আজ শুক্রবার | ২৬শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১০ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ |১০ই রজব, ১৪৪৬ হিজরি | সকাল ৭:১৫
নজরুল ইসলাম মানিক, সাভার ও আশুলিয়া (ঢাকা প্রতিনিধি : ঢাকার আশুলিয়ায় একটি ক্বওমী মাদ্রাসার প্রিন্সিপালের ক্ষোভে চাকুরী হারারের ওই মাদ্রাসার কিতাব বিভাগের শিক্ষক। মূলত ওই শিক্ষক অন্য একটি মসজিদে ইমামতি করার কারণে প্রিন্সিপালের রোষানলে পড়ে চাকুরীচ্যুত হয়েছেন তিনি। এমনটাই দাবী খোদ মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির একাধিক সদস্যর।
গেল বৃহস্পতিবার আশুলিয়ার কোনাপাড়া টেংগুরি দারুল উলুম ক্বওমি মাদ্রাসা ও এতিমখানায় থেকে তাকে চাকুরীচ্যুত করে বের করে দেন প্রিন্সিপাল।
ভুক্তভোগী ওই শিক্ষকের নাম মাওলানা মো: হাবীবুল্লাহ। তিনি জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার শাহনগর এলাকার মাওলানা মোবারক হোসেনের ছেলে। তিনি আশুলিয়ার কোনাপাড়া টেঙ্গুরী দারুল উলুম ক্বওমি মাদ্রাসার কিতাব বিভাগের সিনিয়র শিক্ষক।
ভুক্তভোগী মাওলানা মো: হাবিবুল্লাহ জানান, গেল রমজান মাসে মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা মজিবুর রহমানের অনুমতিক্রমে পার্শবর্তী একটি মসজিদে ইমামতি ও তারাবির নামাজ পড়িয়েছিলেন তিনি। পরে প্রিন্সিপালের নিষেধে ইমামতি করা বাদ দেন। তারপরেও তাকে ইমামতি করার অপরাধে মাদ্রাসা থেকে চাকুরীচ্যুত করেন প্রিন্সিপাল। এরপর বিষয়টি ওই মাদ্রাসার সিনিয়র সহ-সভাপতি সুমন মন্ডলকে জানালে তিনিসহ আরো কয়েকজন বিষয়টি সুরাহা করে দেন এবং তাকে মাদ্রাসায় বহাল রাখেন। হঠাৎ বৃহস্পতিবার সকালে মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল ও সভাপতি জামাল বেপারী সহ আরো বেশ কয়েকজন সদস্য তাকে ডেকে অপমান করে মাদ্রাসা থেকে বের করে দেন। এ বিষয়ে বেশী বাড়াবাড়ি করলে পরিণতি খারাপ হবে বলেও হুমকি দেন। এ ঘটনায় তার মানহানি সহ আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন বলেও জানান তিনি।
ঘটনাটি মাদ্রাসার ছাত্র ও অভিবাবকদের নজরে আসলে তাদের মধ্যে মিশ্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। বিনা অপরাধে একজন শিক্ষককে মাদ্রাসা থেকে অপমান করে বের করে দেয়ায় এলাকাবাসি ওই মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল এবং সভাপতির উপর ক্ষুব্দ।
এলাকাবাসি জানায়, একজন দাওরায়ে হাদিস পাশ মাদ্রাসা শিক্ষক মসজিদে ইমামতি করাবে, রমজানে তারাবি পড়াবে এটা স্বাভাবিক। এতে বাঁধা দেয়া ঠিক হয়নি।
এব্যাপারে কোনাপাড়া টেংগুরি দারুল উলুম ক্বওমি মাদ্রাসা ও এতিমখানার সিনিয়র সহ-সভাপতি সুমন মন্ডল জানান, এই কাজটি অত্যান্ত গর্হিত একটি কাজ হয়েছে। মাদ্রাসার কোন শিক্ষক অপরাধ করলে বা বাদ দিতে হলে কমিটি মিটিং করে সিদ্ধান্ত নিবেন। প্রিন্সিপালতো একার সিদ্ধান্তে কাউকে মাদ্রাসা থেকে বের করে দিতে পারে না। এটা উচিত হয়নি।
তিনি আরো জানান, এই মাদ্রাসাটি দাওরায়ে করার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু প্রিন্সিপালতো দাওরায়ে পর্যন্ত চালাতে পারবে না। কারণ তার এই ব্যাপারে শিক্ষাগত যোগ্যতা নেই। তবে যাকে বের করে দিয়েছেন তিনি দাওরায়ে কমপ্লিট করে উচ্চতর হাদিসে অধ্যয়ন করছেন। হয়ত এই ভয়েই তিনি তাকে কোন কারণ ছাড়াই বের করে দিয়েছেন। তবে বিষয়টি নিয়ে সেক্রেটারির সাথে কথা হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, কারো একার সিদ্ধান্তে মাদ্রাসা থেকে কাউকে বের করে দেওয়ার কোন নিয়ম নেই।
কোনাপাড়া টেংগুরি দারুল উলুম ক্বওমি মাদ্রাসা ও এতিমখানার প্রিন্সিপাল হাফেজ মজিবুর রহমান মোঠোফোনে জানতে চাইলে, এব্যাপারে তিনি কোন মন্তব্য করতে পারবেন না এবং এটা সভাপতি জানেন বলে জানান।
এব্যাপারে বক্তব্য নিতে কোনাপাড়া টেংগুরি দারুল উলুম ক্বওমি মাদ্রাসা ও এতিমখানার সভাপতি জামাল বেপারী মুঠোফোনে জানান, ওই শিক্ষক অন্য একটি মসজিদে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ায়। এতে মাদ্রাসার ছাত্রদের করলে তিনি স্বেচ্ছায় মাদ্রাসা থেকে চয়ে যান। তার পাওনাধি পরিশাধ করা হয়েছে। তাকে বের করে দেয়া হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, তিনি স্বেচ্ছায় চলে গেছেন।
আশুলিয়া থানার ওসি (তদন্ত) মো: মমিনুল ইসলাম জানান, বিষয়টি তার জানা নেই। তবে অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Dhaka, Bangladesh শুক্রবার, ১০ জানুয়ারি, ২০২৫ | |
Salat | Time |
Fajr | 5:23 AM |
Sunrise | 6:43 AM |
Zuhr | 12:06 PM |
Asr | 3:09 PM |
Magrib | 5:29 PM |
Isha | 6:49 PM |