- প্রচ্ছদ
-
- নোয়াখালী
- “আমার এ ঘর ভাঙ্গিয়াছে যে বা,আমি বাধি তার ঘর, আপন করিতে কাঁদিয়া বেডাই,যে মোরে করিয়াছে পর”।
“আমার এ ঘর ভাঙ্গিয়াছে যে বা,আমি বাধি তার ঘর, আপন করিতে কাঁদিয়া বেডাই,যে মোরে করিয়াছে পর”।
প্রকাশ: ২০ মে, ২০২১ ৬:০০ অপরাহ্ণ
শাহাদাত হোসেন সেলিম, রাজনীতিবিদ ,রামগঞ্জ :-৮৭ সাল থেকে রামগঞ্জ বিএনপির সাথে আমার সখ্যতা ।২০০০ সাল অবধি ৩য় প্রধান,তারপর ২য় প্রধান নেতা হিসাবে রামগঞ্জ বিএনপির অন্যতম অভিভাবক ছিলাম।মধ্য ২০০০ এ বিএনপি আমাকে অব্যহতি দেয় কোনরূপ আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে।
তারপর পদ্মা মেঘনার যমুনার অনেক জল প্রবাহিত হয়ে ১৮ বছর পর রামগঞ্জে ধানের শীষ প্রতিক নিয়ে বিজয়ীর বেশে প্রবেশ করলাম।১৮ বছর দীর্ঘ সময়।পরিচয় নেই নতুন প্রজন্মের সাথে।ঢাকায় দফায় দফায় কথা বল্লাম রামগঞ্জের বিএনপি নেতাদের সাথে।সিদ্ধান্ত হলো ঐক্য বদ্ধ হয়ে ফ্যাসীবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করবো।
আশায় ছিলাম সেনাবাহিনী নামলে পরিস্থিতি অনুকূলে আসবে।সে আশায় গুড়েবালি।অনেকে বলেন আমি ঘর থেকে বের হইনি কেন?যে দিন জামতলী বাজারে আমাদের মিছিলে হায়নারা জমদুতের মতো এসে গুলি করলো তখন অনেক বীরপুরুষ সাথে ছিলেন না।যে দিন বেড়ী বাজারে নামাজ পড়তে গেলে দফায় দফায় হামলা করলো,গুলি করলো,হোন্ডা, টেস্কি পুড়িয়ে দিও সে দিন ও সমাচালকরা দুরে ছিলেন।অনেকে তোতা মিয়ার ডরে দেশেও আসেনি দায়িত্বশীল পদবী ধারন করে।
নির্বাচনে কার কি ভূমিকা ছিলো তা আমার পরিষ্কার মনে আছে।আমি ধারাবাহিক ভাবে লিখবো।তবে প্রচন্ড শীতে অনেক অনেক মা,বাবা রা ঘরে থাকতে পারে নি।
নেতা কর্মীরা,ক্ষেত খামারে রাত কাটিয়েছে।থানায় ধরে নিয়ে গেছে,জেলে গেছে,২৮/২৯ তাং এ বাড়ি আসার পথে পথে নির্মম নির্যাতনের স্বীকার হয়েছে।আমি তাদের এ রিন কখনোই শোধ করতে পারবো না।
প্রথম আলোর একজন সাংবাদিক নোয়াখালী নির্বাচনী সংবাদ সংগ্রহ করে আমার বাড়ীতে এসে একটু অবাক হলেন।বল্লেন আপনার বাড়ীতে তো অনেক লোক, মওদুদ সাহেব একেবারেই একা বাড়ীতে, কাউকে তার বাড়ীতে আসতে দিচ্ছে না।কর্নেল অলি বল্লেন তিনি মাত্র একদিন বের হয়েছিলেন, তারা বড় ছেলে কে মেরে মৃত মনে করে খড়ের গোদায় ছুড়ে ফেলে।কর্নেল অলি বা মওদুদ সাহেব ৬ বারের এমপি,রাজ দায়িত্ব পালন কালে বহু মানুষের উপকার করেছেন,তাদের যখন এ অবস্হা তখন আমি নবীন ভিন্ন দলের প্রার্থীর কি অবস্থা তা সহজেই অনুমেয়।
আমার বাড়ী আসার পথে অনেকে লাঞ্চিত হয়েছেন, রক্তাক্ত হয়ে,ঘড়ি মোবাইল, টাকা হারিয়েছেন।যখন ই আমার কানে এসেছে আমি সাধ্যমত চেষ্টা করছি কিছুটা হলেও সহযোগিতা করার,জেল থেকে ছাড়ানোর,যা আমার কানে আসে নি তা নিয়ে আমাকে দোষ দিলে আমার প্রতি অবিচার করা হবে।মামলা,হামলা,হাজিরা,বিয়েতে সাহায্য,চিকিৎসায় সাহায্য চেয়ে আমার নলেজে দিয়েছে আর আমি তা এড়িয়ে গেছি এমন একটি নজীর দিতে পারলে আমি রাজনীতি ছেড়ে দেব,আমি ঢোল বাজিয়ে সাহায্য করি না। গোপনীয়তা রক্ষা করি।
দিন কয়েক আগে একজন যুবনেতা আমাকে জানিয়েছেন আমার বাড়ী আসার পথে তিনি মার ও খেয়েছেন এবং মোবাইল ও হারিয়েছেন। তিনি বিএনপির দায়িত্বশীল দের নাকি বলেছেন আমাকে বলার জন্য,যেন আমি তাকে একটি মোবাইল কিনে দি।আমি বল্লাম তুমি আমাকে বলো নি কেন।সে আমতা আমতা করে। আমি বল্লাম ভাই এখন মোবাইল এর যুগ,আমি সবার ফোন ধরার চেষ্টা করি,না হলে রিং ব্যাক করি।
আজ তাকে ফোন করলাম তোমার কি মোবাইল চাই?সে বল্লো কোন একটা হলেই চলে যেন ফেবু চালাতে পারি।আমি বল্লাম আমি টাকা পাঠিয়ে দি তুমি তোমার পচন্দের একটা কিনে নিও, টাকা সট পড়লে আরো দিব।
আমার নির্বাচনে যারা আন্তরিক ছিলেন আঘাত পেয়েছেন,মোবাইল হারিয়েছেন,সুযোগ আসলে আঘাতকারীদের প্রতি ইঞ্চি ইঞ্চি প্রতিঘাত করবো।যারা পিছনে ছুরি মেরেছেন——–।
Please follow and like us:
20 20