিবা আক্তারের ব্যবহৃত মোবাইলফোনটি উদ্ধার করা হয়। পলাতক আসামিদেরকে গ্রেপ্তারে একাধিক টিম অভিযান পরিচালনা করছে।
Dhaka, Bangladesh শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০২৪ | |
Salat | Time |
Fajr | 5:19 AM |
Sunrise | 6:39 AM |
Zuhr | 12:00 PM |
Asr | 3:01 PM |
Magrib | 5:21 PM |
Isha | 6:41 PM |