- প্রচ্ছদ
-
- অপরাধ
- আশুলিয়ায় দুই বান্ধবী গণধর্ষণের শিকার; কিশোর গ্যাংয়ের ৩ সদস্য আটক
আশুলিয়ায় দুই বান্ধবী গণধর্ষণের শিকার; কিশোর গ্যাংয়ের ৩ সদস্য আটক
প্রকাশ: ৭ অক্টোবর, ২০২০ ৬:৪৩ পূর্বাহ্ণ
নজরুল ইসলাম মানিক, সাভার ও আশুলিয়া ( ঢাকা) প্রতিনিধি ঃ আশুলিয়ায় দুই বান্ধবী গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন। ঘটনায় প্রিন্স কিশোর গ্যাংয়ের ৩ সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় অভিযুক্ত কিশোর গ্যাংয়ের আরও ৯ সদস্য পলাতক রয়েছে বলে জানা গেছে।
বুধবার ভোর রাতে আশুলিয়ার ভাদাইল ও নয়ারহাট এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
বুধবার সকালে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আসওয়াদুর রহমান। প্রায় ১ মাস আগে একই বাসার ভাড়াটিয়া দুই কিশোরের সঙ্গে বেড়াতে গিয়ে ওই গ্যাংয়ের হাতে ধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন তারা।
আটককৃতরা হলো- ডায়মন আলামিন, জাকির ও পান রাকিব। পান রাকিব ভাদাইল এলাকায় মাঝে মধ্যে শাক বিক্রি করে বলে জানা গেছে। বাকি দুইজন শিক্ষার্থী। তবে তাদের বিস্তারিত পরিচয় জানা যায়নি।
গ্যাংয়ের অন্যান্য সদস্যরা হলো- দলনেতা সারুফ, তার সহযোগী আলমিন, জিদান, রেদওয়ানসহ আরও কয়েকজন।
ভুক্তভোগীর সঙ্গে বেড়াতে যাওয়া কিশোর ইসরাফিল জানায়, আশুলিয়ার ভাদাইল এলাকায় ভাড়া থেকে একটি কারখানায় কাজ করতো ভুক্তভোগীরা। প্রায় ৩৫ দিন আগে একই বাসার ভাড়াটিয়া দুই কিশোরের সঙ্গে দুই বান্ধবীকে নিয়ে ভাদাইলের গুলিয়ারচক এলাকায় তিনি বেড়াতে যান। এসময় তাদের চারপাশ দিয়ে ঘিরে ফেলে প্রিন্স কিশোর গ্যাংয়ের ১২ থেকে ১৪ জন সদস্য। পরে ভুক্তভোগীর সঙ্গে বেড়াতে যাওয়া দুই কিশোরকে জিজ্ঞাসাবাদ করে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা। এক পর্যায়ে তাদের মারধর করে এক জায়গায় বসিয়ে রাখে। পরে ভুক্তভোগীদের একটু আড়ালে নিয়ে ১২ জন কিশোর ধর্ষণ করে এবং ভিডিও ধারণ করে। ভিডিও ফাঁস হলে ভুক্তভোগী দুই বান্ধবী গ্রামে চলে যেতে বাধ্য হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ঘটনার প্রায় ১ মাস পর কিশোর গ্যাংয়ের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে ধারণ করা ভিডিও ফাঁস হয়ে যায়। ভিডিও ফাঁস হওয়ার পর গ্যাংয়ের প্রধান সারুফের বাবা আকবর আলী প্রিন্স কিশোর গ্যাংয়ের অন্যান্য সদস্যসহ অভিযুক্তদের পরিবারের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে স্থানীয় মাদবরদের নিয়ে ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। পরে ধারণকৃত ভিডিওর মাধ্যমে শনাক্ত করে অভিযান চালিয়ে ৩ ধর্ষককে আটক করেছে পুলিশ।
আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক আসওয়াদুর রহমান জানান, ভিডিও ফাঁস হওয়ার পরপরই কোনো অভিযোগ না পেলেও তদন্তে নামে আশুলিয়া থানা পুলিশ। পরে অভিযান চালিয়ে তিন গ্যাং সদস্যকে আটক করা হয়েছে। বাকিদের আটকের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
Please follow and like us:
20 20