আজ সোমবার | ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ |২১শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি | রাত ৪:১০
ঢাকা : কানাডার বেগম পাড়া হোক আর মালেয়েশিয়া, কোনো অর্থ পাচারকারীদের তালিকা আপাত হাইকোর্টে দাখিল করা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ফিনান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট। গত সোমবার দাখিল করা সেই প্রতিবেদনে বলা হয় গোপনীয়তার স্বার্থে এটি দেয়া হবে না।
অর্থপাচার প্রতিরোধে কেন্দ্রীয় সংস্থা হিসেবে কাজ করা এই সংগঠনটি জানিয়েছে বাংলাদেশ হতে পাচারকারীদের বিষয়ে তথ্য পাওয়া গেলেও তা শুধুমাত্র ইন্টেলিজেন্সে ব্যবহার হবে। যদি প্রয়োজন হয় তবে পরবর্তীতে তা মিউচুয়াল লিগ্যাল অ্যাসিটেন্সের মাধ্যমে চাইতে হবে।
সাম্প্রতিক সময়ের সবচেয়ে আলোচিত ইস্যু অর্থপাচার। আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে বছরে প্রায় ৬৪ হাজার কোটি টাকা পাচার হয়। পাচারে গন্তব্য কানাডা, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া। গেলো ২২ নভেম্বর হাইকোর্ট এক সুয়োমুটো আদেশে পাচারকারীদের তালিকা দাখিলের নির্দেশ দেয়া হয়।
অর্থপাচারকারীদের তালিকা দেয়ার প্রধান হলো বাংলাদেশ ফিনান্সিয়াল ইন্টালিজেন্স ইউনিট বা বিএফআইইউ। কিন্তু গেলো সোমবার বিএফআইইউ’র একটি দল হাইকোর্টে প্রতিবেদন দিয়ে জানায়, গোপনীয়তার স্বার্থে আপাতত কোন তালিকা দেয়া সম্ভব নয়। সেই সাথে এটি বিশ্বের অন্যান্য দেশের সাথে ফিনান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্সের যে যৌথ চুক্তি, তা ভঙ্গ হবে।
বিএফআইইউ তাদের প্রতিবেদনে বলেছে, এর আগে মালয়েশিয়া থেকে কিছু তথ্য পাওয়ার পর তা সংবাদপত্রে প্রচার হলে সেটি নিয়ে আপত্তি তোলে। সেই সাথে তারা চুক্তি বাতিলেরও হুমকি দেয়। আরও বলা হয় আদালতে পাচারকারীদের তালিকা বা তথ্য উপস্থাপন করতে হলে মিউচুয়াল লিগ্যাল অ্যাসিটেন্স এর মাধ্যমে বর্ণিত তথ্য পুনরায় সংগ্রহ করতে হবে, যা সময় সাপেক্ষ।
তবে দেখার বিষয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, দুনীতি দমন কমিশন পাচারকারীদের বিষয়ে কি তথ্য দাখিল করে। আগামী ১৭ ডিসেম্বর এ মামলার পরবর্তী শুনানি ধার্য রয়েছে।
Dhaka, Bangladesh রবিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪ | |
Salat | Time |
Fajr | 5:16 AM |
Sunrise | 6:37 AM |
Zuhr | 11:57 AM |
Asr | 2:57 PM |
Magrib | 5:17 PM |
Isha | 6:38 PM |