- প্রচ্ছদ
-
- বাংলাদেশ
- আজ জয়পুরহাট হানাদার মুক্ত
আজ জয়পুরহাট হানাদার মুক্ত
প্রকাশ: ১৪ ডিসেম্বর, ২০২২ ১০:৪৪ পূর্বাহ্ণ
আবুবকর সিদ্দিক, জয়পুরহাট জেলা প্রতিনিধিঃ-আজ ১৪ ডিসেম্বর জয়পুরহাট হানাদার মুক্ত দিবস, ও শহীদ বুদ্ধি জিবী দিবস পালন করা হয়। ১৯৭১ সালের এই দিনে হানাদার মুক্ত হয়েছিল জয়পুরহাট। বাঘা বাবলুর নেতৃত্বে এদিন অকুতোভয় মুক্তিযোদ্ধারা পাঁচবিবি ভূঁইডোবা সীমান্ত দিয়ে জয়পুরহাটে প্রবেশ করে ডাকবাংলো মাঠে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উড়িয়ে জয়পুরহাটকে শত্রæমুক্ত ঘোষনা করেন।
আজ বুধবার সকালে শহীদ বুদ্ধি জিবীদিবস উপলক্ষে জেলার পাগলা দেওয়ান, ও কড়ই কাদিপুর শহীদ স্মৃতি সৌধে পুস্প স্তবক দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন,করেন জেলা প্রশাসক সালেহিন তানভীর গাজী, পুলিশ সুপার নুরে আলম, ইউএনও আরাফাত হোসেন, সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতা কর্মীরা শ্রদ্ধা জানান।
১৯৭১ এর ২৪ এপ্রিল প্রথম সান্তাহার থেকে রেলযোগে পাকসেনারা জয়পুরহাটে এসে এ দেশীয় দোসরদের সহযোগীতায় দুটি দলে বিভক্ত হয়ে একটি দল পাঁচবিবি গোহাটিতে আক্রমন করে। পরেরদিন পাগলা দেওয়ান ও ক্ষেতলালের চরবাখরা ব্রিজ এলাকায় ক্যাম্প স্থাপন করে তারা। পাগলা দেওয়ানের অক্ষত এই বাংকারটি আজো সেই ভয়াল স্মৃতি বহন করে চলেছে। এখানেই শেষ নয়; ২৬ এপ্রিল সদর উপজেলার হিন্দু অধ্যুষিত এলাকা কড়ই-কাদিপুর গ্রামে এ দেশীয় দোসরদের সহযোগীতায় ৩শ ৭১জন মৃৎশিল্পীকে ধরে এনে বায়োনেট নিয়ে খুঁচিয়ে ও লাইনে দাঁড় করিয়ে গুলি করে হত্যা করা হয়।
নয় মাসের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ শেষে অবশেষে ৭১ এর ১৪ ডিসেম্বর বাঘা বাবলুর নেতৃত্বে একদল মুক্তিযোদ্ধা ভ‚ইডোবা সীমান্ত দিয়ে পাঁচবিবি প্রবেশ করলে পাকসেনারা পিছু হটতে থাকে। এদিন তারা জয়পুরহাট পৌছে ডাকবাংলো মাঠে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উড়িয়ে জেলাকে হানাদার মুক্ত যোষনা করেন।
এদিনটিকে জয়পুরহাটবাসী শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে নানা কর্মসূচি পালন করেন। এখনো পাকসেনাদের বর্বর নির্যাতন, খুন ও ধর্ষনের দুঃসহ স্মৃতি মনে করে শিহরে ওঠেন অনেকেই।
Please follow and like us:
20 20