আজ বৃহস্পতিবার | ১১ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৬শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ |২৪শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি | রাত ১০:৩৮
আবুবকর সিদ্দিক,জয়পুরহাট প্রতিনিধি:-অল্প খরচে লাভ বেশী এজন্য এবার জয়পুরহাটের চাষীরা সরিষা চাষে ঝুঁকে পড়েছে। জেলার দিগন্ত মাঠ জুড়ে চোখ জুড়ানো হলুদ ফুলের সমারোহ। জয়পুরহাট সদর উপজেলার সগুনা গ্রামের কৃষক ফেরদৌস, ও আজাহার আলী জানান ১ বিঘা জমিতে সরিষা চাষে ,সার ও বীজ ও অন্যন্য খরচ বাদে ৩ থেকে ৪ হাজার টাকা লাভ হয়, কিন্তু আলু ও গম, বা অন্য ফসলে খরচ বেশী, এবং দাম কম পাওয়ায় আমরা এবার সরিষা চাষে মনোযোগ দিয়েছ্ ি এতে করে আমরা লাভবান। জেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের ডিপুটি ডাইরেক্টও শফিকুল ইসলাম বলেন , জেলায় চলতি মৌসুমে ১২ হাজার ৮শ ৫৫ হেক্টর জমিতে সরিষার চাষ হয়েছে। এতে উৎপাদন লক্ষ্য মাত্রা ধরা হয়েছে ২০ হাজার মেট্রিক টন। যা গতবারের তুলনায় প্রায় দী¦গুন।
সোয়াবিন জাতীয় ভোজ্য তেলের মূল্য বৃদ্ধি ও নিজেদের প্রয়োজন মিটিয়ে আর্থিক ভাবে লাভবান হতে জয়পুরহাটের বিভিন্ন এলাকার কৃষকেরা সরিষা চাষে ঝুঁকে পড়েছে। প্রনোদনা বাড়ালে এ ফসলের আবাদ আরো বাড়বে বলে ধারণা কৃষকদের। এতে করে তেলের ঘাটতিও পুরন হবে , আবার ভেজাল মুক্ত তেলও পাবে ভোক্তারা।
জেলার বিভিন্ন মাঠে এখন চোখ জুড়ানো হলুদ ফুলের সমারোহ। সেই সাথে বাতাসে ভাসছে মিষ্টি ঝাঁঝাঁলো ফুলের ঘ্রাণ মৌমাছি ও ভ্রমররা ফুলের পরাগ রেনুতে বসে খাচ্ছে দোল।। জেলায় চলতি মৌসুমে ১২ হাজার ৮শ ৫৫ হেক্টর জমিতে সরিষার চাষ হয়েছে। এতে উৎপাদন লক্ষ্য মাত্রা ধরা হয়েছে ২০ হাজার মেট্রিক টন। যা গতবারের তুলনায় প্রায় দী¦গুন। জেলার কৃষি অফিস সরিষা চাষে সার, বীজ প্রণোদনা দেয়ায় গতবছরের তুলনায় এ বছর সরিষা চাষ অনেক বেড়েছে। ইতিপূর্বে আমন কাটার পর যে সব জমি বোরো লাগানোর অপেক্ষায় পতিত থাকতো সে সব অনেক জমি এখন সরিষা ফুলে সুশোভিত। সরিষার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনায় আনন্দের হাসি হাসছে এলাকার কৃষকেরা। সরিষার ক্ষেত পরিচর্যায় ব্যস্ত জেলার চক সমসের গ্রামের কৃষক বিষ্ণুপদ, হরেন্দা গ্রামের ফরমান সাহারুল, এরশাদ জানান, কয়েক বছর আগেও তাদের যে জমি পতিত থাকতো বর্তমানে জেলা কৃষি কর্মকর্তা ও উপসহকারীদের সহযোগিতায় সে সব জমিতে তারা সরিষা চাষে ঝুঁকেছে।
পাঁচবিবি উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বলেন, বারী-১৪ জাতের সরিষার ফলন বেশী, সময়ও লাগে কম। এতে করে এসব জমিতে সরিষা উঠিয়ে সহজেই বোরো চাষ করা যায়। আর তখন সারও কম প্রযোগ করতে হয়। এফসল আবাদের জন্য প্রথমে জমি হালকা ভাবে চাষ করে তাতে বীজ বপন করতে হয়। প্রযোজনে দু-তিন বার কীটনাশক প্রয়োগ করতে হয়। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা লুৎফর রহমান বলেন চলতি মৌসুমে অনুকুল আবহাওয়া ও যথাযথ পরিচর্যার কারণে এবার সরিষার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে।
বর্তমান সরকারের উন্নয়ন কর্মসুচির অংশ হিসাবে দেশে ভোজ্য তেলের স্বয়ংসম্পূর্ণ অর্জনে আমরা কৃষকদের সরিষা চাষে নিয়মিত পরামর্শ প্রদান করছি। কৃষককে উন্নত জাতের বীজ ও সার প্রদান করা হলে আগামীতে খরালী মৌসুমে সরিষা হবে জেলার অর্থকরী ফসল ।
Dhaka, Bangladesh বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০২৪ | |
Salat | Time |
Fajr | 5:18 AM |
Sunrise | 6:39 AM |
Zuhr | 11:59 AM |
Asr | 2:59 PM |
Magrib | 5:20 PM |
Isha | 6:40 PM |