আজ সোমবার | ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ |২১শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি | সকাল ৮:৫৬
বিডি দিনকাল ডেস্ক :- রাজধানীর রামপুরা তিতাস রোড এলাকায় অনাবিল বাসের চাপায় এসএসসি পরীক্ষার্থী নিহত হওয়ার ঘটনায় জনতার গণপিটুনিতে বাস চালক গুরুতর আহত হয়েছে। তাকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসেন রামপুরা থানা পুলিশ। আহত বাসচালক হলেন- মো. সোহেল (৩৫) ।
সোমবার (২৯ নভেম্বর) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়।
রামপুরা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আল-আমিন জানান, শিক্ষার্থীকে অনাবিল বাসের চাপায় নিহতের ঘটনায় জনতা চালককে গণধোলাই দিলে ওই গাড়ি চালক গুরুতর আহত হন। পরে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে এলে ভর্তি করা হয়।
এর আগে রাত ১১টার দিকে রামপুরা বাজারের কাছে শিক্ষার্থী মাঈনুদ্দিনকে চাপা দেয় অনাবিল পরিবহনের একটি বাস। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যায় সে। ঘটনার পরপরই উত্তেজিত জনতা ১১টি বাসে আগুন দেয়। সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে। খবর পেয়ে ছুটে আসে মাঈনুদ্দিনের সহপাঠীরা। তারা এর বিচার দাবি করে।
ছেলেটির স্কুলের খাতায় নাম মঈন ইসলাম। রামপুরার একরামুন্নেছা স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এ বছর বাণিজ্য শাখা থেকে এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছে সে। পড়াশোনা শেষ করে প্রশাসনের বড় কর্মকর্তা হতে চেয়েছিল। দুই ভাই ও এক বোনের মধ্যে মাঈনুদ্দিন সবার ছোট। বড় ভাই মনির ছোট একটি চাকরি করেন। মূলত সংসার চলে বাবার টিনের ছোট্ট চায়ের দোকানের আয় থেকেই। বড় ভাই ভালো কিছু না করার কারণে এ সংসারের হাল ধরতে চেয়েছিল সে।
কিন্তু তার আগে মাঈনুদ্দিনের প্রাণ কেড়ে নেয় বাস। রাস্তা পার হওয়ার সময় দুটি বাসের প্রতিযোগিতায় চাপা পড়ে নিহত হয় সে।
পরিবারের সদস্যরা সাংবাদিকদের বলেন, সোমবারই ছিল নিহত শিক্ষার্থী মাইনুদ্দিন ইসলামের জন্মদিন।
সোমবার রাত ১০টার পরের ওই ঘটনায় জের ধরে সংঘটিত সহিংসতা নিয়ন্ত্রণে আনার পর রাত দেড়টা নাগাদ পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য মৃতদেহ হাসপাতালে নিয়ে যায়।
Dhaka, Bangladesh সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪ | |
Salat | Time |
Fajr | 5:17 AM |
Sunrise | 6:37 AM |
Zuhr | 11:58 AM |
Asr | 2:58 PM |
Magrib | 5:18 PM |
Isha | 6:39 PM |