- প্রচ্ছদ
-
- এক্সক্লুসিভ
- আওয়ামী লীগ একদলীয় শাসন চাপিয়ে দিচ্ছে সেটা প্রমাণ হচ্ছে,এদের অধীনে নির্বাচন সুষ্ঠু হয় না:মির্জা ফখরুল
আওয়ামী লীগ একদলীয় শাসন চাপিয়ে দিচ্ছে সেটা প্রমাণ হচ্ছে,এদের অধীনে নির্বাচন সুষ্ঠু হয় না:মির্জা ফখরুল
গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে চলমান যুগপৎ আন্দোলন কর্মসূচি নিয়ে ১২ দলীয় জোটের লিয়াজোঁ কমিটির সঙ্গে বৈঠক অনুষ্ঠিত
প্রকাশ: ২৯ জানুয়ারি, ২০২৩ ১০:০০ পূর্বাহ্ণ
বিডি দিনকাল ডেস্ক : -আজ ২৯ জানুয়ারি রোববার সকালে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে চলমান যুগপৎ আন্দোলন কর্মসূচি নিয়ে ১২ দলীয় জোটের লিয়াজোঁ কমিটির সঙ্গে এক বৈঠকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আওয়ামী লীগ একদলীয় শাসন চাপিয়ে দিচ্ছে সেটা প্রমাণ হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগের কৌশল হলো বিরোধী দলকে তারা কর্মসূচি করতে দেবে না। আর তারা তাদেরটা করতেই থাকবে এবং রাষ্ট্রের বিভিন্ন যন্ত্রকে ব্যবহার করবে।’
১০ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে ও যুগপৎ আন্দেলনে কর্মসূচি নিয়ে রোববার, জানুয়ারি ২৯, ২০২৩, দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে বিএনপি ও ১২ দলীয় জোটের লিয়াঁজো কমিটির বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সব সময় ডাবল স্ট্যান্ডার্ড প্লে করে। তারা মুখে বলে একটা, কাজ করে আরেকটা। আওয়ামী লীগ আজকে এই দেশে সবচেয়ে বড় যে ক্ষতি করেছে তা হলো, এই দেশের যে চরিত্র; বহুদলীয় গণতন্ত্র, বহুমাত্রিক বিষয়টা ধ্বংস করে দিয়েছে। আমরা প্রথম থেকেই বলে আসছি, এখন বিশেষজ্ঞরাও বলছেন, বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সংকট হলো নির্বাচনী ব্যবস্থাই ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন এটি ছিল বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে উপযোগী ব্যবস্থা।’
‘আজকে আওয়ামী লীগ জোর করে নির্বাচনের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করছে তার পরিপ্রেক্ষিতে গোটা জাতিকে একটি অশান্তিকর অবস্থায় ফেলে দেওয়া হয়েছে। এ দেশের মানুষ জানে না কীভাবে নির্বাচন হবে। মানুষ জানে না সে তার ভোটটা দিতে পারবে কি পারবে না। তারা অতীতে যে কাজগুলো করেছে তাতে প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছে যে, এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন হতে পারে না এবং দলীয় সরকারের অধীনে এখানে কোনোদিন নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হয় না,’ বলেন তিনি।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আওয়ামী লীগ আমাদের কর্মসূচির সময় ৩ দিন আগে থেকে জোর করে ধর্মঘট করিয়েছে। পুলিশ নামিয়ে দিয়ে তল্লাশি চৌকি বসিয়ে মোবাইল ফোন পর্যন্ত চেক করেছে। ঢাকার বিভাগীয় সমাবেশের আগে ১৫ দিন তারা বিশেষ অভিযান চালিয়েছে। সেই অভিযান হলো তাদের ভাষায় মাদকদ্রব্য-বেআইনি জিনিস প্রতিরোধ করার জন্য হোটেল-রেস্তোরাঁ-ছাত্রাবাসে রেইড করে হাজার হাজার ছেলে-মেয়েদের ধরে নিয়ে গেছে। এটা হচ্ছে আওয়ামী লীগের কৌশল, বিরোধী দলকে তারা কর্মসূচি করতে দেবে না। আর তারা তাদেরটা করতেই থাকবে এবং রাষ্ট্রের বিভিন্ন যন্ত্রকে ব্যবহার করবে।
বৈঠকে বিএনপির বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ নেতাদের মধ্যে লিয়াজোঁ কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, বেগম সেলিমা রহমান, মোহাম্মাদ শাহজাহান ও আব্দুল আউয়াল মিন্টু উপস্থিত ছিলেন। ১২ দলীয় জোট নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির (জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মে. জে. (অব:) সৈয়দ মুহম্মাদ ইবরাহিম বীর প্রতীক, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা, বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, এনডিপির চেয়ারম্যান ক্বারী মো: আবু তাহের, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মুফতি গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, জাগপার সিনিয়র সহ-সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার রাশেদ প্রধান, ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব মাওলানা আব্দুল করিম, বাংলাদেশ ইসলামিক পার্টির মহাসচিব অ্যাডভোকেট আবুল কাশেম এবং বাংলাদেশ মুসলিম লীগের যুগ্ম মহাসচিব মো. তফাজ্জল হোসেন।
Please follow and like us:
20 20