আজ বৃহস্পতিবার | ১১ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৬শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ |২৪শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি | সন্ধ্যা ৬:৫২
শনিবার রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ‘দ্রব্যমূল্যের ঊধর্বগতি, বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানির দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে সারাদেশে গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ কর্মসূচির অংশ হিসেবে’ ঢাকায় মহানগর দক্ষিণ বিএনপির উদ্যোগে এক সমাবেশ সদ্য কারামুক্ত বিএনপির স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন ,দখলদার সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে বলে ।
তিনি বলেন, আজকের কর্মসূচি দ্রব্যমূল্যের ঊধর্বগতির প্রতিবাদে। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে, বাড়ছে, বাড়বে। আমরা এটাই জনগণকে জানাতে চাই শুধুমাত্র আর কিছুই না। আমাদের এই চলমান গণতান্ত্রিক আন্দোলন, আমাদের এই অহিংস আন্দোলন, গণতন্ত্র উদ্ধারের আন্দোলন, বাক-স্বাধীনতার আন্দোলন, ভোটের অধিকারের আন্দোলন সারা বাংলাদেশে চলবে। আমরা বলতে চাই, গণতান্ত্রিক আন্দোলন কখনো ব্যর্থ হয় নাই। সাময়িকভাবে বাধাগ্রস্ত হতে পারে কিন্তু সার্বিকভাবে কখনো ব্যর্থ হয় নাই। আজকে না হয় কালকে এই ফ্যাসিস্ট দখলদার সরকারের পতন ঘটবেই এই জনতার হাতে। এদের পতন না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালামের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনুর সঞ্চালনায় ‘দ্রব্যমূল্যের ঊধর্বগতি, বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানির দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে সারাদেশে গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ কর্মসূচির অংশ হিসেবে’ সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এরপরে মির্জা আব্বাস পথচারীদের মধ্যে লিফলেট বিতরণ করেন।
মির্জা আব্বাস বলেন, মুসলিন-স্ট্যালিনরা বহুদিন রাজত্ব করেছে।কিন্তু পরিণতি হয়েছে ভয়াবহ। জনগণের আন্দোলনের মুখে কোনো ফ্যাসিস্ট সরকার টিকে থাকতে পারে নাই। আজকে যে সরকার আছে এটাকে সরকার বলা যাবে না। এটা হচ্ছে ভিন্ন ভাষায় বলা যেতে পারে, এটা সরকার নয়। এরা জোর করে জনগণের ভোটের বাইরে ক্ষমতায় টিকে আছে। ক্ষমতায় টিকে আছে লুটপাট করার জন্য, ক্ষমতায় টিকে আছে চুরি করার জন্য, ক্ষমতায় টিকে আছে এদেশের মানুষের কষ্ট দেয়ার জন্য।
তিনি আরও বলেন, আমরা আন্দোলন করতে করতে এই পর্যন্ত এসেছি। আমাদের বয়স হয়ে গেছে। এখন পরবর্তী যে প্রজন্ম আছে তাদেরকে সামনে নিয়ে আসতে হবে। এই স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। আমাদের মনোবল ঠিক রাখতে হবে, সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে এবং নিজেদের মধ্যে গণতন্ত্রের বিকাশ ঘটাতে হবে। এই সরকারের পতন ঘটানোর জন্য ঐক্যের কোনো বিকল্প নাই। আপনারা অনেক সহ্য করেছেন, আরও সহ্য করতে হবে যদি বলেন, কতদিন সহ্য করতে হবে, এটা বলা সম্ভব না।
বিএনপির এই স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, ২৮শে তারিখ কি হয়েছিলো? সেই প্রথম থেকে একটা নকশা করে, এটা ডিজাইন করে যাতে বিএনপি ক্ষমতায় আসতে না পারে, যাতে বিএনপি নির্বাচনে আসতে না পারে, এই চক্রান্ত প্রথম থেকেই শুরু হয়েছে। সেজন্য দুই বছর আগে থেকে আমাদের নেতা-কর্মীদের বেছে বেছে গ্রেপ্তার করা হয়। আমাদের ওপরে ২৮ তারিখে যেটা হয়েছে নির্মম নির্যাতন বর্বরোচিত হামলা। এই হামলায় আমি এবং মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ (মহাসচিব) কয়েকজন শেষ পর্যন্ত মঞ্চে ছিলাম। সেই সময়ে আমরা দেখেছি, যখন টিকে থাকা সম্ভব ছিলো না টিয়ার সেল আমাদের ট্রাকের মাঝে পড়েছে। সামনে রাইফেল হাতে পুলিশ দাঁড়ানো গুলি করবে। হয়ত তারা গুলি করে নাই। আমরা নেমে যেতে বাধ্য হয়েছি। এমন নারকীয় ঘটনা ১৯৭১ সালে পাকিস্তান বাহিনীও ঘটাইনি সেটা সেদিন ওরা ঘটিয়েছে।
কারাগারে বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের ওপরে নির্মম নিপীড়ন-নির্যাতনের ঘটনা উল্লেখ করে সদ্য কারা মুক্ত নেতা তিনি বলেন, এই নির্যাতন ও অত্যাচারে যেভাবে সীমা ছাড়িয়ে গেছে এটা আর সহ্য করা যায় না, বর্ণনা করা যায়। তারপরও আমাদের নেতা-কর্মীরা এখনো তাদের মনোবল হারায়নি। তারা আশায় আছে তারা যুদ্ধ করবে এবং গণতন্ত্রকে মুক্ত করবে। অবশ্যই এই সরকারের পতন ঘটবেই।
Dhaka, Bangladesh বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০২৪ | |
Salat | Time |
Fajr | 5:18 AM |
Sunrise | 6:39 AM |
Zuhr | 11:59 AM |
Asr | 2:59 PM |
Magrib | 5:20 PM |
Isha | 6:40 PM |