আজ রবিবার | ৭ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২২শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ |২০শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি | রাত ১১:৫৫
আবুবকর সিদ্দিক, জয়পুরহাট প্রতিনিধি :-সরকারের বেধে দেয়া দামে কেউ আলু বিক্রি করছেনা। আলুর দামের উর্দ্ধগতির বা সংকট হওয়ারর কথা নয়,কারণ পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে বলছেন হিমাগার সংশ্লিষ্ঠ মালিকরা।
যে সব ব্যাবসায়ী আলু মজুদ রেখেছেন , তারা আরও লাভের আশায় আলু তুলছেননা।
এখনও ৪৫% ভাগ আলু ১৯ টি হিমাগারে মজুদ আছে।
সরকারের বেঁধে দেওয়ায় দাম নজর দারি না করে বরাবরের মতো বলছেন,যদি কেউ মজুদ রেখে আলুর সংকট সৃষ্টি করে তাদের বিরূদ্ধে কঠোর ব্যাবস্থা নেওয়ার হুশিয়ারী সংশ্লিষ্ঠদের।
আলু ক্রয় করতে আসা সিট হেলকুন্ডা গ্রামের রাইহান মন্ডল জানালেন , আমরাও কৃষক, আরু আবাদ কওে বিক্রি করেছি তখন ১২ টাকা কেজী দওে আলু বিক্রি কওে সংসারের কাজে লাগিয়েছি। এখন আলু কিনতে এসে ভান্ডাপুরের আলু ৬০ টাকা দিয়ে কিনলাম র্ভতা খাওয়ার জন্য আরদেশী পাকরী আল ু কিনলাম ৫০ টাকা দিয়ে। আমরা আলুর মুল্য পাইনা।
আরএকজন পুর্ব বাজারের বাজারের খুচরা ব্যাবসায়ী জানালেন আমরা হিমাগার থেকে ৪৫ টাকা দিয়ে ক্রয় কওে ৫০ টাকা কেজীতে বিক্রি করছি। হিমাগাওে যদি ২৫ টাকা নেয় , আমরা ৩০ টাকা দওে বিক্রি করব।
আর সরকার যে দাম বেধে দিয়েছে ।ঐ দামে যদি কিনতে না-পারি তাহলে বিক্রি করব কেমন করে।।
আলু উৎপাদনের দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম জেলা জয়পুরহাট। এ জেলায় এবার আলু উৎপাদন হয়েছে ৯ লক্ষ ২৩ হাজার ২ শত মেট্রিক টন। হিমাগারে ১ লক্ষ ৬৪ হাজার মেট্রিকটন মজুদের মধ্যে ৫৫ শতাংশ আলু হিমাগার থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। অবশিষ্ট আলু জেলার চাহিদা মিটিয়ে সরবরাহ হয়েছে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে।
এখানকার কৃষক ও ব্যাবসায়ীরা স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে ১৯ টি হিমাগারে আলু আলু সংরক্ষণ করেন। গত কিছু দিন আগে খুচরা বাজারে প্রতি কেজি আলুর দাম ছিলো ২৫ থেকে ৩০ টাকার মধ্যে। বর্তমানে জাত ভেদে প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৬০ টাকা। এতে সাধারণ ভোক্তাদের উঠেছে নাভিশ্বাস। অন্য দিকে হিমাগার সংশ্লিষ্ঠরা বলছেন আলুর সংকট নেই পর্যাপ্ত আলুর মজুদ আছে। আর মজুদার ব্যবসায়ীরা বলছে গত বৎসরের তুলনায় এবার আলুর কম উৎপাদন হওয়ায় মজুদ কম হয়েছে,তাই খুচরা বিক্রেতাদের বেশি দামে বিক্রি করায় বাজার উর্দ্ধমুখী হচ্ছে। কঠোর বাজার মনিটরিং করে দাম সহনীয় পর্যায় রাখার দাবি ভোক্তাদের।
জয়পুরহাট জেলা কৃষি বিপনন কর্মকত রতন কুমার রায়, জেলা কৃষি বিপনন কর্মকর্তা
বরাবরের মতো বললেন, কোনো মজুদদার সংকট সৃষ্টি করার জন্য যদি আলু মজুদ করে তাদের বিরূদ্ধে কঠোর ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, জেলা প্রশিক্ষন অফিসার- মোঃ- এনামুল হক, বললেন আলুর কোন সংকট নেই, কয়েকটি সংস্থার সমন্বয়ে, বাজার নিয়ন্ত্রনে রাখা হবে বলছেন, জেলার এই কৃষি কর্মকর্তা।
আলুর বাজার উর্দ্ধমুখী ঠেকাতে সংশ্লিষ্ঠদের কঠোর মনিটরিং করে দাম সহনীয় পর্যায় রাখার দাবি সাধারণ ভোক্তাদের ।
Dhaka, Bangladesh রবিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪ | |
Salat | Time |
Fajr | 5:16 AM |
Sunrise | 6:37 AM |
Zuhr | 11:57 AM |
Asr | 2:57 PM |
Magrib | 5:17 PM |
Isha | 6:38 PM |