আজ রবিবার | ৭ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২২শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ |২০শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি | রাত ১০:৪৫
বিডি দিনকাল,ডেস্ক :-আমরা আওয়ামী নাৎসীবাদের এক চরম চক্রান্তের বিকৃত প্রকাশ লক্ষ্য করছি। দেশমাতৃকার অন্যতম প্রধান লিবারেটর, সাবেক রাষ্ট্রপতি, মহান স্বাধীনতার ঘোষক, বহুদলীয় গণতন্ত্রের পুণঃপ্রতিষ্ঠাকারী ও বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের প্রবক্তা শহীদ জিয়াউর রহমান বীর উত্তমকে নিয়ে বহুমাত্রিক কাল্পনিক, উদ্ভট আর বিকৃত মিথ্যাচার করেই তারা ক্ষান্ত হয়নি বরং এখন তাদের সাংস্কৃতিক অঙ্গনের সাঙ্গ-পাঙ্গরা কুৎসিত মনোবৃত্তি নিয়ে মাঠে নেমেছে। কোন অপপ্রচারই শহীদ জিয়ার বিরুদ্ধে জনগণকে বিভ্রান্ত করতে পারেনি।
এখন তাদের খুদ কুড়ো অন্বেষী, মোসাহেব সাংস্কৃতিক ব্যক্তিদের দিয়ে নাটক-সিনেমা বানাতে উৎসাহ দিচ্ছে একদলীয় ভোটারবিহীন আওয়ামী সরকার। তাদের লেলিয়ে দেয়া এই সাংস্কৃতিক ব্যক্তিরা সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা পেয়ে মহাউৎসাহে জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে জঘন্যতম বিকৃত ইতিহাস, চরিত্রহনন ও কুৎসার গরল উগলে দিতে এই ধরণের কর্মকান্ডে মেতে উঠেছে। সাংস্কৃতিক অঙ্গনের কতিপয় পদলেহী অর্বাচীন অসুস্থ লোক ইতিহাস বিকৃত করার প্রক্রিয়ায় জিয়াউর রহমানকে খাটো করার অপচেষ্টায় নিরন্তর কাজ করছে। মান্নান হীরা নামে এক ব্যক্তি নিজেকে আওয়ামী লীগের নেকনজর পাওয়ার জন্য ‘ইনডেমনিটি’ নামে তথাকথিত একটি বিকৃত ইতিহাসের চটি নাটক লিখে জয় বাংলা ব্যানারে বা তাদের সাংস্কৃতিক জোটের নামে সারাদেশে মঞ্চায়ন করে বেড়াচ্ছে গত এক বছর যাবত। তারা নতুন প্রজন্মের সামনে সম্পূর্ণ মিথ্যা এক বিকৃত ইতিহাস দাঁড় করানোর হীন প্রচেষ্টা তুলে ধরেছে এই নাটকের কল্পিত গল্পে। পাশাপাশি দেখানো হয়েছে, জিয়াউর রহমানের নির্দেশে নাকি ১৯৭৫ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর খন্দকার মোশতাক ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করেছিলেন। এই নাটকে খুনী ও খল চরিত্র এমনভাবে সাজানো হয়েছে যাতে ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত লাগে। এই নাটক নির্মাতাদের কতো বড় স্পর্ধা যে, এদেশের কোটি কোটি মানুষের প্রাণপ্রিয় নেতা শহীদ জিয়াউর রহমানকে নিয়ে অসত্য ইতিহাস রচনা করে তা নাটক আকারে বিকৃতভাবে মঞ্চস্থ করেছে।
এই কথিত পথ নাটকটি ২৬ সেপ্টেম্বর নিশিরাতের এক সংসদ সদস্যের মালিকানাধীন টিভিতে প্রচার করা হবে বলে আমরা জানতে পেরেছি। আমরা তাদের সাবধান করে দিতে চাই এই ইতিহাস বিকৃতি ও তথ্যসন্ত্রাসমুলক নাটক প্রচারের অপচেষ্টা চালিয়ে গণশত্রু হবেন না। এই নাটকের রচয়িতা, পরিচালক, নির্দেশক, অভিনেতা-কলাকুশলীদের জনগণ মনে রাখবে। এই অর্বাচীনরা হলো গণতন্ত্রকে কবর দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার নামে ব্যবসা করা ফড়িয়া ও দালালদের সহযোগী। এরা হলো বর্তমান নিষ্ঠুর নাৎসী আওয়ামী লীগের সহযোগী যাদের পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষক বীর মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমানকে ধারণ করার সাহস ও শক্তি নেই। রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় সংগঠিত এই ষড়যন্ত্রকে জনগণ শুধু ঘৃণাভরে প্রত্যাখানই করছে না, স্বাধীনতার ঘোষক ও রণাঙ্গনের বীর সেক্টর কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা শহীদ জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার ও তার চরিত্র হননের অপপ্রয়াসের জন্য আপামর জনগণ দারুনভাবে ক্ষুব্ধ ও মর্মাহত। একজন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে অপমান করা মানেই রণাঙ্গনের সকল মুক্তিযোদ্ধাকেই অপমান করা। এই দিন দিন না সামনে আরো দিন আছে। দেশের জনগণই এর উপযুক্ত জবাব দিবে। বিকারগ্রস্ত মানসিকতার এই ‘ইনডেমনিটি’র নামে চরিত্রহননকারী নাটকের নির্মাতাদের এহেন কর্মকান্ডে আমি তীব্র নিন্দা ও ধিক্কার জানাচ্ছি। এটির সাথে যারা জড়িত কিংবা প্রচার করবেন জনগণ তাদের ক্ষমা করবে না।
সচেতন সাংবাদিকগণ/
নাটকের সাথে জড়িত ও নেপথ্যের কুশীলবদের স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, প্রধান নির্বাচন কমিশনের স্বীকার করা মধ্যরাতের নির্বাচনে ক্ষমতায় চেপে বসা এই সরকার কখনোই সুষ্ঠু রাজনীতি ও গণতন্ত্রকে বিশ^াস করে না। সীমাহীন লুটতরাজ, খুন-গুম, ক্রসফায়ারসহ নৈরাজ্য আর ব্যাপক রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের দ্বারা দেশকে নরকে পরিণত করেছে সাড়ে বারো বছর। এসব নিয়ে আপনারা নীরব কেন ? এসব নিয়ে আপনাদের নাটক কোথায় ?
ইতিহাস স্বাক্ষ্য দেয় যে, মরহুম শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবারের মর্মান্তিক হত্যাকান্ডে জড়িত সবাই ছিলেন আওয়ামী লীগের বা তাদেরই বশংবদ। সেখানে শহীদ জিয়াউর রহমানের দূরতম কোন ভূমিকাও ছিল না। ১৯৭৫ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর তারিখে আওয়ামী লীগ নেতা তৎকালীন রাষ্ট্রপতি খন্দকার মোশতাক আহমেদ ইনডেমনিটি (দায়মুক্তি) অধ্যাদেশ জারি করেন। এটি ১৯৭৫ সালের অধ্যাদেশ নং ৫০ নামে অভিহিত ছিল। ’দি বাংলাদেশ গেজেট, পাবলিশড্ বাই অথরিটি’ লেখা অধ্যাদেশটিতে খন্দকার মোশতাক আহমেদের স্বাক্ষর রয়েছে। খন্দকার মোশতাকের ক্যাবিনেট ছিল সম্পূর্ণরুপে আওয়ামী লীগের ক্যাবিনেট। সেটা কি আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকারের তল্পিবাহক নাট্যকার’রা জানেন না ? ইনডেমনিটির ইতিহাসই আওয়ামী লীগের ইতিহাস। স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশে খুনী বাহিনী হিসেবে পরিচিত রক্ষীবাহিনীর ‘গোপনে ও প্রকাশ্যে খুন হত্যা লুন্ঠন, অত্যাচার নিপীড়ণ থেকে দায় মুক্তি দিতে দেশের ইতিহাসে সর্বপ্রথম ১৯৭৪ সালে ইনডেমনিটি আইন জারি করেছিলেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর পিতা। একই ধারাবাহিকতায়, ফখরুদ্দিন-মইনুদ্দিনের অবৈধ সরকারের দুই বছরের সকল অবৈধ ও অনিয়মতান্ত্রিক কার্যক্রমকে ২০১১ সালে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে ইনডেমনিটি বা দায়মুক্তি দিয়েছিলেন শেখ হাসিনা। এভাবে তারা চারবার ইনডেমনিটি বা দায়মুক্তি আইন জারী করেছে। এগুলো নিয়ে নাটক লিখতে কি আপনাদের কলম ভয় পায় ? মনগড়া কোন ইতিহাস মানুষের কাছে টিকে থাকে না। যারা মিথ্যা ইতিহাস লিখেছে তারাও ইতিহাসের খলনায়ক। নবাব সিরাজউদ্দৌলার বিরুদ্ধে চক্রান্তমূলক ‘অন্ধকুপ হত্যা’র অভিযোগে তার চরিত্র হনন করার চেষ্টা করা হয়েছিল, কিন্তু জনগণের কাছে সেটি বিশ^াসযোগ্য হয়নি। ইতিহাসে নবাব সিরাজই মহানায়ক। আর যারা মিথ্যা ইতিহাস রচনা ও ষড়যন্ত্র করেছিল তারা ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হয়েছে। আর তাদের পৃষ্ঠপোষক সা¤্রাজ্যবাদী উৎপীড়কদের এদেশ থেকে বিদায় নিতে হয়েছে। আওয়ামী লীগের শক্তি হচ্ছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী। আর বিএনপি’র শক্তি হলো জনগণ। তাই নাটক রচয়িতাকারীদের বলছি-বিএনপি নিরালম্ব নয়। অপপ্রচারকারী বিকৃতমনা সরকারের আনুকুল্য পাওয়া কতিপয় সাংস্কৃতিক কর্মীরাও জনগণের রোষ থেকে রেহাই পাবে না।
সুহৃদ সাংবাদিক বন্ধুগণ/
জাতীয় সংসদের নওগাঁ-৬ আসনের উপ-নির্বাচনে গতকাল ধানের শীষের প্রার্থীর প্রস্তুতি সভায় আওয়ামী সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে আত্রাই থানা বিএনপি’র আহবায়ক মোঃ মোশাররফ এবং যুগ্ম আহবায়ক জাপানসহ অনেক নেতাকর্মীকে আহত করেছে। আমি এই হামলার সাথে জড়িত সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর দাবি করছি। আহত নেতাকর্মীদের আশু সুস্থতা কামনা করছি।
এছাড়া পাবনা-৪ উপ-নির্বাচনেও ধানের শীষের প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের হুমকি-ধামকি দিতে শুরু করেছে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর গুন্ডা বাহিনী। আসন্ন উপ-নির্বাচনগুলোতে সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের আলামত দেখা যাচ্ছে। তবে সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন করতে যতই বাধা দেয়া হোক সংশ্লিষ্ট এলাকার জনগণ তা প্রতিরোধ করবে।PRESS CONF. OF BNP SR JOINT SEC GENERAL-25-09-20
ধন্যবাদ সবাইকে। আল্লাহ হাফেজ।
Dhaka, Bangladesh রবিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪ | |
Salat | Time |
Fajr | 5:16 AM |
Sunrise | 6:37 AM |
Zuhr | 11:57 AM |
Asr | 2:57 PM |
Magrib | 5:17 PM |
Isha | 6:38 PM |