আজ শুক্রবার | ২৬শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১০ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ |১০ই রজব, ১৪৪৬ হিজরি | দুপুর ১:১২
নজরুল ইসলাম মানিক, সালার ও আশুলিয়া (ঢাকা) প্রতিনিধি : আশুলিয়ায় ইলেকট্রিশিয়ান শাহজাদা খন্দকার মনাকে (৫৫) কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও যুবলীগ নেতাসহ ১৯ জনকে আসামী করে মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় গ্রেফতার ৪ জনের রিমান্ড চেয়ে শনিবার (২৩ জানুয়ারি) দুপুরে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২১ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় ডেন্ডাবর নতুনপাড়া এলাকার মৃত নুরুল হক খন্দকারের ছেলে শাহজাদা খন্দকার মনা নিজ বাড়ির পাশে সন্ত্রাসীদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে জখম হন। পরে গভীর রাতে সাভারে এনাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন নিহতের ভাই শাহাবুদ্দিন খন্দকার পিন্টু ও তার স্ত্রী আলেয়া বেগম। পরে শুক্রবার (২২ জানুয়ারি) রাতে নিহতের ভাই শাহাবুদ্দিন খন্দকার পিন্টু বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় হত্যা মামলাটি দায়ের করেন । মামলায় ১২ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৭ জনকে আসামী করা হয়েছে। মামলার আসামিরা হলেন- আশুলিয়া থানার ডেন্ডাবর নতুন পাড়া এলাকার আলাউদ্দিন মিস্ত্রির ছেলে আল আমিন ওরফে বাবু মিজি (২৬), একই এলাকার জমির মোল্লার ছেলে নুরুজ্জামান (৩৫), শাহজাহানের ছেলে ও আশুলিয়া থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌস আহমেদ টিটু (৩০), শাহজাহান সরকারের ছেলে ও আশুলিয়া থানা যুবলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক নেতা সাইফুল ওরফে ছোট সাইফুল (৩৮) ও কবির হোসেনের ছেলে রনি (২৪), জয়পুরহাট জেলার সদর থানার রিপন হোসেনের ছেলে রকি (২১), নড়াইল জেলার নড়াগতি থানার খাশিয়াল গ্রামের গোলাম রসুলের ছেলে রেজাউল ইসলাম পারভেজ (১৯), মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর থানার কচুয়া গ্রামের লিটনের ছেলে মেহেদী হাসান নাজমুল (২৫), একই জেলার সদর থানার ইসলামপুর গ্রামের আব্দুল লতিফের ছেলে ও যুবলীগকর্মী আরিফ (৩০) ও শিবালয় থানার তেওতা গ্রামের মৃত আক্তার হোসেনের ছেলে জুয়েল (৩০), টাঙ্গাইল জেলার নাগরপুর থানার সিনন্দীন গ্রামের নান্নু মিয়ার ছেলে সুমন (২৫) ও একই জেলার দেলদুয়ার থানার নান্দুলিয়া গ্রামের মৃত আমির খানের ছেলে রাব্বী (১৯)। তবে তারা সবাই ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানার ডেন্ডাবর নতুনপাড়া এলাকার বর্তমান বাসিন্দা। এ ঘটনায় গ্রেফতার চারজন হলেন- জুয়েল, নুরুজ্জামান, মেহেদী হাসান নাজমুল ও রেজাউল ইসলাম পারভেজ। মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ডেন্ডাবরের ওই এলাকায় একটি ক্লাব তৈরি করে বিভিন্ন সময় আসামিরা গানবাজানা, মাদক সেবনসহ বিভিন্ন অপকর্ম করতেন। এতে আশপাশের বাসিন্দাদের সমস্যার সৃষ্টি হওয়ায় মনা তাদের এসব বন্ধ করতে বলে। পরে বৃহস্পতিবার আবার গেলে মনাকে মারধর করে দেশিয় অস্ত্র দিয়ে আঘাত করেন। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
আশুলিয়া থানা ছাত্রলীগের সভাপতি শামিউল আলম শামিম বলেন, আটক জুয়েল, নুরুজ্জামান, সুমন, মেহেদী নামে কোন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীকে আমি চিনি না। শুধু আরিফকে চিনি ভালো করে। তিনি যুবলীগ করেন। আর টিটোকে একটি পক্ষ ফাঁসাচ্ছে। টিটু যেহেতু আমার কমিটির সাধারণ সম্পাদক। তিনি যদি অপরাধি হয় তাহলে শাস্তি হবে। মামলা হওয়া মানেইতো তিনি অপরাধী না।
আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জিয়াউর রহমান জিয়া বলেন, শুক্রবার রাতেই নিহতের ভাই শাহাবুদ্দিন খন্দকার পিন্টু একটি মামলা দায়ের করেছেন। হত্যাকাÐের ঘটনায় গ্রেফতার চারজনকে পাঁচদিনের রিমান্ড চেয়ে দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
ঊল্লেখ থাকে, আশুলিয়ার পল্লীবিদ্যুৎ ডেন্ডাবর এলাকায় মনা মিয়ার বাড়িতে একটি কক্ষ নিয়ে ভাড়া থাকতেন ইলেকট্রিশিয়ান শাহাজাহান খন্দকার মনা। রাতে পূর্ব শক্রতার জের ধরে ৪০/৫০ জন সন্ত্রাসী তার ভাড়া ঘরে প্রবেশ করে তাকে এলোপাথারীভাবে পিটিয়ে আহত করে পালিয়ে যায়। পরে পরিবারের সদস্যরা তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে চিকিৎিসার জন্য সাভারের এনাম মেডিক্যাল কলেজ এন্ড হাসপাতালে ভর্তি করলে সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। পরে খবর পেয়ে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে প্রেরণ করে। এ ঘটনায় পুলিশ ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে বেশ কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে।
Dhaka, Bangladesh শুক্রবার, ১০ জানুয়ারি, ২০২৫ | |
Salat | Time |
Fajr | 5:23 AM |
Sunrise | 6:43 AM |
Zuhr | 12:06 PM |
Asr | 3:09 PM |
Magrib | 5:29 PM |
Isha | 6:49 PM |