আজ মঙ্গলবার | ৯ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৪শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ |২২শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি | সকাল ৭:৫৩
নির্বাচনের প্রশ্ন এড়িয়ে গেলেন জাপানের রাষ্ট্রদূত। বললেন এ নিয়ে তিনি কোনো কথাই বলবেন না। যদিও তার পূর্বসূরি বাংলাদেশের সর্বশেষ জাতীয় নির্বাচনে রাতের নজিরবিহীন ভোট হয়েছে, যা দুনিয়ার আর কোথাও শুনেনি বলে লঙ্কাকাণ্ড বাধিয়ে গেছেন। এ কারণে হয়তো সতর্ক জাপানের বর্তমান রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি।
গতকাল তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্রদূতেরা যেকোনো দেশের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি এবং রাজনীতির বিষয়ে যথেষ্ট কৌতূহলী থাকেন। তবে বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে আমি কোনো মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকবো।’ বাংলাদেশ, ভারত এবং জাপানের ত্রিপক্ষীয় সহযোগিতার বিষয়ে এক আলোচনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতায় নির্বাচন নিয়ে প্রশ্নটি আসে। রাজধানীর নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির (এনএসইউ) সিন্ডিকেট হলের ওই আলোচনায় ইন্দো-প্যাসিফিক বা ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে দিল্লি এবং টোকিও’র সহযোগিতা বাংলাদেশের জন্য গেম চেঞ্জার হতে পারে বলে মন্তব্য করেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন। তিনি বলেন, ত্রিপক্ষীয় সহযোগিতা ‘গেম চেঞ্জার’- হতে পারে।
স্বতন্ত্র ইন্দো-প্যাসিফিক আউট লুক ঘোষণার পর এই প্রথম ভারত মহাসগরীয় অঞ্চল নিয়ে বাংলাদেশের এমন সম্ভাবনার কথা খোলাখুলিভাবে বললেন সচিব। তিনি বলেন, বাংলাদেশ, ভারত এবং জাপানের মধ্যে ত্রিপক্ষীয় সহযোগিতা জোরদারের রাজনৈতিক সদিচ্ছা আছে তাতে কোনো সন্দেহ নেই। এখন জরুরি হচ্ছে- প্রকল্পভিত্তিক পরিকল্পনা নিয়ে অগ্রসর হওয়া।
এটি যে কোনো দেশ গ্রহণ করতে পারে জানিয়ে তিনি বলেন, কোনো একটি দেশের উদ্যোগে অন্যদের যুক্ত হওয়ার ক্ষেত্রে খোলা মনে আলোচনা করে পরস্পর লাভালাভের বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। তবেই সবাই উপকৃত হবে। নর্থ সাউথের আলোচনা অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ, ভারত এবং জাপানের ত্রিপক্ষীয় সহযোগিতা বিষয়ক বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবও দেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব।
এনএসইউ’র সাউথ এশিয়ান ইনস্টিটিউট অব পলিসি অ্যান্ড গভর্নেন্সের (এসআইপিজি) সেন্টার ফর পিস স্টাডিজ ওই আলোচনার আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি সিনিয়র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেন, বাংলাদেশের ভৌগলিক অবস্থানটা অনন্য। দক্ষিণ এশিয়ার কেন্দ্রস্থলে অবস্থানের পাশাপাশি আমাদের দেশ দক্ষিণ এশিয়া এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সঙ্গমস্থলে অবস্থিত। এই ধরনের অবস্থান বিশেষ করে সংযুক্তি এবং উপ-আঞ্চলিক ও আঞ্চলিক অর্থনৈতিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে সুবিধাজনক অবস্থানে রেখেছে। দক্ষিণ এশিয়া এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া উভয়েরই একটি প্রধান এবং সক্রিয় অংশীদার হিসেবে জাপান এ অঞ্চলের বিপুল জনগোষ্ঠীর অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। ভারতও এই অঞ্চলের অর্থনৈতিক সহযোগিতায় ক্রমবর্ধমানভাবে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে চলেছে। তিনি ত্রিদেশীয় সহযোগিতা জোরদারের লক্ষ্যে বিনিয়োগ, সরবরাহ ব্যবস্থা এবং সংযুক্তির উন্নয়নে জোর দেন।
রাষ্ট্রদূত যা বললেন: এদিকে বাংলাদেশ-জাপান সম্পর্ক নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে জাপানের রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘৫০ বছরের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশের উন্নয়ন অংশীদার জাপান। এই সময়ের মধ্যে বাংলাদেশে অনেকগুলো সরকার ছিল। তাদের কারো সঙ্গে সম্পর্ক হয়তো ভালো ছিল এবং কারো সঙ্গে হয়তো তত ভালো সম্পর্ক ছিল না, তবে সেটি আমি জানি না। জাপান এর আগেও বাংলাদেশের উন্নয়নের অংশীদার ছিল এবং ভবিষ্যতেও থাকবে।’ নির্বাচন বিষয়ক প্রশ্নের জবাবে রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি বলেন, ‘কূটনীতিক হিসেবে আমরা যে দেশে কাজ করি, সেখানকার অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতির ওপর যথেষ্ট আগ্রহ থাকে। আমি জার্মানিতে কাজ করেছি। সেখানকার অভ্যন্তরীণ অবস্থা ও রাজনীতি সম্পর্কে খোঁজ-খবর রাখতাম। আমার সহকর্মী যুক্তরাষ্ট্রে থাকার সময়ে সেখানকার অভ্যন্তরীণ রাজনীতির খবর রাখতেন। এটা খুবই স্বাভাবিক। আমি আগেও বলেছি, আবার বলতে চাই নির্বাচন নিয়ে কোনো মন্তব্য করা থেকে আমি বিরত থাকবো।’ গত ৩রা মে জাপান দূতাবাসে ইওয়ামা কিমিনোরির কাছেও বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচন প্রসঙ্গে জানতে চেয়েছিলেন সাংবাদিকরা। জবাবে তিনি নির্বাচনকে ‘অভ্যন্তরীণ বিষয়’ বলে উল্লেখ করে বলেছিলেন, এ বিষয় নিয়ে মন্তব্য করা থেকে তিনি বিরত থাকতেই পছন্দ করেন।
Dhaka, Bangladesh মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০২৪ | |
Salat | Time |
Fajr | 5:17 AM |
Sunrise | 6:38 AM |
Zuhr | 11:58 AM |
Asr | 2:58 PM |
Magrib | 5:18 PM |
Isha | 6:39 PM |