আজ শনিবার | ২৭শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১১ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ |১১ই রজব, ১৪৪৬ হিজরি | রাত ৪:২৫
নজরুল ইসলাম মানিক, সাভার ও আশুলিয়া (ঢাকা) প্রতিনিধি আশুলিয়া ডিইপিজেড সংলগ্ন বিজনেজ ট্রেড সেন্টার নামক ভবনের ৭ তলা ফ্লোরে এস এম এম ফ্যাশন কারখানায় কয়েকজন শ্রমিক নেতা বহিরাগত শ্রমিক নিয়ে অনাধিকার প্রবেশ চরমভাবে বিশৃংখলা সৃষ্টি করে টাকা দাবী করেন। কর্তৃপক্ষ টাকা দিতে অস্বীকার করায় তাদের কারখানা ও ব্যবসা বন্ধ করে দেয়ার হুমকী দেয়। এ ঘটনায় কারখানা কর্তৃপক্ষ আশুলিয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেছে।
আশুলিয়ায় শ্রমিক নেতাতের বিরুদ্ধে এস এম এম ফ্যাশন কারখানা কর্তৃপক্ষ আশুলিয়া থানায় সাধারণ ডায়রী করায় বুধবার দুপুরে ওই কারখানার কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেন এবং ডিইপিজেড সংলগ্ন বিজনেজ ট্রেড সেন্টার নামক ভবনের ৭ তলা ফ্লোরে মূল ফটকের সামনে গিয়ে চরমভাবে বিশৃংখলা সৃষ্টি করে খারখানা বন্ধ করে দেয়ার হুমকী দেয়। একপর্যায়ে বাহির থেকে কেচি গেটে তালা লাগানোর সময় ওই কারখানার সুইং হেলপার আরিফের উপর হামলা করে এবং দাতের কামড়ে তার বিভিন্ন স্থানে রক্তাক্ত জখম করে। তার কয়েকদিন পুর্বে খাইরুল ইসলাম মালিকানা মাহবুবা নিটওয়্যার নামক কারখানায় পাওনাদী বকেয়া বেতনের দাবী নিয়ে কয়েক শ্রমিক আশুলিয়া শ্রমিক নেতা সারোয়ার ও ইমনসহ কয়েকজন বহিরাগত শ্রমিকরা ভেতরে আশুলিয়া শ্রমিক নেতা সারোয়ার ও ইমনসহ কয়েকজন বহিরাগত শ্রমিকদের সহযোগিতা নিয়ে এস এম এম ফ্যাশন কারখানায় অনাধিকার প্রবেশ করে মাহবুবা নিটওয়্যার নামক কারখানার পেডে পুর্বের মালিক থেকে পাওনাদি পরিশোধের জোর পুর্বক লিখিত স্বাক্ষর নেন এস এম এম ফ্যাশনের পরিচালক মুক্তার হোসেনের নিকট থেকে।
সম্প্রতি কয়েক মাস পুর্বে এস এম এম ফ্যাশন কারখানা হওয়ার আগে খাইরুল ইসলাম মালিকানা মাহবুবা নিটওয়্যার নামক কারখান ছিলো। সেসময় ওই কারখানায় শ্রমিক ফেডারেশনের কয়েক জন শ্রমিক চাকুরী নেয়। তারা বিভিন্ন সময় কারখানার ভেতরে কাজ না করে সময় নষ্ট করতো এবং অন্যান্য শ্রমিকদের নিয়ে বিশৃংখা সৃষ্টি করে। এতে কোম্পানির সিপমেন্ট সময় মতো না দেওয়ায় কর্তৃপক্ষ অর্থনৈতিক সংকটে পড়ে শ্রমিকদের বেতন দিতে অপারগতা স্বীকার করে। এ ঘটনায় ওই শ্রমিকরা আশুলিয়া শ্রমিক নেতা সারোয়ার ও ইমনকে নিয়ে কারখানার সামনে বিক্ষোভ করে। ওই শ্রমিক নেতারা খাইরুল ইসলামকে শ্রমিকদের তোপের মুখে ফেলে জিম্মি করে আড়াই লক্ষ টাকা দাবী করেন সবাই মিলে ঈদ করার জন্য। । এ বিষয়ে খাইরুল ইসলাম বলেন, শ্রমিকদের ঈদ করার জন্য ৩০ হাজার টাকা দেই শ্রমিক নেতা সারোয়ার ও ইমনের হাতে। পরে ঈদ পার হওয়ার পর কারখানাটি দেওলিয়া হয়ে পড়ায় এস এম এম ফ্যাশন নামক কোম্পানির নিকট বুঝিয়ে দেন। গত ২৫ আগষ্ট সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বাইপাইল খান হোটেলে ৪ নম্বর টেবিলে বসে শ্রমিকলীগ নেতা সারোয়ারের সামনে শ্রমিক নেতা ইমনে হাতে ১লক্ষ ৭০ হাজার টাকা শ্রমিকদের পাওনাদী বুঝিয়ে দেন। এসময় বর্তমান এস এম এম ফ্যাশনের কর্তৃপক্ত ৮/১০ জন গন্যমান্য ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন। এসময় খাইরুল ইসলাম শ্রমিকদের পাওনাদি বুঝিয়ে দেয়ার ব্যাপারে প্রশ্ন তুললে শ্রমিক নেতা ইমন বলেন শ্রমিকদের পাওনাদি আমরা দিয়ে দিবো। ওই শ্রমিকরা আপনি এবং ্ এস এম এম ফ্যাশন কারখানায় গিয়ে ঝামেলা করবেনা। বেশ কিছুদিন পরে ওই শ্রমিকরা টাকা দাবী করে ওই কারখানার সামনে গিয়ে বকেয়া বেতন দাবী করলে কারখানা কর্তৃপক্ষ বলেন তোমাদের পাওনাদি তোমাদের নেতাদের নিকট আছে। বারবার শ্রমিক ও শ্রমিক নেতারা এস এম এম ফ্যাশন কারখানায় গিয়ে ঝামেলা করেন।
এ ঘটনায় জড়িত শ্রমিকলীগ নেতা সারোয়ারের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট। দেখি আমাদের বিরুদ্ধে কয়টা অভিযোগ করতে পারে আমরাও দেখবো আর শ্রমিকদের টাকা না দিয়ে কিভাবে ব্যবসা করেন তাও দেখবো।
Dhaka, Bangladesh শুক্রবার, ১০ জানুয়ারি, ২০২৫ | |
Salat | Time |
Fajr | 5:23 AM |
Sunrise | 6:43 AM |
Zuhr | 12:06 PM |
Asr | 3:09 PM |
Magrib | 5:29 PM |
Isha | 6:49 PM |