আজ শনিবার | ২৭শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১১ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ |১১ই রজব, ১৪৪৬ হিজরি | রাত ১১:১০
টাঙ্গাইল প্রতিনিধি:-টাঙ্গাইল সখিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোহাম্মদ আব্দুস সোবহান এর অদক্ষতা ও সীমাহীন দুর্নীতির কারনে সখিপুরে চিকিৎসা সেবা চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। স্বাস্থ্যখাতে দুর্নীতির চিত্র প্রায়ঃশই পত্রিকার পাতায় দেখা যায়। একটি উপজেলায় স্বাস্থ্যখাতে কি পরিমান দুর্নীতি হচ্ছে তার একটি খন্ড চিত্র তুলে ধরা হলো-১.ডাঃ মোহাম্মদ আব্দুস সোবহান গত বছর ২৬জুন২০২০ইং তারিখে ভাউচার ১২৫ পাতা নং ৬৯ ধোপার বিল ১১লাখ ৪৪ হাজার ৩৪ টাকার বিল নিজে উত্তোলন করেন। এ টাকা নিয়ে তিনি টাঙ্গাইল বাসায় চলে যান পরবর্তীতে ঠিকাদার মোস্তফাকে দুই লাখ টাকা প্রদান করে বাকী টাকা আতœসাৎ করেন। ওই সময় ক্যাশিয়ার হিসাবে স্বাস্থ্য সহকারি আবু সাইদ মিয়া কর্মরত ছিলেন। ওই বিলের ৬৯ নং পাতা ছেড়া আছে,ছেড়া বিষয়ে আবু সাইদ ইউএইচএফওকে অবহিত করলেও অফিসিয়ালিভাবে তিনি কোন পদক্ষেপ গ্রহন করেননি। বরং দুর্নীতি প্রকাশ পাবে এ আশংকায় মাঠে স্বাস্থ্য সহকারি পদে ২২টি পদশূন্য থাকা সত্তে¡ও আবু সাইদকে ০৩আগষ্ট/২১ তারিখে টাঙ্গাইলের ধনবাড়িতে বদলি করা হয়েছে। আবু সাইদকে মাঠ পর্যায়ে লোকবল ২২জন সংকট দেখিয়ে সিএসতাং/ শা১/অভিযোগ/২০২১/৪৯৩২ তাং ১৮/০৪/২১ইং স্বারকে হাসপাতালের ক্যাশিয়ার পদ থেকে অব্যাহতি দিয়ে মাঠে পাঠিয়ে দেন এবং সিএসতাং/শা ১/২০২১/৮২৯০/১(৫) তারিখ ০৩/০৮/২০২১ স্বারকে ধনবাড়িতে বদলি করেন ২. সখিপুর হাসপাতালে আউটসোসিংয়ে ইলেকট্রিক্যাল পদে সিএসতাং/শা১/আউটসোসিং/জনবল নিয়োগ/২০২১/৭৩৮৯ তারিখ ২৩/০৬/২০২১ স্বারকে আ.জলিল(এমএ পাশ)কে ৫৫নং সিরিয়ালে সখিপুর হাসপাতালে নিয়োগ প্রদান করেন এবং ইউএইচএফওউপঃ/স্বাস্থ্যঃকমঃতাং/২০২১/১৬৫৯(৭) তারিখ ২৯/০৬/২০২১ স্বারকে সখিপুর হাসপাতালে যোগদান করেন। পরবর্তীতে জাহিদ নামে বাইরের এক লোকের নিকট থেকে ইউএইচএফও দুই লাখ টাকা ঘুষ নিয়ে জলিলকে অদক্ষ দেখিয়ে জাহিদের পক্ষে সুপারিশ করে সিএসতাং/শা১/২০২১/৮৬৯৬/১(৬) তারিখ ০৩/০৮/২০২১ নং স্বারকে জলিলের স্থলাভিষিক্ত করেন জাহিদকে। এর পূর্বে ইউএইচএফও আ.জলিলকে অদক্ষ দেখিয়ে জাহিদের পক্ষে সুপারিশ করে(স্বারক নং ১৭০৪ তারিখ ০৬/০৭/২১ইং) সিএস এর নিকট পত্র পাঠান। ৩. সদ্য ৩০জুন রাতে সোনালী ব্যাংক সখিপুর শাখা থেকে হাসপাতালের স্টাফদের বিলবাবদ ৩৫ লাখ টাকা উত্তোলন করে সখিপুর হাসপাতালের ইউএইচএফও মোহাম্মদ আব্দুস সোবহান ও প্রধান সহকারি মিজানুর রহমান। এর পর সোবহান অ্যাম্বুলেন্স ড্রাইভার দেবাশীষ ও তার নিজ গাড়ীর ড্রাইভার ইব্রাহিমের উপস্থিতিতে ৫লাখ টাকা ঘুষ নিয়ে টাঙ্গাইল বাসায় চলে যান। কমিউনিটি ক্লিনিক পরিদর্শনের জন্য ডাঃ আব্দুস সোবহানকে একটি প্রাইভেট কার(ঢাকা মেট্রো ঘ ১৮-৫৫৭০)দেওয়া হয়েছে – কারটি তিনি তার ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করেন যা গাড়ির মিটারের সাথে লক বইয়ের কোন মিল নাই, কারের দুইটি লক বইয়ের মাধ্যমে অতিরিক্ত তেলের বিল উত্তোলন করে আতœসাৎ করেছেন। ৪. সখিপুর হাসপাতালের ইউএইচএফও করোনকালীন সময়ে হাসপাতাল স্টাফদের জন্য বরাদ্দকৃত সকল বিল আতœসাৎ করেছেন এবং করোনা টেস্টের জন্য প্রতি জনের নিকট থেকে ৩শত টাকা করে নেন এবং কোন কোন ক্ষেত্রে ২/৩হাজার টাকাও নিয়ে থাকেন। ওয়ার্ড বয় মোখলেছুরের মাধ্যমে সিন্ডিকেট করে তিনি করোনা টেস্টের দুর্নীতি করে থাকেন এবং সিএইচসিপি ইব্রাহীম লিমনের মাধ্যমে সিন্ডিকেট করে কমিউনিটি ক্লিনিকে দুর্নীতি করে থাকেন। ৫. হাসপাতালে ভর্তিকৃত রোগীদের জন্য খাবার সরবরাহের ঠিকাদার খান রফিক ইউএইচএফও কে মোটা অংকের কমিশন না দিলে খাবারের বিলে দস্তখত করেন না ৬. হাসপাতাল স্টাফদের বিল-ভাউচারে অগ্রিম দস্তখত নিয়ে বিলে পাওনা টাকার চেয়ে অনেক কম টাকা দিয়ে থাকেন। কেউ প্রতিবাদ করলে তার চাকরি ক্ষতি হবে বলে হুমকি দেন,ফলে কেউ মুখ খুলে কোন প্রতিবাদ করেন না। তিনি কথায় কথায় বলেন, আমার বাড়ি সখিপুরে,ছাত্রজীবনে একটি ছাত্র সংগঠনের অস্ত্রধারী ক্যাডার ছিলাম এবং ২২খুনের আসামীকে পিটিয়েছি। ইতিমধ্যে স্বাস্থ্য সহকারি আবু সাইদকে বদলি করেছেন ৭. হাসপাতাল বাউন্ডারির ভিতর স্থাপিত ক্যান্টিন থেকে প্রতি মাসে দুই হাজার টাকা নিয়ে নিজের পকেটস্থ করেন ইউএইচএফও। ৮.স্বাস্থ্য পরিদর্শক ইনচার্জ আব্দুল কাদের সহ ১৪জনের প্রায় ৯০হাজার টাকার বিল আতœসাৎ করেছেন ইউএইচএফও। ৯.তিনি টিএ,পরিবহন বিলসহ আনুষাঙ্গিক বিলে অগ্রিম দস্তখত নিয়ে নিজের জন্য মোটা অংকের কমিশন ভিত্তিতে বিল প্রদান করেন। ১০. ঠিকাদার শাহীনের নিকট থেকে কমিশন বাবদ তিন লাখ টাকা ঘুষ নিয়েছেন ১১. সরকারি প্রজ্ঞাপনে করোনাকালীন সময়ে সকল কর্মকর্তাদের নিজ কর্মস্থলে থাকার কথা থাকলেও ইউএইচএফও কমিউনিটি ক্লিনিক পরিদর্শনের প্রাইভেট কারে টাঙ্গাইলে তার নিজ বাসাসহ বিভিন্ন আতœীয় স্বজনদের বাড়িতে যাতায়াত করেন,কর্মস্থলে থাকেন না। তিনি নিয়মিত মোটা অংকের ঘুষ নিয়ে থাকেন,আবার যার নিকট থেকে ঘুষ নেন তার নিকট থেকে লিখিত রাখেন এই মর্মে কোন প্রকার ঘুষ নেওয়া হয়নি। উল্লেখিত ঘুষ-দুর্নীতির বিষয়ে সত্যতা নিশ্চিত করেছেন,হাসপাতালের প্রধান সহকারি মো.মিজানুর রহমান,স্বাস্থ্য পরিদর্শক ইনচার্জ আব্দুল কাদের,স্বাস্থ্য সহকারি আবু সাইদ মিয়া,ড্রাইভার দেবাশীষ ও ইব্রাহীম। তবে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোহাম্মদ আব্দুস সোবহান তার বিরুদ্ধে সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এগুলো তার বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র। সখিপুর হাসপাতালের সীমাহীন অনিয়ম-দুর্নীতি বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়ের দৃষ্টি আকর্ষন করেছেন ভুক্তভোগীরা ও সখিপুরের সচেতন নাগরিকগন।
Dhaka, Bangladesh শনিবার, ১১ জানুয়ারি, ২০২৫ | |
Salat | Time |
Fajr | 5:23 AM |
Sunrise | 6:43 AM |
Zuhr | 12:06 PM |
Asr | 3:09 PM |
Magrib | 5:30 PM |
Isha | 6:50 PM |