আজ শুক্রবার | ২৬শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১০ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ |১০ই রজব, ১৪৪৬ হিজরি | রাত ৮:৪০
নজরুল ইসলাম মানিক, সাভার ও আশুলিয়া (ঢাকা) প্রতিনিধি : আশুলিয়ার পুর্ব ডেন্ডাবর ”সো” মিল রোডে হাফিজ মিয়ার বাড়িতে পরিকল্পিত ভাবে এক মুক্তিযোদ্ধার সন্তানকে বেধরক মারপিট করে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। আহতকে মুমুর্ষ অবস্থায় ধামরাই সরকারী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় আশুলিয়া থানায় একটি অভিযো হয়েছে।
ঘটনাটি বৃহস্পতিবার সন্ধায়র্ ডেন্ডাবর ”সো” মিল রোডে হাফিজ মিয়ার বাড়ির চার-তলায় এ ঘটনা ঘটেছে। আহতের পরিচয় পাওয়া গেছে, শেরপুর জেলা নালিতাবাড়ি থানা কালাকুমার গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আমির ফকিরের ছেলে নজরুল ইসলাম। সে আশুলিয়ার পুর্ব ডেন্ডাবর ”সো” মিল রোডে একটি ভাড়া বাসায় ভাড়া থাকেন।
আহতের পরিবার ও স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, নজরুল ইসলাম সন্ধ্যায় হাফিজ মিয়ার বাড়ির ভাড়াটিয়া লামিয়া নামক এক গৃহিনী তার মুঠোফোনে কল করে এক প্যাকেট পার্সেল বিড়িয়ানী আনতে বলে। সে সময় নজরুল ইসলাম তার সাথে সবুজ নামের যুবককে সাথে নিয়ে ওই বাড়ির চার-তলায় উঠে। ওই সময় নজরুল ইসলাম ৪ তলায় উঠা মাত্রই পরিকল্পিত উৎপেতে থাকা হাফিজ মিয়া ও তার সহযোগী ৪/৫ জন তাকে আটক করে লাঠিসোটা দিয়ে মারধর শুরু করে। একপর্যায়ে ভবনের নিচে থাকা আশপাশের লোকজন ঘটনার খবর পেয়ে চা দোকানদার আকবর আলী ও রাশেদ ওই বাড়ির ৪ তলায় উপস্থিত হয়ে যা ঘঠেছে তার বর্ননা দেন, আমরা ঘটনাস্থলে পৌছানো মাত্র হাফিজ মিয়ার স্ত্রী হাও আর ইউ, তুমি আকবর আলী একট চা দোকানদার, তোমার নিকট দশ টাকা দিলে দু কাপ চা খেয়ে আসবো, তুমি কেনো এসেছো। তোমরাকি একটা চোর দেখতে এসেছো যদি চোরকে দেখতে এসে থাকো তাহলে তোমাদেরকেও চোর বলে মারধর করবো। তখন আমি বলেছি সে যদি অন্যায় করে থাকে তাহলে তাকে আইনের হাতে তুলে দিন। এসময় হাফিজ মিয়া দরজাটি খুললে দেখতে পাই ৪ জন যুবক তাকে লাঠিসোঠা দিয়ে বেধরক পিটাচ্ছে এবং ্ এ্যালোপাথারী কিল ঘুষি মারছে। বেধরক মারপিটের কারনে সে ফ্লোরে লুটে পরে। পরে তাকে আমরা উদ্ধার করে ৪ তলা থেকে মুমুর্ষ অবস্থায় নিচে নামিয়ে আনা মাত্র সে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। এ অবস্থা দেখে হাফিজ মিয়া ভয়ে আতংকে আমাদের সঙ্গে তড়িৎ গতিতে আহতকে ভ্যানে উঠিয়ে স্থানীয় হাবিব ক্লিনিকে নিয়ে যাই। হাবিব ক্লিনিক কর্তব্যরত ডাক্তার তার অবস্থার বেগতিক দেখে সরকারী হাসপাতালে রেফার্ড করেন। পরে তাকে ওই অবস্থায় ধামরাই সরকারী হাসপাতালে ভর্তি করি। হাসপাতালে ভর্তি করার পর ৭ ঘন্টা পর শুক্রবার ভোরে তার জ্ঞান ফিরে আসে তবে তার জীবন সংকটাপন্ন। পরে আহতের স্ত্রী সুমি আক্তার বাদী হয়ে শুক্রবার রাতে আশুলিয়া থানায় অভিযোগ করেন।
এ ঘটনার ব্যাপারে বাড়ির মালিক হাফিজ মিয়ার মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন সে ও তার সাথে ৪৫ জন লোকজন নিয়ে আমার বাড়িতে হামলা ও ভাংচুর করেছে এবং লামিয়ার সাথে অনৈতিক কার্যে লিপ্ত থাকতে দেখতে পেয়েছি। ওই কলের মাধ্যমেই লামিয়ার নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন আমার সাথে কোন রকম অনৈতিক কার্যকলাপে লিপ্ত ছিলোনা। তবে কয়েকদিন নজরুলের মুঠোফোনে কথা হয়েছে বলে স্বীকার করেছে।
সরেজমিনে গিয়ে বিষয়টি স্থানীয় আশপাশের লোকজনের মাধ্যমে সাংবাদিকরা সত্যতা জানতে পারে বাড়ির মালিক হাফিজ মিয়া যে বক্তব্য দিয়েছে তা সম্পুর্ন মিথ্যা ও বানোয়াট। স্থানীয়রা জানান, হাফিজ মিয়া ও তার পরিবার খারাপ প্রকৃতির পরিবার। তার বাড়িতে মাঝে মধ্যেই ভাড়াটিয়াকে মারধর করা অভিযোগ রয়েছে। হাফিজ মিয়ার বক্তব্য অনুযায়ী লামিয়াকে নিয়ে যখন ঘটনাটি ঘটেছে তার জন্য লামিয়ার ইন্টারভিউ নেয়ার জন্য ঘটনাস্থলে গেলে তার সাথে দেখা করতে দেয়া হয়নি।
এ ব্যাপারে জানতে, আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এস আই মিলন ফকির জানান, সুমি আক্তার অভিযোগ করেছে শনিবার সন্ধ্যার পর ঘটনাস্থলে যাবো। তবে ববিাদীও তাদের আগে একটি অভিযোগ করেছে। মামলা নিলে উভয় পক্ষের মামলা নিবো।
Dhaka, Bangladesh শুক্রবার, ১০ জানুয়ারি, ২০২৫ | |
Salat | Time |
Fajr | 5:23 AM |
Sunrise | 6:43 AM |
Zuhr | 12:06 PM |
Asr | 3:09 PM |
Magrib | 5:29 PM |
Isha | 6:49 PM |